ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে জন্ম নেওয়া ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের স্মরণে ৫ আগস্টকে ‘গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ঘোষণা করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এই দিনটি এখন থেকে প্রতি বছর সরকারি ছুটি হিসেবে পালন করা হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে এবং চলতি বছর থেকেই তা কার্যকর হবে।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু হওয়া গণ-প্রতিরোধ একপর্যায়ে পরিণত হয় দেশব্যাপী অভ্যুত্থানে। ৫ আগস্ট সেই আন্দোলনের চূড়ান্ত মুহূর্তে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন ও দেশত্যাগ করেন। নিহত হন সহস্রাধিক আন্দোলনকারী, আহত হন হাজার হাজার।
ফারুকী বলেন, “এই দিবস শুধু স্মরণ নয়, গণতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে উদযাপন করা হবে।”
তিনি আরও জানান, ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত মাসব্যাপী কর্মসূচি পালিত হবে, যার মূল আয়োজন শুরু হবে ১৪ জুলাই থেকে।
সাংস্কৃতিক ও প্রশাসনিক আরও কয়েকটি সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভিকে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রকাশের প্রস্তুতি
দুটি পৃথক কমিটি গঠন, নেতৃত্বে থাকবেন ড. সি আর আবরার ও ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আগামী ২৩ জুন কর্মসূচির বিস্তারিত প্রকাশ করবে।