তমজিদের জীবন চলে রঙ আর তুলির আঁচড়ে
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট
-
আপডেট টাইম:
বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী তমজিদ উদ্দিন (৪৩)। নেই কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা, তবু নিখুঁতভাবে ছবি আঁকেন, লেখেন। এই প্রতিভা দিয়েই কোনোভাবে চলে তাঁর পরিবার।নেত্রকোনার মদন উপজেলার বাঁশরী গ্রামের মৃত শামছুল ইসলাম ও শাহেরা আক্তার দম্পতির পাঁচ সন্তানের মধ্যে তমজিদ সবার ছোট।আড়াই বছর বয়সে টাইফয়েড জ্বরে তাঁর কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়, কানে শোনাও যায় না। সামর্থ্য অনুযায়ী চিকিৎসা করেও পরিবার তাঁকে সুস্থ করতে পারেনি।দারিদ্র্যের কারণে ছোটবেলায় কাঠমিস্ত্রির দোকান ও চায়ের দোকানে কাজ শুরু করেন তমজিদ। কিন্তু স্কুলপড়ুয়া ছেলেমেয়েদের দেখে তাঁরও পড়াশোনার ইচ্ছে জাগে।কথা বলতে না পারায় স্কুলে যাওয়া হয়নি। হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে খাতা-কলম হাতে ছবি আঁকতে বসে যান। পরিবারের সবাই তাঁর প্রতিভা দেখে রঙ-তুলি কিনে দেন। ধীরে ধীরে নিখুঁতভাবে ছবি আঁকার দক্ষতা অর্জন করেন তমজিদ।দুই যুগ ধরে এলাকায় রঙ-তুলির কাজে সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। বাজারের দোকান ও বিভিন্ন স্থাপনায় সাইনবোর্ড লেখা ও ছবি আঁকেন। তবে ডিজিটাল প্রিন্টের কারণে আগের মতো কাজ পান না। তবু যা আয় হয়, তা দিয়েই কোনোভাবে চলে তাঁর সংসার।তমজিদের স্ত্রীও বাক ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী।তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই সরকার থেকে প্রতিবন্ধী ভাতা পান।তমজিদের বড় ভাই তৌহিদ মিয়া বলেন, ‘জ্বরের পর আমার ভাইয়ের কথা বলা বন্ধ হয়ে যায়। স্কুলে না পড়লেও লেখাপড়া সব পারে। আল্লাহ তাঁকে বিশেষ প্রতিভা দিয়েছেন।’মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. অলিদুজ্জামান বলেন, ‘তমজিদের প্রতিভার কথা শুনেছি। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকলেও সে পড়তে-লিখতে পারে। তার প্রতিভা বিকাশ ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন পাশে থাকবে।’
নিউজটি শেয়ার করুন..
-
-
-
- Print
- উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..