শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, পোশাক শ্রমিকদের জীবন-মান নিরাপত্তায় রেশন নিয়ে আমরা পরিকল্পনা করছি। শ্রমিকদের রেশন কার্ড নিয়ে কিভাবে কি করা যায় বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাজ চলছে।
আজ (সোমবার) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত পোশাকশিল্প শ্রমিকদের মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা সহায়তা ও শ্রমিকদের মেধাবী সন্তানদের শিক্ষা সহায়তায় কেন্দ্রীয় তহবিলের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানিয়েছেন।
বিজিএমইএ এর নবনির্বাচিত সভাপতি এস.এম মান্নান (কচি)র সভাপতিত্বে চেক হস্তান্তর কর্মসূচির প্রধান অতিথির বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পোশাক শ্রমিকরা এবারই প্রথম সারাদেশে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়িয়ে মালিক-শ্রমিক একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করছে। এটি আমি কেবিনেট মিটিংয়ে অত্যন্ত গর্ব করে বলেছি।
তিনি বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণে যা যা করা দরকার আমি ওয়াদা করছি তার সবকিছু আমরা করব। এ সময় পোশাক শ্রমিকদের সহায়তায় গঠিত ‘কেন্দ্রীয় তহবিল’ হতে ভুক্তভোগী ও সমস্যাগ্রস্ত পোশাক শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে চেক তুলে দেন তিনি।
আয়োজনে বিজিএমইএ এর নবনির্বাচিত সভাপতি এস.এম মান্নান কচি বলেন, রানাপ্লাজার দূর্ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। এরই লক্ষ্যে আমরা শ্রমিকদের জীবনমান নিরাপত্তায় কাজ করে যাাচ্ছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা চাপে আছে। শ্রমিকদের ফুড রেশনিং ব্যবস্থা ও শ্রমজীবি এলাকায় বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রনে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বিত উদ্যোগে সরকার যাতে ভূমিকা রাখতে পারে সে বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পকে এগিয়ে নিতে এবং প্রতিযোগিতার মার্কেটে টিকে থাকতে নগদ সহায়তার পরিবর্তে সরকারের কাছ থেকে আমরা গ্যাস, বিদ্যুতের উপর নীতি সহায়তা চাই।
পোশাক শ্রমিকদের মাঝে চেক বিতরণ কর্মসূচিটিতে এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমইএ সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।