রাজধানীর তুরাগে ১৪ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে প্রতিবেশী মামুন ওরফে লিটু (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৩ মার্চ (বুধবার) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তুরাগের দলিপাড়া এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে অভিযুক্ত মামুনের বিরুদ্ধে তুরাগ থানায় মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী শিশুটির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান।
এর আগে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত মামুনকে বলাৎকারের বিষয়ে প্রশ্ন করতেই সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলেন তিনি। এসময় আনন্দ টিভির রিপোর্টার ইকবাল, বাংলা টিভির মাহমুদুল হাসানসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের মারধর এবং ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টাও করেন অভিযুক্ত। পরে পুলিশ এসে গ্রেফতার করে মামুন নামের ওই বৃদ্ধকে থানায় নিয়ে যায়। গ্রেফতার মামুন মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানাধীন খোর্দ্দফুল গ্রামের আবুল হোসেন মোল্লার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চৌদ্দ বছরের কুরআনের হাফেজ আবরার (ছদ্মনাম) গত শনিবার (৯, মার্চ) তুরাগের দলিপাড়া এলাকায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসানের ভাড়া বাসায় বেড়াতে আসলে সোমবার রাতে ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে একা ঘুমাতে যায় আবরার। ফ্ল্যাটের অপর একটি রুমেই স্ত্রী নিয়ে সাবলেট থাকত অভিযুক্ত মামুন। রাতে রুমের ভেতর এক পেয়ে শিশু আবরারকে জোড়পূর্বক বলাৎকার করে নিজ শয়নকক্ষে চলে যায় মামুন ওরফে লিটু নামের ওই বৃদ্ধ।
ভুক্তভোগী শিশুর বড় ভাই মাহমুদুল হাসান জানায়, আমার ছোট ভাই সকালে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছে। রুমে গিয়ে অভিযুক্ত মামুনকে না পেয়ে প্রথমে আমি তার স্ত্রীকে বলি। এরপর স্ত্রীর ফোন পেয়ে মামুন বাসায় আসলে বাড়িওয়ালার সামনে এ বিষয়ে আমি মামুনকে জিজ্ঞাসা করতেই সে আচমকা ক্ষেপে গিয়ে আমাকে মারধরে উদ্যত হয়। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট থানায় জানালে তৎক্ষনাৎ ঘটনাস্থলে আসে তুরাগ থানার টহল পুলিশ। পুলিশ মামুনকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে। আমরাও মামলা করতে থানায় এসেছি।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, রাতেই এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড় ভাই মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে তুরাগ থানায় নারী ও শিশু আইনে মামলা করেছে।
ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করেছে তুরাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার মোস্তফা।