পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা সুপারির জন্য বিখ্যাত। এ উপজেলার লোকজনের বছরের আয়ের বড় অংশ সুপারি বিক্রি থেকে আসে। প্রতিবছরই এখানকার সুপারি সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এবার সুপারির ফলন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে পড়েছেন স্থানীয় চাষীরা।
অর্থকারী ফলন সুপারীর ফলন কম হওয়ায় বাগান মালিকদের মুখে হাসি না থাকলেও বাজার সুপারির দাম বেশি পাওয়ায় খুশি।
স্থানীয় সুপারি ব্যবসায়ীরা জানান, কাউখালী উপজেলার পাচঁটি ইউনিয়নের সবকটিতেই সুপারি উৎপাদন হয়। একসময় সারাদেশে সরবরাহ করা হতো। তবে সেই অবস্থা না থাকলেও এখনো প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে সুপারি কাউখালী থেকে দেশের বিভিন্নপ্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। তবে এবার সুপারির ফলন নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়তে হচ্ছে সুপারি উৎপাদকদের।
তবে শুকনো সুপারির মৌসুম ফাল্গুন থেকে আষাঢ় পর্যন্ত এবং কাঁচা সুপারীর মৌসুম শ্রাবণ থেকে পৌষ পর্যন্ত। এ সময় বেশির ভাগ সুপারি ক্রয়-বিক্রি হয়। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরাও এখানে সুপারি কিনতে আসেন। কাউখালী থেকে প্রায় প্রতিদিন লঞ্চ, ট্রলার ও ট্রাকবোঝাই করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায় সুপারি।
কাউখালীর বাজারের সুপারি ব্যবসায়ী মন্টু হোসেন জানান, কাউখালীতে প্রতি হাটে প্রায় অর্ধকোটি টাকার পাকা ও শুকনো সুপারির কেনাবেচা হয়। প্রতি বছর এই মৌসুমে বিভিন্ন হাট থেকে সুপারি কিনে মজুদ করে থাকে। শুকিয়ে ও পানিতে ভিজিয়ে সুপারি সংরক্ষণ করা হয়। পরে তা দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করা হয়। এ সুপারি এলসির মাধ্যমে ভারতে যাচ্ছে।
তিনি জানান, এবার সুপারীর দাম বাড়তির দিকে। বর্তমান মৌসুমে ২১ ঘা (২১০টি) এক কুড়ি কাঁচা সুপারির মূল শ্রেণি ভেদে ৪৬০ থেকে ৫০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত মৌসুমের তুলনায় অনেক বেশি।
কাউখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলী আজিম শরিফ বলেন, এ অঞ্চলের মাটি এবং আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ কারণে এখানকার সুপারি আকারে অনেক বড় এবং সুস্বাদু হয়।