গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হবার দীর্ঘ সময় পর প্রকাশ্যে এলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আজ শুক্রবার (২০ জুন) সকালে ‘নবনীতা চৌধুরী’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তাকে দেখা যায়। সাক্ষাৎকারে তিনি বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আমাদের দেশ। সেই দেশে জনগণের কিছু নির্দিষ্ট অংশকে ভুল বুঝিয়ে, বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে মৌলবাদী-জিহাদি সহায়তা নিয়ে ড. ইউনূস অবৈধভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছেন। অধ্যাপক ইউনূস ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সেসব কাজ করে চলেছেন অসাংবিধানিক ভাবে সেটি তুলে ধরাটা রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ সময় উপস্থাপিককে জুলাই-আগষ্টের আন্দোলনে সাধারণ জনগণের আওয়ামী লীগের প্রতি পুঞ্জীভূত ক্ষোভ, একতরফা নির্বাচন এগুলো নিয়ে কোনো ক্ষোভ ছিল না বলে আপনারা কি এখনো মনে করেন? বলে প্রশ্ন করতে দেখা যায়,
এমন প্রশ্নের জবাবে মহিবুল হাসান বলেন, আমি বলছি না যে প্রভাব ছিল না। আমি বলছি যে সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভ ছিল। সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ কোটা সংস্কার নিয়ে। আমাদের সরকারের সময়ে একটা বিশাল জনগোষ্ঠী কিন্তু শিক্ষায় এগিয়ে এসেছে। গ্রামের চাষি পরিবারের সন্তানও কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে চাকরির অপেক্ষায় বসে আছে। সেই শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝানো হয়েছে আওয়ামী লীগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবহার করে সকল চাকরি নিয়ে নিচ্ছে। এ কারণে তখন স্বাভাবিকভাবে তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একই সময়ে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পেনশন ও বেতন ভাতা নিয়ে একটি আন্দোলন করেন। ওই সময় সরকারের একটি অংশ সরকারকে বুঝিয়েছে শিক্ষকদের দাবি মানা যাবে না। তারা গেলেন ধর্মঘটে। উভয়ের আন্দোলনে একটি গোষ্ঠী তরুণ প্রজন্মকে আগ্রাসীভাবে আন্দোলনে নামিয়ে দেয়।
আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় ভুল কি ছিল এমন বিষয়ে তিনি বলেন, আমাদের দলের সঠিক সময়ে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের আন্দোলনের যৌক্তিক দাবি অনুধাবন করতে না পারা ছিল সেই সময়ের সবচেয়ে বড় ভুল।