শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:

ইভিএমে বিলম্ব, গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বয়স্ক ভোটাররা

অনলাইন নিউজ ডেস্ক
  • আপডেট টাইম: বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩
  • ৩৮৭ বার পঠিত

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ছে। ইভিএমে আঙুলের ছাপ জটিলতায় বিলম্বে অস্বস্তির সঙ্গে ক্ষোভও প্রকাশ করছেন ভোটাররা। তবে ভোট প্রয়োগ করতে ভোটারদের সমস্যা হচ্ছে না বলে জানান। কিন্তু ভোট নিতে বিলম্বের কারণে বৃদ্ধরা ভ্যাপসা গরমে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।তাই অনেকে ভোট না দিয়েই চলে যাচ্ছেন।

বুধবার (২১ জুন) বেলা ১১টায় সিলেট সিটি করপোরেশনের নতুন সংযুক্ত ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০৩১ জন ভোটারের মুক্তিরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় পুরুষ ও নারীদের দীর্ঘ সারি। তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, এক থেকে দেড় ঘণ্টা ধরে তারা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। ভোট নেওয়ার গতি স্লথ।

তাই বৃদ্ধরা গরমে কষ্ট পাচ্ছেন। অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।

সরেজমিন ভোটকেন্দ্রের বাইরে পুরুষ সারিতে দাঁড়িয়ে অস্বস্তি প্রকাশ করতে দেখা যায় মীরেরচক গ্রামের সত্তরোর্ধ্ব সিরাজ মিয়াকে। গরম সহ্য না করে হঠাৎ বেঞ্চে বসে পড়েন তিনি।

এক পর্যায়ে সইতে না পেরে বেঞ্চে শুয়ে পড়েন। তার এই অবস্থা দেখে পুরুষ ভোটাররা এগিয়ে গিয়ে মাথায় পানি ঢালেন। পরে স্বজনদের খবর দিলে তারা বাড়িতে নিয়ে যান।

একই অবস্থা দেখা গেল একই গ্রামের ষাটোর্ধ্ব ভোটার রোকেয়া বেগমকে। তিনি প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে গরমে কাহিল হয়ে সারিতেই মাঠে বসে পড়েন।

তার এই অবস্থা দেখে মহিলা বুথে নিয়ে তাকে ভোট দিতে সহযোগিতা করেন এক পুলিশ সদস্য।

রোকেয়া বেগম বলেন, ইভিএমে ভোট নেওয়া হচ্ছে স্লো গতিতে। আমরা অনেক্ষণ দাড়িয়ে থেকেও বুথে ঢুকতে পারছি না, কষ্ট হচ্ছে। তবে বুথে ঢোকার পর তার ফিঙ্গারপ্রিন্টে সমস্যা না হওয়ায় দ্রুত ভোট দিয়ে ফিরে এসেছেন বলে জানান তিনি।

এই কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা তরুণ ভোটার সোহেল আহমদ বলেন, আমি লাইনে আগে থাকলে মুরুব্বিদের কষ্ট দেখে তাদেরকে সুযোগ দিচ্ছি। কিন্তু একটি বুথে একটি মেশিন। আরেকটি মেশিন হলে সহজ হতো।

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আহমদ কবীর নাজমী বলেন, আমার কেন্দ্রে সকাল থেকেই প্রচুর ভোটার। বেলা ১১টার মধ্যেই ৬০০ ভোট কাস্ট হয়েছে। যান্ত্রিক কোনো সমস্যা না থাকলে অনেকের ফিঙ্গার প্রিন্ট ম্যাচ করতে বিলম্ব হয়। তবে কেন্দ্রে কোনো সমস্যা নেই এবং আওয়ামী লীগ ও লাঙ্গলের প্রার্থীরও এজেন্ট রয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিও ভালো।

এদিকে, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পাঠানটুলা জামেয়া ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে আসা রনজিত দাস ইভিএসে ভোট দিয়ে বলেন, ইটা বালা সিস্টেম। ভোট দিতে কষ্ট অয় নাই। সকাল সকাল ভোট দিছি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৫ | Technical Support: Uttara News Team
themesba-lates1749691102