অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সাহসী অংশীজন ছিলেন আমাদের রিকশাওয়ালা ভাইয়েরা।” তিনি বলেন, ই-রিকশা চালকদের লাইসেন্সিং সিস্টেমে আনার মাধ্যমে তাদের ‘অবৈধ’ তকমা দূর হবে এবং নাগরিক মর্যাদা নিশ্চিত হবে।
শনিবার রাজধানীর গুলশান-২ এ নগর ভবনের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা (ই-রিকশা) প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, ই-রিকশা ও চালকের লাইসেন্স অনলাইনের মাধ্যমে প্রদান করা হবে, যাতে দুর্নীতির সুযোগ না থাকে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-১ এ পরীক্ষামূলকভাবে নির্দিষ্ট সংখ্যক ই-রিকশা চলবে। রিকশায় থাকবে QR কোড ও নিবন্ধন তথ্য, যাতে ট্রাফিক পুলিশ সহজেই যাচাই করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের পর যখন রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ ছিল না, তখন শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিনা পারিশ্রমিকে দায়িত্ব পালন করেছে। তাই ট্রেইনার প্রশিক্ষণে তাদেরও যুক্ত করা হচ্ছে।”
সড়ক নিরাপত্তা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, “গত ঈদের রিপোর্টে দেখা গেছে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রায় ৩২ শতাংশই অটোরিকশাজনিত। নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি তা নিয়মের আওতায় আনার।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (তথ্যপ্রযুক্তি) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, (স্বরাষ্ট্র) মো. খোদা বখস চৌধুরী, ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া এবং ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা নগর ভবনের নিচতলায় সজ্জিত নতুন ডিজাইনের ব্যাটারিচালিত রিকশার গ্যারেজ পরিদর্শন করেন।