বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ৮৫তম জন্মদিন আজ। ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার বথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
গত এক দশকের বেশি সময় ধরে ড. ইউনূসের জন্মদিনটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পালিত হয়ে আসছে “সোশ্যাল বিজনেস ডে” হিসেবে। এবারও সাভারে অনুষ্ঠিত হয়েছে দু’দিনব্যাপী সোশ্যাল বিজনেস সম্মেলন। তবে সরকারি পর্যায়ে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিক আয়োজন রাখা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ড. ইউনূস বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল বিজয়ী। জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে অনন্য ভূমিকার জন্য তিনি ২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকও যৌথভাবে এই পুরস্কার লাভ করে।
একসময় সরকারি বিরোধিতা, মামলার মুখোমুখি অবস্থান এবং গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অপসারণের পর, ২০২৪ সালের আগস্টে দেশের রাজনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ছাত্র-জনতার আহ্বানে অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে আসেন অধ্যাপক ইউনূস। বর্তমানে তাঁর সরকার দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক পুনর্গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর ফুলব্রাইট স্কলার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন ড. ইউনূস। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের পর মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
দারিদ্র্য দূরীকরণ, ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থার বিস্তার ও সামাজিক ব্যবসার ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর অবদান বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত। বর্তমানে বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশে অনুসরণ করা হচ্ছে তাঁর উদ্ভাবিত মডেল।
জন্মদিন উপলক্ষে সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম তাঁর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাকে “জীবনের অসাধারণ সৌভাগ্য” হিসেবে উল্লেখ করেন এক ফেসবুক পোস্টে।