সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে সারাদেশে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করেন। রাজধানী ঢাকাসহ রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, কুমিল্লা, সিলেট, রংপুর, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীরা।
ঢাকায় কেন্দ্রীয়ভাবে শাহবাগ মোড় অবরোধের মধ্য দিয়ে শুরু হয় কর্মসূচি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বেলা আড়াইটার পর থেকেই বিভিন্ন হল ও বিভাগ থেকে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন হাজারো শিক্ষার্থী। বিকেল চারটায় শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এছাড়া সায়েন্সল্যাব, নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, চানখাঁরপুল, আগারগাঁওসহ রাজধানীর আটটি স্থানে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম জানান, “৮ জুলাই থেকে অযৌক্তিক সব কোটা বাতিলের এক দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন শুরু হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত চলবে অবরোধ।” এদিন সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা। শিক্ষার্থীদের দাবি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে বলে জানানো হয়।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ হিসেবে পথনাটক, কবিতা ও গান পরিবেশন করেন। চট্টগ্রামে ষোলশহর থেকে মিছিল বের করলেও পুলিশের বাধায় বহদ্দারহাটে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল, কুমিল্লা, দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভে অংশ নেন।
চার ঘণ্টা অবরোধ শেষে রাত আটটায় শাহবাগ মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা ফিরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি চলবে।