তারেক রহমান, বিএনপির একজন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান ও তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। তারেক রহমান বর্তমানে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও দেশের রাজনীতিতে তার প্রভাব অপরিসীম। ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে “হাওয়া ভবন” হয়ে ওঠে তার রাজনৈতিক কার্যক্রমের কেন্দ্র।
২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেফতার ও কারাবন্দি থাকার পর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে যেতে দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি আর দেশে ফেরেননি। তবে প্রবাসে থেকেও রাজনীতিতে তার প্রভাব অটুট। বর্তমানে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের এক বড় অংশ তাকে দলের ভবিষ্যৎ নেতা ও সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত রয়েছে। বর্তমানে সবকটি মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক ভূমিকা নির্ভর করছে রাজনৈতিক সমঝোতা, আইনগত প্রক্রিয়া এবং জনসমর্থনের উপর। তিনি সরাসরি রাজনীতিতে অংশ নিতে পারবেন কি না—তা এখনও সময়ের হাতে অনিশ্চিত।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমান একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত চরিত্র। তিনি সরাসরি দেশে না থেকেও দলের আন্দোলন ও নেতৃত্বে প্রভাব বিস্তার করছেন, যা বিরল এক রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি করেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমান একটি প্রভাবশালী নাম—প্রবাসে থেকেও যিনি দলের কৌশল নির্ধারণে, আন্দোলনে ও ভাবনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।