ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে টানা ভারী বর্ষণের প্রভাবে সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ১২৫ মিলিমিটার এবং চেরাপুঞ্জিতে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। ফলে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। শহরের নিচু এলাকা এবং আশপাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে, ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।
বৃষ্টির কারণে রিকশা-সিএনজি চলাচল কমে গেছে, যাত্রী নেই বললেই চলে। অনেক দিনমজুর, শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দিনশেষেও উপার্জন না করেই ঘরে ফিরছেন।
এক সিএনজি চালক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “সকাল থেকে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি, কোনো যাত্রী নেই।”
আরেক ফল বিক্রেতার ভাষায়, “বৃষ্টিতে ক্রেতা কমে গেছে, ফল নষ্ট হওয়ার পথে।”
নদীঘাটের শ্রমিক জানান, “নৌকা আসছে না, বালুও তুলতে পারছি না।”
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, ভারতের ঢলের কারণে নদ-নদীতে পানি বাড়লেও এখনো বন্যার আশঙ্কা নেই। তবে পরিস্থিতি নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে।
বৃষ্টির এ ধারা অব্যাহত থাকলে দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।