বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ০৫:২২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ:

আজও জাগ্রত কোটি হৃদয়ে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম: সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৬৭ বার পঠিত

‘আমরা জানি একদিন আমরা মরে যাব। এ জন্যই পৃথিবীটাকে এত সুন্দর লাগে। যদি জানতাম আমাদের মৃত্যু নেই, তাহলে পৃথিবীটা কখনোই এত সুন্দর লাগতো না।’ পৃথিবীকে, বিশেষ করে দেশকে ভালোবেসে কথাটি লিখেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার সময়ও এসেছিলেন দেশের মাটিতে। কথা বলেছেন স্বজনদের সঙ্গে; ঘুরেছেন বিভিন্ন স্থানে। চিকিৎসা নিতে পুনরায় নিউইয়র্কে যাওয়ার পর ২০১২ সালের ১৯ জুলাই তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। কিন্তু কোটি মানুষের হৃদয়কে ছুঁয়ে তিনি আজও জাগ্রত। আজ রোববার তাঁর ৭৫তম জন্মদিন।

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম জনপ্রিয় এ লেখকের জন্ম ১৯৪৮ সালের আজকের এই দিনে। এবারও নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে তাঁর জন্মদিন। চলে যাওয়ার ছয় বছর পার হলেও পাঠকের হৃদয়ে তিনি চিরসজীব।

হুমায়ূন আহমেদ বাংলা সাহিত্যে বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনিরও জনক। ১৯৭২ সালে প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। পরে উপন্যাস ও নাটকে তাঁর সৃষ্ট চরিত্র, বিশেষ করে ‘হিমু’, ‘মিসির আলি’ ও ‘শুভ্র’ তরুণ-তরুণীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক তাঁর নাটক, সিনেমা ও গল্প পাঠকের কাছে সর্বজনীন আবেদন নিয়ে সর্বদা থেকে গেছে।

বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পকে এগিয়ে নিতে হুমায়ূন আহমেদের অবদান অপরিসীম। এককভাবে বইয়ের বাজার সৃষ্টি করে ও প্রকাশনা শিল্পে প্রবাহ তৈরির মধ্য দিয়ে এ শিল্পে গতিশীলতা নিয়ে এসেছিলেন। জীবদ্দশায় তিনি ছিলেন অমর একুশে গ্রন্থমেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। চলে যাওয়ার পরও বইমেলায় তাঁর বই কিনতে পাঠক ভিড় করেন।

২০১২ সালের ২৩ জুলাই নিউইয়র্ক থেকে দেশে আনা হয় নন্দিত এই লেখকের মরদেহ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন শেষে পরদিন তাঁকে সমাহিত করা হয় তাঁর নন্দনকানন নুহাশপল্লীর লিচুতলায়।

হুমায়ূন আহমেদের লেখা উপন্যাস দুই শতাধিক। উল্লেখযোগ্য সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে- নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার, আগুনের পরশমণি, লীলাবতী, কবি, সাজঘর, গৌরীপুর জংশন, নৃপতি, অমানুষ, বহুব্রীহি, এইসব দিনরাত্রি, শুভ্র, নক্ষত্রের রাত, কোথাও কেউ নেই, শ্রাবণ মেঘের দিন, বৃষ্টি ও মেঘমালা, মেঘ বলেছে যাব যাব, জোছনা ও জননীর গল্প প্রভৃতি। তাঁর সর্বশেষ উপন্যাস ‘দেয়াল’ও পায় আকাশচুম্বী পাঠকপ্রিয়তা। তিনি রচনা ও পরিচালনা করেছেন বহু একক ও ধারাবাহিক নাটক, চলচ্চিত্র।

হুমায়ূন আহমেদ তাঁর চার দশকের সাহিত্যজীবনে উল্লেখযোগ্য প্রায় সব পুরস্কারই পেয়েছেন। একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার ছাড়াও তাঁর অর্জিত পুরস্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে- লেখকশিবির পুরস্কার, মাইকেল মধুসূদন দত্ত পুরস্কার, হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার। দেশের বাইরেও সম্মানিত হয়েছেন হুমায়ূন আহমেদ। জাপানের এনএইচকে টেলিভিশন তাঁকে নিয়ে ‘হু ইজ হু ইন এশিয়া’ শিরোনামে ১৫ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রচার করে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

  • Print
  • উত্তরা নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন:
এ জাতীয় আরো খবর..
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩
themesba-lates1749691102