কোন তালবাহানা নয়, আওয়ামী লীগকে চিরদিনের জন্য নিষিদ্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমদ। তিনি আরও বলেন, নির্বাহী আদেশে নয়, সংবিধান সংশোধন করে স্বৈরাচারী, খুনি, হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয় দৃষ্টান্তমূলক বিচার করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে কোন দল বা গোষ্ঠী ক্ষমতায় এসে স্বৈরাচারীর পুনরাবৃত্তি না ঘটাতে পারে এবং আওয়ামীলীগকেও রাজনীতি করার সুযোগ না দেয়।
আজ শনিবার (১০ই মে,২০২৫) দুপুর ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, মুফতি সৈয়দ এসহাক মুহাম্মদ আবুল খায়ের, আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, হাজী আনোয়ার, এম এইচ মোস্তফা, মাওলানা মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম, মুফতি নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।
উপস্থিত বক্তারা দাবি নিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সাথে সাথে সেনাপ্রধানের অপসারণ, চুন্নুর পদত্যাগ, আসিফ নজরুলের পদত্যাগ, সংবিধান বাতিল ও ‘র’ এর কার্যক্রম নিষি’দ্ধ করতে হবে। কেননা, যারা জুলাই আগস্টে স্বৈরাচারের পতনে কোনরকম ভূমিকা পালন করেনি, তারা আজ আওয়ামিলীগ নিষিদ্ধ চায়না। তাদেরকে পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা করছে। মিয়ানমারকে দেওয়া মানবিক করিডোর বাতিল করতে হবে। কোনরকম বাহানা ছাড়াই নারী সংস্কার কমিশন বাতিল করতে হবে।
আজ নয়মাস পর কেন আমরা আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে নিষিদ্ধ করার জন্য আবার মাঠে নামতে হলো? উপদেষ্টােদের তাহলে কাজ কি?__বক্তারা এমন প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন প্রশাসনকে।
শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বিগত ১৭ বছর যারা আওয়ামী লীগকে অন্যায় অপকর্মে যারা সাহায্য করেছে তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। ৫ আগস্টেই তো ছাত্র-জনতা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। এখন বাকী শুধু গ্যাজেট প্রকাশ করা।