এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা হলেন অরবিটালস ইন্টারন্যাশনালের (আরএল ১১৩ ও ১৪৫৭) চেয়ারম্যান ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সিন্ধা ওভারসিজ স্বত্বাধিকারী (আরএল ১১৪৬) নিজাম উদ্দিন হাজারী, আহমেদ ইন্টান্যাশনালের (আরএল ১৫৫১) স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সংসদ সদস্য বেনজীর আহমেদ, বায়রার সাবেক সভাপতি ও সরকার রিক্রুটিং এজেন্সির (আরএল ২২৬) মোহাম্মদ আবুল বাশার, ফাইভ এম ইন্টারন্যাশনালের (আর এল ১৩২৭) স্বত্বাধিকারী অবসরপ্রাপ্ত লে. জে. মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী (আরএল ২০৭) কাজী মো. মফিজুর রহমান, অনন্য অপূর্ব রিক্রুটিং এজেন্সি এজেন্সির স্বত্বাধিকারী (আরএল ২১০১) মহিউদ্দিন আহমেদ (মহি), আল-রাবেতা ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী (আরএল ৩৫৪) আবুল বাশার, আদিব এয়ার ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরসের (আরএল-১০২৪) স্বত্বাধিকারী কে এম মোবারক উল্লাহ শিমুল, আকাশ ভ্রমণের স্বত্বাধিকারী (আরএল ৩৮৪) মনসুর আহমেদ খান, জাহরাত অ্যাসোসিয়েটসের স্বত্বাধিকারী (আরএল ২৮৫) শফিকুল ইসলাম ফিরোজ, আল বোখারি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী (আরএল ৩০১) সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, আমিয়াল ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী (আরএল ১৩২৬) শাহ জামাল মোস্তফা, বিনিময় ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী (আরএল ৩৫১) এম এ সোবহান ভূঁইয়া, বিএম ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী (আরএল ১৪২১) শফিকুল ইসলাম, বাদ্রার্স ইন্টারন্যাশনের স্বত্বাধিকারী (আরএল ১৫৭১) রফিকুল ইসলাম, গ্রীনল্যান্ড ওভারসিসের স্বত্বাধিকারী (আরএল ৪০) রেহেনা আরজুমান হাই, ইমিপ্রয়াল রিসোর্সের স্বত্বাধিকারী (আরএল ১৮৭৪) মাহবুবুর রহমান, ইরবিং এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী (আরএল ২১৫) হাফিজুল বারী মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, অইছি ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী (আরএল ১১৪১) মোস্তাফিজুর রহমান, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী (আরএল ১২৯৮) মাজহারুল ইসলাম, সরকার ইন্টারন্যাশনালের (আরএল ১৭১৫) মোহাম্মদ আলী সরকার, শাহেনা ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের রফিকুল ইসলাম, সাউথ পয়েন্ট ওভারসিসের মোহাম্মদ মিজানুর কাদের, ইউনাইটেড ম্যান পাওয়ার কনসালটেন্সির জেড ইউ সাইদ, জাহরাত অ্যাসোসিয়েটের শফিকুল আলম এবং আইএসএমটি হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্টের মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম।জনশক্তি রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা বাংলাদেশ থেকে যত কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন প্রত্যেক কর্মীর কাছ থেকেই এক লাখ ৫২ হাজার টাকা করে বাধ্যতামূলকভাবে সব খরচের অতিরিক্ত টাকা চাঁদা হিসেবে নিয়েছে। অর্থাৎ ২০২২ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত চার লাখ ৯৪ হাজার ১৮০ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমিয়েছেন। প্রতি কর্মীর কাছ থেকে সাড়ে চার-পাঁচ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই হিসাবে প্রায় ২৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।আর চাঁদার নামে কর্মীপ্রতি এক লাখ ৫২ হাজার টাকা হিসাব ধরলেও প্রায় সাত হাজার ৫০০ কোটি টাকা তারা চাঁদা হিসেবে নিয়েছে।