জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের গৌরবময় ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চালু করেছে “জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি”। প্রতিবছর এ বৃত্তির মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন কলেজ ও ইনস্টিটিউটে অধ্যয়নরত প্রান্তিক, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বৃত্তির চেক হস্তান্তরের মাধ্যমে মাসব্যাপী “জুলাই কোমেমোরেশন প্রোগ্রাম”-এর উদ্বোধন করেন। এ বছর ৭২৫টি প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ৪০ জন শিক্ষার্থী এই সহায়তা পাচ্ছেন।
প্রথম পর্যায়ে বৃত্তি গ্রহণ করেন—সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের হাবীবা আক্তার, তেজগাঁও সরকারি কলেজের এস এম আবু তালেব এবং ঢাকা কমার্স কলেজের খন্দকার মাহমুদুল হাসান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থান দেশের ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এটি আমাদের অধিকারবঞ্চিত প্রজার অবস্থান থেকে নাগরিকত্বের মর্যাদায় উন্নীত করেছে।” তিনি বলেন, “এই শিক্ষাবৃত্তি শুধু আর্থিক সহায়তা নয়, বরং একটি নতুন রাষ্ট্র নির্মাণের পথে তরুণদের সম্পৃক্ত করার প্রতীক।”
তিনি আরও যোগ করেন, “জুলাই আমাদের নতুন স্বপ্ন দিয়েছে—একটি ন্যায়ভিত্তিক ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনের স্বপ্ন, যেখানে তরুণেরা বিশ্ব নেতৃত্বেও অবদান রাখতে পারবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম আমানউল্লাহ, প্রো-উপাচার্য ড. মো. লুৎফর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ ড. এ টি এম জাফরুল আযম।