যাকাত প্রদান করা ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের একটি। প্রত্যেক পূর্ণবয়স্ক মুসলমানকে প্রতি বছর আয়-ব্যয়ের পর সঞ্চিত সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট অংশ যাকাত হিসাবে প্রদান করতে হয়। প্রতি বছর যাকাতের হিসাব করতে অনেকেই বিপাকে পড়েন।
কত টাকা যাকাত দিতে হবে তার হিসাব কষতে গিয়ে হিমশিম খান। তবে স্মার্টফোনের এ যুগে ‘যাকাতের হিসাব-নিকাশ’ অ্যাপটি ইন্সটল করা থাকলে মাত্র এক ক্লিকেই আপনার মুশকিল আসান হয়ে যাবে।
এক নজরে অ্যাপ্লিকেশনটির ফিচারগুলো
অ্যাপটির সাহায্যে যাকাতের মোট পরিমান সঠিকভাবে বের করা যাবে। এতে পাঁচ ক্যাটাগরিতে হিসাব করে যাকাতের পরিমাণ বের করার ব্যবস্থা রয়েছে।
মোট সোনা ও রুপা, নগদ ও ব্যাংকে জমা, জমি-জমা, বিভিন্ন মুনাফা ও মোট দায়ের উপর ভিত্তি করে যাকাতের সঠিক পরিমাণ বের করে দেবে অ্যাপটি।
ব্যবহারকারীকে শুধু নির্দিষ্ট অংশে টাকার মোট পরিমান বসালেই হবে। তারপর ক্যালকুলেট বাটনে চাপলেই কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ বের হয়ে যাবে ।
সম্পূর্ণ অফলাইনেও কাজ করবে অ্যাপ্লিকেশনটি। তাই একবার ডাউনলোডের পর আর ইন্টারনেট সংযোগের প্রয়োজন হবে না।
তিন টাকার বিনিময়ে অ্যাপ্লিকেশনটি কেনা যাবে দেশীয় অ্যাপ্লিকেশন মাকেটপ্লেস অ্যাপবাজারের এ ঠিকানা থেকে।
ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে নবজাতকের ছবি দেওয়ার ঘটনা নতুন নয়। এবার সরাসরি সন্তান জন্ম দেওয়ার ঘটনা সম্প্রচারের ঘটনাও দেখা গেল। ফেসবুকের লাইভ ভিডিও ফিচারটি ব্যবহার করে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ফাকামালো কিহে এইকি নামের এক ব্যক্তি। হাসপাতালে তাঁর সন্তান জন্মের ঘটনাটি সরাসরি সম্প্রচার করেন। গত সোমবার এই ভিডিওটি প্রচার করা হলে দুই হাজারের বেশি মানুষ তা দেখে। ওই ভিডিও দেখে অনেকে ইতিবাচক মন্তব্যও করে। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। তথ্যসূত্র: হাফিংটন পোস্ট।
https://youtu.be/Nl39gxpqEUM?t=23
অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা সাবধান! আপনার ফোনে হয়তো ঘাপ্টি মেরে বসে আছে ভয়ঙ্কর ম্যালওয়্যার। নাম 'গডলেস'। জানা গিয়েছে, এই ম্যালওয়্যারটি ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
ম্যালওয়্যার-এর পুরো নাম ম্যালিসিয়াস সফটওয়্যার। এটি একটি বৃহত্তর সংজ্ঞা। যে কোনও সফটওয়্যার যা ক্ষতিকারক, তাই ম্যালওয়্যার। এর আওতায় যেমন থাকতে পারে কম্পিউটার ভাইরাস। তেমনই থাকতে পারে ওয়ার্ম, ট্রোজান হর্স, রানসমওয়্যার, স্পাইওয়্যার, অ্যাডওয়্যার, স্কেয়ারওয়্যার এবং অন্যান্য ক্ষতিকারক প্রোগ্রাম। এটি কখনও একজিকিউটেবল কোড (.exe), স্ক্রিপ্ট, অ্যাক্টিভ কন্টেন্ট এবং অন্যান্য সফটওয়্যারের আকারে দেখা দিতে পারে।
মোবাইল নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্থা "ট্রেন্ড মাইক্রো" নিজেদের সাম্প্রতিকতম ব্লগে এই ম্যালওয়্যার নিয়ে ব্যবহারকারী এবং ফোন সংস্থাগুলিকে সতর্ক করেছে। 'গডলেস' নিয়ে ওই ব্লগে তারা লিখেছে, অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের নিরাপত্তায় একটি বড় বিপদ এসেছে। আশঙ্কা, অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ ও তার আগের ভার্সান যে ফোনে রয়েছে, মূলত সেখানেই হানা দিচ্ছে "গডলেস"।
অর্থাৎ, বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ শতাংশ অ্যান্ড্রয়েড ফোনই এই ম্যালওয়্যারের শিকার হতে পারে। আরও উদ্বেগের খবর হল, ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ ফোনে থাবা বসিয়েছে এই মারাত্মক ম্যালওয়্যার, যার অর্ধেকের বেশি ভারতেই। "ট্রেন্ড মাইক্রো" জানিয়েছে, ভারতে এই ম্যালওয়্যার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
নিরাপত্তা সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, 'গডলেস' ম্যালওয়্যারটি অত্যন্ত চালাক। অ্যাপের (অ্যাপলিকেশন) মধ্যে লুকিয়ে থাকে সেটি। টেরও পাওয়া যায় না। ফোনে অ্যাপ ডাউনলোড করার সঙ্গে সেটিও ফোনে ঢুকে পড়ে। তারপর থেকেই খোলস ছেড়ে আসল রূপে চলে আসে গডলেস। প্রথমে সেটি অ্যান্ড্রয়েড রুটিং টুলস'কে ব্যবহার করে স্মার্টফোনে নিজের প্রভাব বিস্তার শুরু করে।
একবার পুরোপুরি ঘাঁটি গড়ার পর শুরু হয় আসল খেলা। আপনার ফোনের পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে যায় গডলেস এর হাতে। তারপর সেটি আপনার ফোন নিয়ে যা খুশি করতে পারে। যেমন, আপনি জানতেও পারবেন না, অথচ বিভিন্ন অ্যাপ আপনার ফোনে ডাউনলোড হয়ে যাবে। আবার, ব্যবহারকারীর ফোনে অপ্রয়োজনীয় স্প্যাম অ্যাপ চলে আসে। অহেতুক বিজ্ঞাপন বারবার ভেসে ওঠে ফোনে।
এখানেই শেষ নয়। আরও বড় আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে "ট্রেন্ড মাইক্রো"। তারা জানিয়েছে, এই ম্যালওয়্যারটি আপনার ওপরও নজরদারি চালাতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এমন প্রমাণও মিলেছে। 'গডলেস' এতটাই চালাক যে, এই ম্যালওয়্যারটির সাম্প্রতিকতম ভার্সান গুগল প্লে-র মতো অ্যাপ স্টোরের অত্যাধুনিক এবং উচ্চ নিরাপত্তা সিস্টেমকেও বাইপাস করতে সক্ষম।
"গডলেস" অ্যান্ড্রয়েডে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আরও একটি কারণে। তা হলো- একবার ফোনে ঢোকার পর এটিকে আন-ইনস্টল বা ফোন থেকে সরিয়ে দেওয়া অত্যন্ত দুষ্কর।
তাহলে গডলেস কে আটকানোর উপায় কি? সংস্থাটির মতে, যে কোনও অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে ভাল করে তার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক বা ওই অ্যাপ সম্পর্কে বা তার নির্মাণকারী সংস্থার সম্পর্কে ভাল করে জেনে নেওয়া উচিত। কারণ, নতুন ডেভেলপারদের হাত ধরেই অধিকাংশ সময়ে ম্যালওয়্যারগুলি প্রবেশ করে। অনেক সময় এটা করাটা শ্রমদায়ক এবং বিরক্তিকর হতে পারে। তবে, সাবধানের মার নেই।
পাশাপাশি, সকল অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর উদ্দেশে ট্রেন্ড মাইক্রো-র পরামর্শ, বিশ্বস্ত অ্যাপ স্টোর যেমন গুগল প্লে স্টোর বা অ্যামাজন থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করা উচিত। একই সঙ্গে, ফোনের নিজস্ব সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে চালু রাখা, যাতে এ ধরনের ম্যালওয়্যার প্রবেশ না করতে পারে।
সূত্র: এপিবি
সাধারণ ফোনে অফলাইনে টাকা লেনদেনের সেবা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে ডিজিটাল মানি(ডি.মানি)।ডি.মানি’র ওয়ালেট কিংবা সেবা নিতে গ্রহীতাদের স্মার্টফোন এমনকি ইন্টারনেট ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই। নিরাপদ ডি.মানি এনএফসি প্রযুক্তি সম্পন্ন চিপ ও পিন কার্ড ব্যবহার করে উক্ত অর্থনৈতিক বিষয়ক সেবা গ্রহণ করা যাবে। ডি.মানি ব্যবহার করার ফলে অর্থ লেনদেনের জন্য কোনো ব্যাংকেও যেতে হবে না গ্রাহকদের।
এই প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে বাজেট ধরা হয়েছে পাঁচ মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ৪০ কোটি টাকা । সিনটেক’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরেফ আর. বশির এবং মাইক্রোসফট বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবিরের যৌথ পরিচালনায় ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (ফিনটেক)-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডি.মানি বাংলাদেশ লিমিটেড যাত্রা শুরু করেন।
শুরুতেই উদ্দীপন অ্যানার্জি লিমিটেড (ইউইএল)-এর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছে ডি.মানি। চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশে উদ্দীপনের সেবা গ্রহণকারীদের ডিজিটাল কারেন্সি পেমেন্ট নেটওয়ার্ক সেবা দিবে ডি. মানি। বাংলাদেশের এমএফআই সম্প্রদায়ের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সৃষ্টিশীল সেবা প্রদান করবে ডি.মানি ও উদ্দীপন।
উদ্দীপনের সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে যারা অর্থের লেনদেন কোনো ইলেক্ট্রনিক বা ব্যাংকিং উপায়ে করেন না, তারা লোন সংগ্রহ, টাকা জমার রশিদ কিংবা টাকা ফেরত, এজেন্ট ব্যাংকিং, মার্চেন্ট ক্রয়/ নিবন্ধন, ইন্সুরেন্স প্রিমিয়াম সংগ্রহ, অভিযোগ গ্রহণ এবং বিল পরিশোধ করতে পারবেন ডি.মানি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে। এমনকি সেবাগ্রহণকারীরা নিজেদের ফিচার ফোনের মাধ্যমেও দি মানি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে টাকা লেনদেনের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
এছাড়া ইলেক্ট্রনিক কেওয়াইসি কম্পায়েন্স, ই-কমার্স এবং নন-কোর ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস দিবে ডি.মানি।
ইউইএল’র চেয়ারপারসন মোঃ ইমরানুল চৌধুরী বলেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, ডি.মানি’র সঙ্গে মিলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বাংলাদেশের সুবিধা বঞ্চিত জনগনকে অর্থনৈতিক বিষয়ক সেবা দিতে আমরা সক্ষম এবং এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ।’
দি মানি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা আরেফ আর. বশির বলেন, ‘ উদ্দীপনের সঙ্গে মিলে কাজ করার ব্যাপারে আমি অনেক বেশি উৎফুল্ল। দেশের ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভিন্ন ভিন্ন সেবাগ্রহীদের মাঝে আমরা আমাদের সেবার পরিধি বৃদ্ধি করব। আমি বিশ্বাস করি, সৃষ্টিশীল ও উদ্ভাবণী প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের শেষ প্রান্ত পর্যন্ত আমরা আমাদের অর্থনৈতিক বিষয়ক ডিজিটাল সেবা পেীঁছে দিতে সক্ষম হবো।’
মাইক্রোসফট বাংলাদেশ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির বলেন, ‘১০০ ভাগ দেশীয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে মানসম্মত সেবা প্রদানের মাধ্যমে আমরা ডি.মানিকে বিশ্ব বাজারে সমাদৃত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। বাংলাদেশে নারীদের মাঝে প্রযুক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে আমি সবসময় দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য ডি.মানি অর্থনৈতিক লেনদেনের চিরাচরিত চেহারাই পাল্টে দেবে।’
কচি হলেও কাঁচা নয় সে। যে বয়সে আমাদের দেশের অধিকাংশ মেয়ে পুতুলের ঘর নিয়ে ব্যস্ত থাকে সেই বয়সেই আইফোনের জন্য আস্ত একটা অ্যাপ বানিয়ে ফেলেছে আনভিথা বিজয়। নয় বছর বয়সী আনভিথা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন প্রবাসী এক ভারতীয় দম্পতির কন্যা।
মাত্র ৯ বছর বয়েসে আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য জন্তুজানোয়ার নিয়ে একটি অ্যাপ বানিয়েছে আনভিথা। নাম 'স্মার্টকিনস অ্যানিম্যাল'।
এ বছর সান ফ্রান্সিসকোয় অ্যাপেলের ডেভেলপার কনফারেন্সে সর্বকনিষ্ঠ ডেভেলপার হিসেবে স্কলারশিপ জিতে নিয়েছে সে। তার পরই সেলিব্রেটির খ্যাতি জুটেছে তার কপালে।
আপাতত অটোগ্রাফ সই করতে ব্যস্ত ন’বছরের এই কিশোরী। সেলফি তুলছে নামজাদা সব ডেভেলপারের সঙ্গে। অ্যাপেলের কর্ণধার টিম কুকের সঙ্গেও চলছে গল্পগুজব।
এ বছর অ্যাপেলের ওই সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় পাঁচ হাজার ডেভেলপার। তার মধ্যে ২৫০ জন খুদে ডেভেলপারকে অ্যাপেল সান ফ্রান্সিসকোয় নিয়ে গিয়েছিল নিজেদের খরচে।
কিন্তু অ্যাপ বানানো কী করে শিখল ৯ বছরের ছোট্ট আনভিথা? সে জানিয়েছে, ইউটিউব ভিডিও দেখে সে শিখেছে সফটওয়্যারের কোডিং! সাত বছর বয়স থেকে অ্যাপ বানানোর চেষ্টা করছিল সে। সাফল্য মিলেছে নয়ে।
সূত্র- ইউএসএ টুডে
কৃত্রিম উপায়ে শরীরের বাইরেই মানবশিশুর জন্ম-প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণায় গবেষকরা দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারবোর্ড সংবাদ সংস্থা। এই প্রক্রিয়াতে শিশুর জন্ম হবে মায়ের গর্ভের মতই একটি টিউবে! গবেষকরা বলছেন, বর্তমানে সেরগেসি প্রক্রিয়াতে একটি শিশু তার প্রকৃত মায়ের গর্ভে না হয়ে অন্য একজন সাহায্যকারী কিংবা ভাড়ায় সন্তান প্রসব করে এমন মায়ের গর্ভে জন্ম হয়। এতে সন্তান নিজের গর্ভে নিতে চাননা এমন মায়েদের জন্য আলাদা করে সারোগেট মাদার’ বা গর্ভ ভাড়া নেওয়ার প্রয়োজন হয়। তবে নতুন এই প্রক্রিয়াতে আর গর্ভ ভাড়া করার কোন দরকার নেই। এদিকে গবেষকরা দাবি করছেন, ‘একটোজেনেসিস’ নামের এই পদ্ধতি ২০৩৪ সাল নাগাদ ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে এবং ওই সময় থেকে মেশিনে শিশুর জন্ম সম্ভব হবে। ফলে শিশুর মৃত্যুহার একই সাথে সন্তান জন্ম দেয়ার সময় মাতৃ মৃত্যুহার অনেক অংশে কমে যাবে। কিভাবে একটি যন্ত্রে শিশুর জন্ম হবে এবং বেড়ে উঠবে? এমন প্রশ্নে গবেষকরা তাদের উদ্ভাবিত যন্ত্রের গঠন উল্লেখ করে দেখান, একটি বিশেষ টিউবে শিশুর ভ্রূণ বিকশিত করা হবে। সেখানেই শিশু ধীরে ধীরে মায়ের গর্ভের মত বেড়ে উঠবে। সম্পূর্ণ যন্ত্র ফ্লুইড দিয়ে ভরা থাকবে এবং এর থেকে বিভিন্ন ক্যাবল এবং তার দিয়ে আধুনিক সব যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত থাকবে। এসব যন্ত্রের মাঝে থাকবে শিশুর জন্য খাদ্য তৈরি চেম্বার, আলাদা শ্বাস-প্রশ্বাস চালানোর যন্ত্র। এতদিন এই যন্ত্র ব্যাক্টেরিয়া এবং বিভিন্ন পশুর জন্ম বৃদ্ধিতে ব্যবহার হলেও এখন এটি মানুষের জন্য ব্যবহার করা হবে। এদিকে এই যন্ত্রের উদ্ভাবন নিয়ে সারা দুনিয়াতে অনেকেই একে মানুষকে কৃত্রিম করে ফেলার একটি ষড়যন্ত্র বলে দাবি করছেন। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছেন, এভাবে মানুষ মেশিনে জন্ম দিলে মা ও সন্তানের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট হবে, পরিবারের প্রতি শিশুর আকর্ষণ থাকবে না। মানুষে মানুষে ভালোবাসা নষ্ট হয়ে যাবে। তবে গবেষকরা বলছেন, এই গবেষণা এখন যে অবস্থায় আছে এতেও শিশুর জন্ম মেশিনে দেয়ার চেষ্টা করা যায় কিন্তু এখনো এটি কিছু আইনি এবং নৈতিক বাধা থাকায় বাস্তবে সম্ভব হচ্ছে না। সুত্র : এই সময়।