আনিসুল হকের শুরু করা প্রকল্পগুলো শেষ করায় গুরুত্ব দিয়ে ‘একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক’ ঢাকা’ গড়ার ইশতেহার দিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এই উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে প্রচারে নামার পরদিন মঙ্গলবার নিজের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে এলেন বিজিএমইএর সাবেক এই সভাপতি।
ঢাকার লেইক শোর হোটেলে রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা, ক্রিকেট তারকা, শিল্পী-অভিনেতা, প্রকৌশলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের উপস্থিতিতে ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে আতিক বলেন, “আমরা সবাই মিলে এই ইশতেহার তৈরি করেছি। আমরা আশা করছি, সবাই মিলে চেষ্টা করলে আমাদের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব।” উত্তর ঢাকার উন্নয়নে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করার অঙ্গীকার রয়েছে আতিকের নির্বাচনী ইশতেহারে। এতে বলা হয়েছে, “এজন্য ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ, অ্যাপের মাধ্যমে নাগরিক সমস্যার সরাসরি পাঠানোর ব্যবস্থা ও সমাধান করা হবে।”
সব গণপরিবহনের জন্য একটি ডিজিটাল ও সমন্বিত ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করার কথাও এসেছে ইশতেহারে। এমনই প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৫ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আনিসুল হক।কিন্তু পরে কাজে নেমে তিনি স্বীকার করেছিলেন, এসবের অনেকগুলো বাস্তুবায়নের এখতিয়ারই নেই মেয়রের, যা তিনি আগে জানতেন না।
সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আকাক্সক্ষা ও বাস্তুবতার মেলবন্ধন ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে আতিক বলেন, “আমি জানি ইশতেহারের বিষয়গুলো বলা যতটা সহজ, বাস্তুবায়ন করা ঠিক ততটাই কঠিন। কিন্তু আমি একনিষ্ঠ ও আত্মবিশ্বাসী, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হলে আমার সাধ্যের সবটুকু ঢেলে দেব।”
ঢাকার উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হওয়া নানা সমস্যা উৎরানো নিজের জন্য একটি ‘কঠিন পরীক্ষা’ বলে মনে করছেন আতিক। “আমার প্রধান লক্ষ্য ঢাকার বিকাশের সঙ্গে শহরটি যেন তার গৌরব না হারায় তা নিশ্চিত করা। ঢাকাকে সু-বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তোলা।” গতিময়, পরিবেশবান্ধব ও নিরাপদ ঢাকা গঠনে সকল সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, “ডিএসসিসি, ডিএমপিসহ সব সরকারি সংস্থা, প্রতিষ্ঠান ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সহযোগিতা আমার একান্ত প্রয়োজন।”ঢাকাকে ‘সু-বাসযোগ্য’ করে গড়ে তোলার প্রত্যয় ঘোষণা দেওয়া আতিকুল মেয়র নির্বাচিত হলে হাতে সময় পাবেন মাত্র এক বছর। এ সময়ের মধ্যে ইশতেহারগুলো বাস্তুবায়ন সম্ভব কি না সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মেয়াদকাল চিন্তা করে ইশতেহার করা হয়নি। এটা সুদূরপ্রসারী চিন্তা থেকে করা হয়েছে। ঘোষিত ইশতেহারে এর আগের মেয়রের শুরু করা প্রকত্মগুলো শেষ করার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও মশক নিধন, বিশুদ্ধ বাতাস ফিরিয়ে আনা, খেলাধূলা ও অন্যান্য গঠনমূলক কর্মকা-ের জন্য উন্মুক্ত পার্ক ও মাঠ তৈরি করা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বহুতল ও ভূগর্ভস্থ পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলার দিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইশতেহার ঘোষণার অনুষ্ঠানে আতিকুল বলেন, যেসব সড়কে সম্ভব সেখানে যান্ত্রিক যানবাহনের পাশাপাশি সাইকেলের জন্য পৃথক লেন তৈরি করা হবে।
উত্তরের ঢাকাকে ‘ডিজিটাল’ ঘোষণা করে আতিকের ইশতেহার
৫১ নং ওয়ার্ডে তরুণ প্রার্থী জুয়েলের প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন উপ-নির্বাচনে নব-গঠিত ৫১ নং ওয়ার্ডে ঠেলাগাড়ি প্রতীকের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ইফতেখারুল ইসলাম জুয়েলের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া ফেলছে ওয়ার্ডে তরুণ সমাজের প্রতি। নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই উত্তরা ১১,১২,১৩ ও ১৪ নং সেক্টরের নতুন ভোটারেরা এই তরুণ প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখিত সেক্টরগুলোতে ইফতেখারুল ইসলাম জুয়েলের নির্বাচনী প্রচারে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে স্থানীয় তরুণদেরকে। এছাড়া ঠেলাগাড়িরর সমর্থনে নিজ নিজ সেক্টরে বেশ উৎসাহের সাথেই ইফতেখারুল ইসলাম জুয়েলের প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে সেক্টরের তরুণ প্রজন্ম। কিন্তু, উত্তরার তরুণ সমাজ কেন ঠেলাগাড়ি প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন করে যাচ্ছে, এ প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ রেজা নামের এক তরুণ উত্তা নিউজকে জানায়, “জুয়েল ভাই অত্যন্ত ন¤্র ব্যবহারের একজন মানুষ। আমি ছোট থেকেই দেখে আসছি, তিনি আমাদের এলাকার যুবকদের বিপদে-আপদে ভালো পরামর্শ দিয়ে আমাদের সহায়তা করতেন। এছাড়া এলাকার কোন অসুবিধার কথা জানালে তিনি সেগুলোকে নিজে উপস্থিত হয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেছেন।”
এদের মধ্যে তানভীর ইসলাম শান্ত উত্তরা নিউজকে জানায়, “তরুণ হিসেবে জুয়েল ভাইয়ের কাজগুলো আমাদেরকে ভালো কাজে অনুপ্রেরণা জাগায়- তাই এবারের নির্বাচনে তরুণ হিসেবে জুয়েল ভাইকে আমার ব্যক্তিগত পছন্দ। তাছাড়া তরুণ প্রার্থী কাউন্সিলর হিসেবে আমাদের মাঝে আসলে, তিনি অবশ্যই তরুণ সমাজকে বিশেষ গুরুত্ব দিবেন বলেও আমরা আশা করি। আসলে সবমিলিয়ে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে এবার জুয়েল ভাইকে নিজের ভোটটি দিবো।”
উল্লেখ্য যে, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে ৫১ নং ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করতে যাচ্ছে হাজী ইফতেখারুল ইসলাম জুয়েল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নিজ ওয়ার্ডের সেক্টরের খেলার মাঠ, কাঁচাবাজার, মসজিদ গেট সহ বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন এই তরুণ প্রার্থী। সম্প্রতি নির্বাচনী প্রচারণাকালে উত্তরা নিউজের মুখোমুখি হলে ইফতেখারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, রাহাজানি, ইভটিজিংমুক্ত একটি সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠা করাই আমার লক্ষ্য। এই ৫১ নং ওয়ার্ডের নাগরিকগণকে যেন কোন প্রকার অসুবিধার মধ্যে দিনযাপন না করতে হয়, এরকম একটি ওয়ার্ড বিনির্মাণের স্বপ্ন নিয়েই আমি নির্বাচনের মাঠে নেমেছি।
তিনি আরও বলেন, “একজন তরুণ প্রার্থী হিসেবে সকলের কাছে আমার অনুরোধ- আপনারা সকলেই একটি বারের জন্য হলেও আমাকে সুযোগ দিন। আমি কথা দিচ্ছি, এই ওয়ার্ডের তরুণ প্রজন্ম যারা আপনাদেরই সন্তান, তাদের সুপথে পরিচালিত ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যা যা প্রয়োজন, আমি তার সবই করবো ইনশাআল্লাহ্।”
টিফিন ক্যারিয়ারে প্রার্থী আবুল হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ
আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৫১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী অত্র ওয়ার্ডের দুইবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর মোঃআবুল হোসেন মেম্বার।টিফিন ক্যারিয়ার মার্কা নিয়ে উত্তরা ১১,১২,১৩ ও ১৪ নং সেক্টরে অবস্থান করছেন এবং সকল ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ২৮ ফ্রেব্রুয়ারী টিফিন ক্যারিয়ার মার্কায় ভোট চাইছেন। জনগনের উপর বিশ্বাস রেখেই সামনে এগিয়ে চলছে কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ আবুল হোসেন মেম্বার।জনগনের কাছ থেকে জানা যায় তারা টিফিন ক্যারিয়ার মার্কার ভাল সারা পাচ্ছেন সুষ্ঠ নির্বাচন হলে প্রতিবারের ন্যায় এবারও টিফিন ক্যারিয়ার মার্কা নিয়ে বিজয়ী হবে ৫১ নং ওয়ার্ডের প্রিয়মুখ মোঃআবুল হোসেন মেম্বার।
চন্ডালভোগে কাউন্সিলর প্রার্থী নাসির উদ্দিনের পথসভা
আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও তুরাগ থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং সাবেক ইউপি মেম্বার মো: নাসির উদ্দিন। আজ সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন। তিনি বলেন- আমি যদি আপনাদের ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হই এবং আপনারা যদি আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন- তাহলে আমার ওয়ার্ডে কোন মাদক ব্যবসায়ী ও ডিলার থাকবেনা। আমি নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্বে লড়াই করা হবে আমার প্রথম কাজ। মাদককে আমি জিরো টলারেন্সে নিয়ে আসবো। মাদক ব্যবসায়ী যে ই হোকনা কেন কাউকে এব্যাপারে ছাড় দেওয়া হবেনা বলে তিনি হুশিয়ারী দেন। আজ সোমবার থেকে আমি মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষনা করলাম। নির্বাচনী প্রচারনার অংশ হিসেবে আজ সোমবার বিকেলে ডিএনসিসি তুরাগ থানার ৫৩ নম্বর ওয়াস্থ চন্ডাল ভোগ গ্রামে প্রথম নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা, গণসংযোগও আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। পরে আলোচনা সভা শেষে তিনি চন্ডাল ভোগ গ্রামে ব্যাপক গণসংযোগকরেন। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ঢাকা উত্তর সিটি করর্পোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনকে সামনে রেখে (ডিএনসিসি) ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মো: নাসির উদ্দিন (ঘুড়ি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। গণসংযোগকালে তিনি ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন- আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ঢাকা উত্তর সিটি করর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচন দেশে অনুষ্ঠিত হবে। আমি আপনাদেও সকলের মনোনীত প্রার্থী। আমার মার্কা হলো ঘুড়ি। আপনারা আমাকে ঘুড়ি প্রতীকে বিপুল ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। এটা আপনাদের সকলের কাছে আমার ভোট চাওয়া। আমি আপনাদের পাশে আছি,ছিলাম এবং ভবিষ্যতে ও থাকবো। তিনি ভোটার ও দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আশা করি এবারের নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের মতো অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপ্রেক্ষ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটের মালিক হলেন-আপনারা। আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে মূল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন। তাই আমি ঘুড়ি মার্কায় আপনাদের সকলের কাছে ভোট প্রার্থনা করছি। গণসংযোগকালে তিনি বলেন- আমি যদি কাউন্সিলর নির্বাচনে জয়ী হতে পারি তাহলে ঢাকা উত্তর সিটি করর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এর ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডকে একটি আধুনিক ও মডেল নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো। তিনি বলেন- যেখানে নাগরিক সমস্যা রয়েছে- যেমন রাস্তুাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, স্কুল কলেজ, সামাজিক সংগঠন সহ সে সকল সমস্যা রয়েছে সে গুলোকে চিহিত্মত করে আপনাদেরকে সাথে নিয়ে দ্রুত সমাধান করবো। ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড (সাবেক) হরিরামপুর ইউনিয়ন ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ মো: হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে গণসংযোগও আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- তুরাগ থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ মো: নাজিম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: জামাল উদ্দিন, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মো: নূও হোসেন, সাবেক ইউপি মেম্বার মো: আজিজ, মো: আব্দুল আজিজ, সাবেক ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার মো: রবিউল ইসলাম, মো: কফিল উদ্দিন,(মেম্বার) মো: আমান উদ্দিন,(মেম্বার), ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ সম্পাদক মো: আবুল কালাম রিপন, তুরাগ থানা স্বেচছাসেবকলীগের সভাপতি মো: সাদেক হোসেন, সহসভাপতি মো: রফিকুল ইসলাম, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো: ইসমাইল হোসেন সিরাজী, তুরাগ থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মো: নাছির উদ্দিন নাছিম, সাবেক ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: মুনসুর আহমেদ, আওয়ামীলীগ নেতা মো: সিরাজুল ইসলাম ওমর, উত্তরা-তুরাগ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির সভাপতি হাজী মো: আবুল হাসেম (মাতাব্বর),বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়ন,তুরাগ ও উত্তরা শাখার সভাপতি মো: মোস্তফা (মাতাব্বর,) স্থানীয় যুবলীগ নেতা মো: ছফুর উদ্দিন, মো: নবীন হোসেন, মো: ইয়ানুছ মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা মো: আবুল কাশেম সহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচছাসেবকলীগ, মহিলালীগ সহ সহযোগী অংগ সংগঠনের নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
উত্তরা প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটির পক্ষ থেকে হাবিব হাসানকে ফুলের শুভেচ্ছা
উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটির নতুন কমিটির পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন স¤পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিব হাসানকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান উত্তরা প্রেসক্লাব সোসাইটির সাংগঠনিক উপদেষ্টা বদরুল আলম মজুমদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন ডালী, সভাপতি রাসেল খান, সাধারন স¤পাদক মাহাফুজুল আলম খোকন,সাংগঠনিক স¤পাদক স্বপন রানা সোহেল, আবু তাহের, গাজী তারেক প্রমুখ।
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ স¤পাদক আলহাজ্ব হাবিব হাসান উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটির নতুন কমিটির সকলকে শুভকামনা জানান এবং তিনি আরো বলেন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার জন্য বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে যদি আমার নাম আসে তাহলে আপনারা দ্বিধাবোধ করবেন না। আমি আপনাদের নিউজ দেখে শিক্ষা নিতে চাই যাতে পরবর্তীতে আমার আর কোন ভুল না হয়। এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কোন নেতারা যদি তাদের কোন স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করে আপনার নিউজের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিবেন।আমার সহযোগিতা সব সময় আপনাদের সাথে থাকবে।
মাদকমুক্ত ও নিরাপদ সমাজ গড়তে অঙ্গীকারবদ্ধ মামুন সরকার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নব-গঠিত ৫১ নং ওয়ার্ডের প্রধান প্রধান সড়কগুলো থেকে শুরু সেক্টরের অলিগলিতেও ঝুলছে মিষ্টি কুমড়া, ঠেলাগাড়ি, টিফিন ক্যারিয়ার, ঘুড়ি, ব্যাডমিন্টন ও লাটিম প্রতীক সহ সাদাকালো পোষ্টারের ছড়াছড়ি। এমন অবস্থায় নির্বাচনে জয়ী হতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা। গতকাল ভোটের মাঠে উত্তরা ১২ নং সেক্টর সহ আশপাশের এলাকাগুলোতে ভোটারদের কাছে ভোট চাইতে দেখা গেছে এই ওয়ার্ডের তরুণ ও যুবসমাজের প্রতিনিধি খ্যাত কাউন্সিলর প্রার্থী মোঃ মামুন সরকারকে। এসময় তিনি এলাকাবাসীর উন্নয়নে কাজ করার প্রতিশ্রুতি জানিয়ে বলেন, উত্তরা ১২নং সেক্টরটি ৫১নং ওয়ার্ডের বর্ডার এলাকা। এখানে অনেক ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী। বিশেষ করে রাস্তুাঘাটগুলো অনুন্নত ও পর্যাপ্ত খেলাধুলার জায়গা স্বত্মতার কারণে এখানকার শিশুরা সুস্থ্যধারার বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আমি এখানকার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলে অবশ্যই এই সমস্যাগুলোকে স্থায়ীভাবে নিরসন করবো। এ সময় ৫১ নং ওয়ার্ডে মিষ্টিকুমড়া মার্কায় কাউন্সিলর প্রার্থী মোহাম্মদ মামুন সরকার উত্তরা নিউজকে বলেন, আমি আমার ৫১নং ওয়ার্ডের তরুণদের প্রতি একটাই অনুরোধ করি, যাতে তারা মাদক থেকে ফিরে আসে। তরুণ ও যুবসমাজকে সাথে নিয়ে আমি একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে অত্র ৫১নং ওয়ার্ডকে গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা আমার একান্ত প্রয়োজন। কাউন্সিলর প্রার্থী মামুন সরকার বলেন, ৫১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসতে পারলে এখানকার খেলার মাঠগুলোকে উপর্যুক্ত প্রযুক্তির সমন্বয়ে আধুনিক ও খেলাধুলার উপযোগী করে গড়ে তুলবো। অন্যদিকে শিশু থেকে শুরু করে সকলেই যাতে ওয়ার্ডের রাস্তুাঘাটগুলোতে নিরাপদে চলাচল করতে পারে, সেদিকে আমি বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখবো। ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনে নবগঠিত ৫১নং ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলর প্রার্থী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকণ্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২১/৪১ বাস্তুবায়নের লক্ষে ঢাকা উত্তরের এই ৫১নং ওয়ার্ডকে সকল আধুনিক সুযোগ সুবিধার অন্তর্ভূক্ত করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার জন্যই আমি কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ্ এবং ঢাকা ১৮ আসনের বার বার মাননীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের হাতকে এই অঞ্চলে সু-প্রতিষ্ঠিত করতে আমি সবসময়ই কাজ করে যাবো। এজন্য এলাকাবাসীর দোয়া, সমর্থণ ও ভালোবাসাই একান্তভাবে কামনা করি। উল্লেখ্য যে, উত্তরা ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নং সেক্টর নিয়ে গঠিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫১নং ওয়ার্ড। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনে ৫১ নং ওয়ার্ড থেকে ৭-৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে মোহাম্মদ মামুন সরকার পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত।
আনন্দ ধারা একাডেমি’র বসন্ত উদযাপন সম্পন্ন
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি উত্তরার ৭ নং সেক্টরের লেক ড্রাইভ রোডে জাতীয় বসন্ত বরন অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়। এতে অংশ গ্রহণ করেন উত্তরাস্থ বিভিন্ন স্কুলসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একাডেমী গুলো। সেই সাথে অংশগ্রহণ করেন আনন্দ ধারা একাডেমী। উক্ত একাডেমী থেকে নৃত্যে অংশ গ্রহন করেন নুপুর, ঝর্ণা, শিউলি এবং নাট্য ও কবিতা আবৃত্তিতে অংশগ্রহণ করেন মেহেদী, আহাদ সহ আরও অনেকে। এসময় আনন্দ ধারা একাডেমীর নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তির পরিচালনায় ছিলেন উক্ত একাডেমীর পরিচালক আইরিন।
৫১ নং ওয়ার্ডের বিভিন্নস্থানে ঠেলাগাড়ি প্রার্থীর পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে
উত্তরা ১১,১২,১৩ ও ১৪ নং সেক্টর নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫১ নং ওয়ার্ড গঠিত। ভোটের মাঠে শুরু থেকেই এখানকার সকল প্রার্থীদের পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে উত্তরার প্রধান প্রধান সড়কগুলোর চারপাশ। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় পিছিয়ে নেই অত্র ওয়ার্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ইফতেখারুল ইসলাম জুয়েল। ‘ঠেলাগাড়ি’ প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে এলাকার সবকটি সেক্টরেই এই তরুণ প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছে স্থানীয় যুবসমাজ। তবে অভিযোগ উঠেছে, শুরু থেকেই ইফতেখারুল ইসলাম জুয়েলের নির্বাচনী পোস্টারগুলো ছিড়ে ফেলছে প্রতিপক্ষরা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে প্রমাণ মিললো সেই চিত্রেরই। উত্তরা ১১,১২,১৩ ও ১৪ নং সেক্টরগুলো ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানেই জুয়েলের পোস্টারের দড়ি কেটে রাস্তায় ফেলা রাখা হয়েছে। এমনকি এই তরুণ প্রার্থীর পোষ্টারের উপর পোষ্টার টানিয়ে দিয়েছে অনেকেই।
এ প্রসঙ্গে ঠেলাগাড়ি প্রতীকের প্রার্থী ইফতেখারুল ইসলাম জুয়েল উত্তরা নিউজকে জানায়, আমার জনপ্রিয়তা দেখে হয়তো অন্যদের সহ্য হচ্ছে না। এলাকার তরুণ সমাজ আজ আমার পক্ষ নেয়ায় তারা জ্বলে পুড়ে মরছে। রাজনীতির মাঠে এগুলো ঠিক নয়। প্রতিহিংসার রাজনীতিতে আমি বিশ্বাসী নই, তাই যারা এধরনের কাজে লিপ্ত হচ্ছে তারা কখনোই বিজয়ী হতে পারবে না। জনগণের দোয়া ও সমর্থণ সাথে নিয়েই যতদিন সম্ভব পথ চলবো। যারা আমার পোস্টার ছেড়ার মত ঘৃণ্য কাজ করেছে তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই, কেবলমাত্র পোস্টার ছিড়লেই জনগণ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করা যাবেনা। জনগণ নিশ্চয়ই আগামী ২৮ তারিখ ঠেলাগাড়ি মার্কায় ভোট দিয়ে তাঁদের যোগ্য প্রার্থীকেই নির্বাচিত করবে ইনশাআল্লাহ্।
হাবিব হাসানের সাক্ষাতে উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটি’র নেতৃবৃন্দ
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিব হাসানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটি’র নেতৃবৃন্দগণ। বুধবার সন্ধ্যা ৭:৪০ মিনিটে উত্তরা ৩নং সেক্টরে অবস্থিত হাবিব হাসানের কার্যালয়ে এই সাক্ষাৎকার ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়। এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদকের কাছে ‘উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটি’র প্রচারপত্র তুলে ধরেন ক্লাবের সাংগঠনিক উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংবাদিক বদরুল আলম মজুমদার। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থিত সাংবাদিকগণ স্ব-স্ব পরিচয় প্রদান করেন।
এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আলহাজ্ব হাবিব হাসান বলেন, “উত্তরার সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সকলেই আমার পূর্ব পরিচিত। আপনাদের পাশে আমি পূর্বেও ছিলাম আর এখনও আছি। আপনারা নিষ্ঠার সাথে আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন এটাই আমার অনুরোধ। এতে করে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি।”
এসময় তিনি ভুইফোঁড় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে বলেন, “আওয়ামীলীগ করলে আওয়ামীলীগের নিয়ম-কানুন আমাদের মানতে হবে। শেখ হাসিনা ক্ষমতা এনে দিবে, আর ভূইফোঁড় নেতারা দেশে লুটপাট করে খাবে, এটা কখনোই কাম্য নয়। বরং এগুলো শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধতার দিকেই ঠেলে দেয়। আওয়ামীলীগের ভেতর হোক কিংবা বাহির হোক এধরনের নেতাকর্মীদের কোনরকমই ছাড় দেয়া যাবে না। আপনারা সাংবাদিক হিসেবে সকল প্রকার অন্যায় তুলে ধরুন।”
হাবিব হাসান বলেন, “সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে আমি শরীরের রক্ত ঝড়লেও তাতে প্রস্তুত আছি কিন্তু কোন অসত্যকে প্রশয় দিতে আমি রাজি নই। আপনারা যাঁরা সাংবাদিকতার মতো মহান পেশায় নিয়োজিত আছেন, দেশ ও জাতির কল্যাণে সত্যকে আপনারা তুলে ধরুন। এক্ষেত্রে যদি আমার কোন ভুলও আপনাদের চোখে লক্ষণীয় হয়, সেটিও তুলে ধরুন। যাতে করে সংশোধন হয়ে ভালো পথে ধাবিত হতে পারি। অন্যথায় যদি শুধুমাত্র বাহবা আর আমার চোখে ভালো সাজার জন্য সালামের পর সালাম দিয়ে যাচ্ছেন, তাহলে কিন্তু দিন দিন আমার অপরাধেও মাত্রাও বেড়ে যাবে। এজন্য আপনারা যাঁরা সাংবাদিক আছেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ সত্যকে তুলে ধরুন।”
ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের অভয় দিয়ে বলেন, “অন্যায়ের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়ে আপনাদের যতটুকু সমর্থন প্রয়োজন, তা আমি দিয়ে যাবো আপনাদের।” তিনি বলেন, আমি আরও স্পষ্ট করে বলতে চাই, আপনারা ভয় পাবেন না। ক্ষমতাসীন দলের কেউ অপরাধ করে থাকলেও, তাদেরকেও ছাড় দিবেন না, বস্তুনিষ্ঠভাবে সেগুলোও তুলে ধরুন। আপনাদের কোন ভয় নেই।”
অপরাধীদের সংখ্যা শতকরা ১ ভাগ উল্লেখ করে আলহাজ্ব হাবিব হাসান বলেন, “সমাজে শতকরা ৯৯ ভাগ মানুষই সাধারণ মানুষ। তারা অপরাধের সাথে জড়িত নয়। অন্যদিকে মাত্র ১ভাগ মানুষ অপরাধের সাথে জড়িত। আপনারা যদি ৯৯ ভাগ মানুষকে সাথে নিয়ে কাজ করেন, তাহলে ১ ভাগ অপরাধীরা কখনও আপনাদের উপর বিজয়ী হতে পারবে না।”
সবশেষ তিনি উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটির উপস্থিত নেতৃবৃন্দের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে সকলকে মিষ্টিমুখ করান। এসময় উত্তরা প্রেস ক্লাব সোসাইটি’র নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক উপদেষ্টা বদরুল আলম মজুমদার, সভাপতি রাসেল খান, সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন ডালী, সাধারন সম্পাদক মাহাফুজুল আলম খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন রানা সোহেল, আবু তাহের ও উত্তরা নিউজের স্টাফ রিপোর্টার মুহাম্মদ গাজী তারেক।