নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আত্মপ্রকাশের সাত মাস পার করলেও এখনো পুরোপুরি সাংগঠনিক শক্তি অর্জন করতে পারেনি। আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হলেও উপদেষ্টা পরিষদ, গঠনমূলক নীতি এবং পূর্ণাঙ্গ কাঠামো এখনো সম্পন্ন হয়নি।
দলটির সূত্রে জানা যায়, ইতোমধ্যে কয়েকটি বিভাগ ও জেলায় আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি বিভাগগুলোতেও অক্টোবরের মধ্যেই সাংগঠনিক কাঠামো সম্পূর্ণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিপি।
দলের কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, আগামী অক্টোবরের মাঝামাঝিতে তারা দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একযোগে সদস্য সংগ্রহ, মতবিনিময় সভা এবং তৃণমূল সংগঠন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এনসিপির রাজনৈতিক অগ্রযাত্রায় বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে উঠে এসেছে দলীয় প্রতীক নির্ধারণ ও গঠনমূলক সংস্কার ইস্যু। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া ৫০টি প্রতিকার তালিকার মধ্যে কিছু বিষয়ে সমন্বয় করা হলেও এখনো প্রতীক চূড়ান্ত হয়নি।
দলটি ‘শাপলা ফুল’ প্রতীকটিই পেতে আগ্রহী বলে জানা গেছে। তবে ইসি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেয়নি।
এনসিপির অন্যতম নেতা সারোয়ার তুষার বলেন, “আমরা সংগঠন গঠনের শেষ পর্যায়ে আছি। দলীয় প্রতীক ও কাঠামোগত সংস্কার— এই দুই চ্যালেঞ্জ এখন সবচেয়ে বড়। তবে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই দেশব্যাপী সাংগঠনিক কর্মসূচি শুরু করব।”
তিনি আরও বলেন, “নাগরিকদের রাজনৈতিক বিকল্প তৈরি করাই এনসিপির লক্ষ্য। গণমানুষের প্রত্যাশার জায়গা থেকে আমরা রাজনীতি করতে চাই।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এনসিপি যদি তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে তৃণমূলে পৌঁছাতে পারে, তাহলে আসন্ন নির্বাচনে দলটি একটি নতুন মুখ হিসেবে রাজনীতির ময়দানে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।