মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৩ অপরাহ্ন

হেঁটে জুম্মার নামাজের যাওয়ার ফজিলত

ন্যাশনাল ডেস্ক
  • আপডেট টাইম: শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫
সংগৃহীত ছবি | উত্তরা নিউজ

জুম্মাকে বলা হয় মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জুমার দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মুসল্লিদের জন্য জুম্মার নামাজে হেঁটে উপস্থিত হওয়া উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ।

রাসূল (সা.) হেঁটে জুম্মার নামাজ আদায় করতে যেতেন আর তাই এটি আমাদের জন্য সুন্নত। তবে মসজিদ যদি গৃহ থেকে বেশি দূরে হয়, তবে কষ্ট করে হেঁটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

এ বিষয়ে রাসূল (সা.) বলেন, ‌‘যে ব্যক্তি জুম্মার দিন গোসল (ফরজ) অথবা (সাধারণ) গোসল করল, তাড়াতাড়ি মসজিদে গেল অথবা যাওয়ার চেষ্টা করল, যাওয়ার পথে কোনো কিছুতে আরোহন না করে হেঁটে গেল, ইমামের কাছে ঘেঁষে বসল, কোনো প্রকার অহেতুক কথাবার্তা না বলে মনোযোগের সঙ্গে খুতবা শুনলো ও নামাজ আদায় করল, তার প্রতিটি কদমের (পদক্ষেপ) বিনিময়ে এক বছর রোজা ও নামাজের সওয়াব দেয়া হবে। (তিরমিজি, হাদিস নম্বর : ৪৫৬)।

রাসুল (সা.) এর প্রিয় সাহাবি আবদুল্লাহ ইবনে রাওয়াহা (রা.) অন্যান্য সাহাবায়ে কেরামের মতো হেঁটে মসজিদে আসতেন। তবে ফেরার পথে কখনো হেঁটে যেতেন, আবার কখনো আরোহন করে যেতেন। (ইবনে আবি শায়বা)।

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যখন নামাজ শুরু হয়, তখন দৌঁড়ে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে না, বরং হেঁটে গিয়ে নামাজে যোগদান করবে। সালাতে ধীর-স্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কাজেই জামাআতের সঙ্গে নামাজ যতটুকু পাও তাই আদায় কর। আর যা ছুটে গেছে তা পূর্ণ করে নাও।’ (বুখারি)

নামাজের জামাআতে অংশগ্রহণের জন্য তাড়াহুড়া করতে নিষেধ করেছেন মহানবী (সা.)। তাই মুসলিম উম্মাহর উচিত পায়ে হেঁটে, ধীরে-সুস্থে মসজিদে গিয়ে জুম্মার নামাজ আদায় করার মাধ্যমে ফজিলত লাভ করা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102