রংপুরের কাউনিয়ার একই পরিবারে তিন যুবক মাসক্যুলার ডিসট্রফি নামে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে পরিবারটি। ভিক্ষাবৃত্তি আর মানুষের সাহায্য নিয়ে কোনো রকমে চলছে তাদের সংসার। একদিন ভিক্ষাবৃত্তি না করলে চুলায় আগুন জ্বলে না। বলা হচ্ছে, রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার শাহবাজ গ্রামের আবুল হোসেনের (৬৪) পরিবারের কথা।
আবুল হোসেন জানান, তার প্রথম ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩৯) সুস্থভাবেই জন্ম নেয়। অন্য শিশুর মতো হাঁটাচলা, স্কুলে যাওয়া আসা, পড়ালেখা সবই স্বাভাবিকভাবে চলছিলো। ১২ বছর বয়স হলে হাঁটুর উপর এবং হাতের কনুইয়ের উপর থেকে হাত-পা চিকন ও বাঁকা হয়ে যায়। একই সঙ্গে বোধ শক্তি কমতে থাকে। এক পর্যায়ে বিকলাঙ্গ হয়ে যায়। মানুষের সাহায্য নিয়ে চিকিৎসা করেও কোনো ফল পায়নি তারা। পরবর্তীতে জন্ম নেয় ছেলে শামীম মিয়া (২৫) ও রবিউল ইসলাম (২১)। তাদেরও একই পরিণতি হয়।
আবুল হোসেন আরও বলেন, অর্থের অভাবে সন্তানদের চিকিৎসা করাতে পারিনি। স্ত্রী আর প্রতিবন্ধী সন্তানদের মুখে ভাত তুলে দিতে রাজমিস্ত্রির কাজ শুরু করেন। কাজ করতে গিয়ে দুই তলা থেকে পড়ে তার দু’টি পা ভেঙে যায়। এখন সংসার চলছে হাট-বাজার ও রাস্তার ধারে ভিক্ষা করে। ভিক্ষাবৃত্তি আর সরকারি ভাতায় কোনো রকমে দিন চলছে তাদের। ভিক্ষাবৃত্তির অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি চায় তারা।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সামিউল আলম বলেন, আবেদনের পরপরই তাদের ভাতার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।