ঢাকা, জুন ২০, ২০২৫ — প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ছাপানো অতিরিক্ত পাঠ্যবইয়ের মাধ্যমে গত ১৬ বছরে সরকার থেকে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা অপচয় হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এনসিটিবি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, একাধিক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষক বইয়ের চাহিদা ১৫–২০ শতাংশ বেশি দেখিয়ে প্রতি বছর গড়ে ৩–৪ কোটি অতিরিক্ত বই ছাপিয়ে তা কালোবাজারে বিক্রি করে আসছিলেন।
এই বইগুলো বাজারে বিক্রি হতো প্যাকেজ আকারে — প্রাথমিকের বই ১,৫০০ টাকা, মাধ্যমিকের বই ৪,৫০০ টাকা দামে। এমনকি চলতি বছর জানুয়ারিতে সরকারি বিনামূল্যে বিতরণের ১০ হাজার বই দুই ট্রাকভর্তি অবস্থায় জব্দ করা হয়।
এ অবস্থায় ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এনসিটিবি তিন ধাপে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে বইয়ের চাহিদা নির্ধারণ করে, ফলে চাহিদা প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ কমে আসে। এতে সরকারের ২০০ কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চাহিদা যাচাইয়ে এনসিটিবি ৩২টি বিশেষ টিম গঠন করে মাঠপর্যায়ে পাঠায় এবং অনলাইন অ্যাপস, শিক্ষা বোর্ডের তথ্য ও মাঠপর্যায়ের প্রতিবেদন মিলিয়ে চাহিদা যাচাই করে। অতিরিক্ত চাহিদা দিলে এমপিও স্থগিতসহ শাস্তির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
এছাড়া ২০২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য আগেভাগেই ছাপার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যেই মাঠপর্যায়ে বই সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে এনসিটিবি।