বুধবার মধ্যরাতে পদ্মা-মেঘনায় মাছ ধরবেন জেলেরা
অনলাইন ডেস্ক রিপোর্ট
-
আপডেট টাইম:
মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৫
-
৫
বার পঠিত
জাটকা সংরক্ষণে চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় দুই মাসের জন্য সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। সেই নিষেধাজ্ঞা আগামীকাল বুধবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় মাছ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। এরই মধ্যে অলস পড়ে থাকা নৌকা ও জাল মেরামত সম্পন্ন করেছেন তারা।তবে টানা দুই মাসের বেকারত্বের কষ্ট কাটিয়ে আবারো পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে চান এই জনপদের জেলেরা।চাঁদপুর সদরের মেঘনাপাড়ের আনন্দবাজার। নামে বাজার হলেও বাস্তবে জেলে পল্লী। হাজারখানেক জেলে পরিবার।যাদের বাপ-দাদা থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্ম মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সেই আনন্দবাজারে এখন আনন্দের সুর। কারণ, ইলিশের পোনা জাটকা সংরক্ষণে উঠে যাচ্ছে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা। জেলে সোহেল শেখ (৩৬) জানান, কষ্ট হলেও ধৈর্য হারাইনি।দুই মাস অভাব ছিল। সরকারের নিষেধাজ্ঞা মানতে গিয়ে আয়ের পথ বন্ধ ছিল। দুই মাসের জন্য খয়রাতি চাল দিয়ে আর ধারদেনা করে সংসার চালিয়েছি। এখন কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা পেলে, বিগত দিনের ধারদেনা পরিশোধ করে আবারো ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করবো। হরিণাঘাট এলাকার জেলে বিল্লাল হোসেন (৪২) বলেন, বৃদ্ধ বাবা-মা, স্ত্রী সন্তান নিয়ে মোট ৭ জনের সংসার।তারমধ্যে রোজা ও ঈদ ছিল। সংসার যে কীভাবে চলেছে তা কেবল আল্লাহ্ ছাড়া কেউ জানে না। এখন মাছ ধরা শুরু হলে নদীতে যাবো। তারপর ভাগ্যে যা আছে, তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এদিকে, এবারে জাটকা সংরক্ষণ অন্য বছরের চেয়ে সফল। এতে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে-এমনটা দাবি করেছেন, দেশের শীর্ষ মৎস্যবিজ্ঞানী ও ইলিশ গবেষক ড. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, জেলেদের সচেতনতা এবং সরকারের নানা তৎপরতার কারণে চলতি মৌসুমে ৫০ ভাগের বেশি জাটকা সুরক্ষা করা গেছে। তাছাড়া অন্য বছরের চেয়ে এবার জাটকা সংরক্ষণ অভিযান ছিল জোরালো। এতে অভয়াশ্রমগুলোতে সুরক্ষা পেয়ে জাটকার দল ছুটে গেছে সাগরে। ফলে তা বড় হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় অর্জিত হবে লক্ষ্যমাত্রা। যা পৌনে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হবে।উল্লেখ্য, গত পহেলা মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত টানা দুই মাস চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা ছিল।
নিউজটি শেয়ার করুন..
-
-
-
- Print
- উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..