কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় নারীকে ধর্ষণের পর নিপীড়ন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া মাস্টারমাইন্ড ফজর আলীর ভাই শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (৩ জুলই) বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার বুড়িচং উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি -২ এর ওপর পরিচালিত মাহমুদুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী নারীকে ধর্ষণের পর নিপীড়ন, নির্যাতন ও বিবস্ত্র ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার মাস্টারমাইন্ড শাহ পরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) রুহুল আমিন জানান, মুরাদনগরে নারীকে ধর্ষণের পর পরিকল্পিতভাবে নিপীড়ন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এরপর গত রবিবার ভোরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলী সুমনসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ওই দিন বিকালে মুরাদনগর থানায় উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী নারী চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ৩০ জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। ওই দিন সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে গ্রেপ্তার চার আসামিকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে কুমিল্লার আমলি আদালত- ১১ এর বিচারক মমিনুল হক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তি আটক ও পিটুনির শিকার হয়। পরে ফজর আলীকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৭ জুন) মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে মারাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
এরপর অভিযানে নেমে ধর্ষণের দায়ে রাজধানী থেকে ফজর আলীকে এবং জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে উপজেলার বাহেরচর গ্রামের সুমন, রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফকে গ্রেফতার করা হয়।
এ জাতীয় আরো খবর..