ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদলীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে বিধানসভা থেকে বের করে দেওয়া’র যে হুমকি দিয়েছিলেন তার জন্য ক্ষমা চাওয়ার সময় বেঁধে দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। অন্যথায় বিধানসভায় বিরোধীদলীয় নেতার কক্ষের বাইরে শুভেন্দুকে দেখে নেওয়ার ‘হুঁশিয়ারি’ দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।
আজ (বুধবার) শুভেন্দুকে উদ্দেশ করে হুমায়ুন কবীর বলেন, “উনি যদি মারতে আসেন তাহলে আমরা কি রসগোল্লা খাওয়াব নাকি? মুসলিম বিধায়কদের তিনি অসম্মান করবেন, আছাড় মেরে রাস্তায় ফেলার কথা বলবেন, তাঁকে তো আর রসগোল্লা খাওয়াব না। যা জবাব দেওয়ার তাই দেওয়া হবে।”
তৃণমূল বিধায়ক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যদি নিজের মন্তব্য প্রত্যাহার না করেন এবং মুসলিম বিধায়কদের কাছে ক্ষমা না চান, তাহলে বিধানসভায় তাঁর নিজের ঘরের বাইরে তাঁকে বুঝে নেওয়া হবে। আমার নেতৃত্বে ৪২ জন মুসলিম বিধায়ক বুঝে নেবে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আমাদের মোকাবিলা করতে পারেন কি না দেখুন।”
হুমায়ুন কবীরের এই হুঁশিয়ারির জবাবে শুভেন্দু বলেছেন, “বিধানসভায় ঢোকার কয়েক কিলোমিটার আগে আমি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছেড়ে দিয়ে আসি।” যেকোনও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে তিনি প্রস্তুত বলে জানান শুভেন্দু।
এই হুমকির পর নিজের এবং বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিধানসভার সচিবালয়কে চিঠি দিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা। বিধানসভার অন্দরের দলীয় বিধায়ক এবং নিজের জন্য উপযুক্ত নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ”ওদের দলে (তৃণমূল কংগ্রেস) যে কজন মুসলিম বিধায়ক জিতে আসবে, তাদের চ্যাংদোলা করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দেব।” এর প্রেক্ষিতেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূলের মুসলিম বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।