ইসলাম ও আরাকান
রোহিঙ্গা ইতিহাসবিদদের মতে, আরবি শব্দ ‘রহম’ (দয়া করা) থেকে রোহিঙ্গা শব্দের উদ্ভব। খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে আরবের বাণিজ্য জাহাজ রামব্রি দ্বীপের তীরে এক সংঘর্ষে ভেঙে পড়ে। জাহাজের আরবীয় মুসলমানরা ভাসতে ভাসতে কূলে ভিড়লে ‘রহম’ ‘রহম’ ধ্বনি দিয়ে স্থানীয় জনগণের সাহায্য কামনা করতে থাকে। রহম শব্দই বিকৃত হয়ে রোয়াং হয়েছে বলে রোহিঙ্গারা মনে করে। একজন ইসরায়েলি লেখক Moshe Yegar তাঁর ‘Between Integration and Secession : The Muslim Communities of the Southern Philippines, Southern Thailand and Western Burma/Myanmar’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, মুসলমানরা বার্মায় তাদের বসতি স্থাপনের প্রথম থেকেই রাজকীয় উপদেষ্টা, প্রশাসক, বন্দর কর্তৃপক্ষ, মেয়র, স্থানীয় চিকিৎসকসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছে।
আরাকানের মুসলিম ঐতিহ্যের রয়েছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। সর্বপ্রথম হজরত আবু ওয়াক্কাস ইবনে ওয়াইব (রা.) রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর জীবদ্দশায় (৬১৭-৬২৭ খ্রিস্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে) আরাকান অঞ্চলে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে আসেন। ওমর ইবনে আবদুল আজিজের (রহ.) শাসনামলে আরাকানের শাসকদের সঙ্গে আরবীয় মুসলমানদের যোগাযোগের বিষয়টিও প্রমাণিত। তবে দশম ও একাদশ শতাব্দীতে আরব বণিক ও সুফি-সাধকদের ব্যাপক আগমনের ফলে আরাকান অঞ্চলে দ্রুত ইসলামের প্রচার হতে থাকে। তাই বলা যায়, মিয়ানমারে মুসলমানদের ইতিহাস প্রায় ১২০০ বছরের পুরনো। গত সহস্রাব্দের প্রথমার্ধে আরাকানের বৌদ্ধ রাজা বিদ্রোহীদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত হলে তাঁর অনুরোধে গৌড়ের সুলতান কয়েক দফায় সেখানে সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন।
১৪৩২ সালে গৌড়ের সেনাপতি সিন্দি খান আরাকানের প্রাচীন রাজধানী ম্রোহংয়ে মসজিদ নির্মাণ করেন। ওই সময় থেকেই বৃহত্তর চট্টগ্রাম ও স্বাধীন আরাকান রাজ্যের জনগণের মধ্যে ভ্রাতৃত্বমূলক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ধীরে ধীরে আরাকানে মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং রাজসভায় বাংলা ভাষা বিশেষ স্থান লাভ করে। মহাকবি আলাওল, শাহ মুহম্মদ সগির ও মাগন ঠাকুরের মতো মধ্যযুগের বিখ্যাত কবিরা আরাকান রাজ্যের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করেন।
মগের মুলুকের সেকাল-একাল
‘মগের মুলুক’ বাংলাদেশে একটি সুপরিচিত বাগধারা। বাংলা একাডেমি এর অর্থ লিখেছে—১. ব্রহ্মদেশ বা আরাকান রাজ্য। ২. অরাজক রাষ্ট্র, যে রাজ্যে আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত নয়, যেখানে যথেচ্ছাচার হয়। বার্মিজরা ঐতিহাসিকভাবেই বর্বর, নিষ্ঠুর। মানুষের গলায় দড়ি বাঁধা, হত্যা, ধর্ষণ, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া রাখাইনদের পুরনো অভ্যাস। ‘ইস্ট ইন্ডিয়া ক্রোনিকলস’-এর বর্ণনায় জানা যায়, ১৭১৮ সালে বার্মার রাখাইন রাজা দক্ষিণবঙ্গ তছনছ করে অন্তত এক হাজার ৮০০ জন সাধারণ অধিবাসীকে ধরে নিয়ে যান। বন্দিদের রাজার সামনে হাজির করা হলে রাখাইন রাজা সেখান থেকে বেছে বেছে এক দলকে তাঁর নিজের দাস বানান, আর অবশিষ্টদের গলায় দড়ি বেঁধে ক্রীতদাস হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেন। মগের মুলুক বলতে জোর যার মুলুক তার। এ বাগধারা মিয়ানমারের মগদের বর্বরতা ও দস্যুপনা থেকেই এসেছে।
সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমাংশে তখনকার বাংলা বা বঙ্গদেশ খুব সমৃদ্ধ ছিল। ওই সময় দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ‘মগ’ জাতির দস্যুরা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে খুব লুটপাট ও ডাকাতি করত। বর্তমানে যারা রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর আক্রমণ করছে, তাদের বলা হচ্ছে রাখাইন উপজাতি। এ রাখাইন উপজাতির আগের নাম মগ। সেই মগরাই ৪০০ বছর আগেও অত্যাচার ও লুটপাট চালাত। তখনকার আমলের মোগল সাম্রাজ্যের রাজধানী দিল্লি থেকে নিযুক্ত, তৎকালীন বাংলা-প্রদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থানকারী শাসনকর্তা বা সুবেদার, পরিস্থিতি সামলাতে না পেরে পালিয়ে গিয়েছিলেন। মগরা যা ইচ্ছা তাই করেছিল। অর্থাৎ তখন সরকার ছিল না, মোগলদের পরিবর্তে দেশের মালিক হয়ে গিয়েছিল মগ দস্যুরা। মুলুক শব্দটির অর্থ দেশ বা এলাকা ইত্যাদি। পর্তুগিজ নৌ-দস্যুদের সঙ্গে যখন আরাকানি বৌদ্ধরা হাত মিলিয়ে বাংলার উপকূলীয় এলাকায় সম্ভ্রমহরণ-লুণ্ঠন-হত্যার মতো জঘন্য কর্মে লিপ্ত হয় তখন থেকেই ‘মগ’ ও ‘মগের মুলুক’ জাতি ও দেশবাচক শব্দ দুটি অরাজকতার নামান্তররূপে ব্যবহৃত হতে থাকে। (তথ্যসূত্র : বঙ্গে মগ-ফিরিঙ্গি ও বর্গির অত্যাচার, মুহম্মদ আবদুল জলিল, বাংলা একাডেমি, পৃষ্ঠা ২৫)
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মগদের সাম্প্রতিক হত্যাযজ্ঞ তাদের পুরনো ইতিহাসের সাক্ষ্য বহন করে।
বিস্তারিত

ইসলামে আল আকসার গুরুত্বের কথা সবারই জানা থাকার কথা। পৃথিবীর ১৮০ কোটি মুসলমানের হূদয়ের স্পন্দন পবিত্র আল আকসা। পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল আকসার কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকায় এর গুরুত্ব আরো মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘পরম পবিত্র ও মহিমাময় সত্তা তিনি, যিনি স্বীয় বান্দাকে রাত্রিবেলায় ভ্রমণ করিয়েছিলেন মসজিদে হারাম থেকে মসজিদে আকসা পর্যন্ত, যার চারদিককে আমি বরকতময় করেছি, যেন তাকে আমার কিছু নিদর্শন দেখিয়ে দিই। ’ (সুরা বনি ইসরাইল : ১) এ আয়াতে ‘যার চারদিককে আমি বরকতময় করেছি’ বলে আল্লাহ তাআলা আল আকসার পাশাপাশি জেরুজালেমের গুরুত্বের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
পবিত্র কাবাঘর নির্মাণের ৪০ বছর পর নির্মিত হয় আল আকসা। তাই এটিই পৃথিবীর দ্বিতীয় প্রাচীনতম নগরী। ১৯৮১ সালে একে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে। পৃথিবীর বিভিন্ন সংস্থা ও গবেষকের মতে, এটি পৃথিবীর প্রাচীনতম শহর। তবে তা মক্কার পর দ্বিতীয় প্রাচীনতম শহর। একে পৃথিবীর কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ওল্ড সিটি ঘোষণার অনেক আগেই নবীজি (সা.) একে ওল্ড সিটি বা প্রাচীনতম শহরের মর্যাদা দিয়ে গেছেন। হজরত আবুজর গিফারি (রা.) বলেন, “আমি নবীজি (সা.)-কে প্রশ্ন করলাম—জমিনে কোন মসজিদ প্রথম তৈরি হয়েছিল? তিনি বললেন, ‘মসজিদে হারাম’।
একে পৃথিবীর কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ওল্ড সিটি ঘোষণার অনেক আগেই নবীজি (সা.) একে ওল্ড সিটি বা প্রাচীনতম শহরের মর্যাদা দিয়ে গেছেন। হজরত আবুজর গিফারি (রা.) বলেন, “আমি নবীজি (সা.)-কে প্রশ্ন করলাম—জমিনে কোন মসজিদ প্রথম তৈরি হয়েছিল? তিনি বললেন, ‘মসজিদে হারাম’। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, ‘মসজিদে আকসা’। আমি আবার জিজ্ঞেস করি, এ দুটির মধ্যে ব্যবধান কত? তিনি বললেন, ৪০ বছর। ” (বুখারি ও মুসলিম) পৃথিবীর ইতিহাসে আল আকসা প্রশ্ন হলো, আল আকসার অধিকার কাদের? ফিলিস্তিন, জেরুজালেম ও আল আকসা একচ্ছত্রভাবেই ছিল মুসলমানদের দখলে। নবীজি (সা.)-এর প্রিয়তম সাহাবি হজরত ওমর (রা.)-এর সময় ৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে তা নিয়মতান্ত্রিক দাওয়াতের মাধ্যমেই মুসলমানদের অধিকারে আসে। ৪৬১ বছর পর ১০৯৯ সালের ১৫ জুলাই খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা মসজিদটি দখল করে তার ভেতরে পরিবর্তন করে। গির্জায় পরিণত করে এর একটি অংশকে। খ্রিস্টানদের দখলে ৮৮ বছর থাকার পর ১১৮৭ সালে গাজি সালাহউদ্দিন আইয়ুবি খ্রিস্টানদের হাত থেকে আল আকসা উদ্ধার করে তাতে মুসলমানদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু বিভিন্ন কৌশলে ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী ভৌগোলিক দিক থেকে অত্যন্ত কৌশলগত এ পবিত্র স্থান দখলের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রাখে ইহুদি-খ্রিস্টানরা। পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ এ স্থানের সঙ্গে তাদের ধর্মের কোনো সম্পর্ক না থাকলেও এটি আয়ত্তের জন্য প্রয়োজনে ধর্মগ্রন্থ বিকৃত করে হলেও তা অধিকারের ষড়যন্ত্র করতে থাকে।
মানবতার শত্রু ইহুদি জাতি আল্লাহর পক্ষ থেকে অভিশপ্ত। হজরত মুসা (আ.)-এর সময় তাদের জন্য প্রদত্ত কুদরতি খাবারে অকৃতজ্ঞ হওয়ায় অভিশপ্ত হয়। প্রতি শনিবারে হজরত দাউদ (আ.)-এর জাবুর পাঠের সময় সমুদ্রের কিনারে মাছেরা যখন তিলাওয়াত শুনত, তখন ইহুদিরা ওই মাছগুলো ধরে নিত। আল্লাহ তাদের এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। তারা অপকৌশলে মাছ আটকেই রাখত। তাদের ওপর আল্লাহ তাআলার অভিশাপ নেমে আসে। তারা প্রথমে বানরে পরিণত হয়ে তারপর সব মারা যায়। যুগে যুগে তারা মানবতার শান্তির জন্য ছিল হুমকিস্বরূপ। তাই আল্লাহ কর্তৃক এরা অভিশপ্ত হয়। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তাদের ওপর আরোপ করা হলো লাঞ্ছনা ও পরমুখাপেক্ষিতা। ’ (সুরা বাকারা : ৬১) কোরআনের ভাষ্য অনুযায়ী এরা আসলেই পরমুখাপেক্ষী ছিল। এদের কোনো নিজস্ব ভিটা ছিল না। অভিশপ্ত এ জাতিকে কেউ মেনে নিতে পারেনি। কোনো ভয়ংকর সন্ত্রাসীকে যেমন কেউ নিজের গ্রামে রাখা নিরাপদ মনে করে না, অন্য জায়গায় সরিয়ে দিতে চায়, তেমনি ব্রিটিশরাও বিশ্বসন্ত্রাসী ইহুদিদের নিজেদের দেশে রাখা নিরাপদ মনে করেনি। মানবতার বিষফোড়া ইহুদিদের মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে তারা। ব্রিটিশরা পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে ইহুদিদের এনে মুসলমানদের সম্মানিত নগরী জেরুজালেমে পুনর্বাসিত করে তাদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করে। ১৯১৭ সালে জেরুজালেম ব্রিটেনের দখলে চলে গেলে শুরু হয় এক কালো অধ্যায়ের।
ব্রিটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস বেলফোর তাদের পরিকল্পনার কথা জানান ইহুদি আন্দোলনের নেতা ব্যারন রটসচাইল্ডকে। এ এলাকায় আগে থেকেই বসবাস করে আসা ইহুদিদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে ইহুদিদের এনে ফিলিস্তিনে অভিবাসনের প্রক্রিয়া। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের বাহিনী লাখ লাখ ইহুদিকে হত্যা করলে সেখান থেকেও হাজার হাজার ইহুদি অভিবাসী ফিলিস্তিনমুখী হয়। ইউরোপ থেকে হাজার হাজার ইহুদিকে ফিলিস্তিনে নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ইহুদিরা ফিলিস্তিনে দখলদার ব্রিটিশদের প্রত্যক্ষ মদদে জায়গা কিনে কিনে বসতি স্থাপন করতে থাকে। মুসলমানরা বুঝতে পারে যে তারা ক্রমেই তাদের মাতৃভূমির জমি হারাচ্ছে। এত দিনে ইহুদিরা ব্রিটেনের মদদে জায়গা দখল করে স্বাধীন ফিলিস্তিনের মোট ভূখণ্ডের ১০ শতাংশের মালিক হয়ে যায়। অন্যায়ভাবে বসবাসকারী ইহুদির সংখ্যা হয়ে যায় গোটা ফিলিস্তিনের জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ। ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয় জাতিসংঘ। আর ব্রিটেন ব্যাপারটি কৌশলে জাতিসংঘে নিয়ে যায়। জাতিসংঘ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ১০ শতাংশ জমির মালিকদের জন্য গোটা ফিলিস্তিনের অর্ধেকেরও বেশি ভূমি বরাদ্দ করে ১৯৪৮ সালের ১৫ মে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে।
জাতিসংঘ ইহুদিদের শুধু ফিলিস্তিনিদের জায়গা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। ভয়ংকর এক কৌশল অবলম্বন করে পবিত্র ও প্রাচীন নগরী জেরুজালেম নিয়ে। মুসলমানদের নিরঙ্কুশ মালিকানায় থাকা আল আকসাসহ জেরুজালেমের অধিকার ফিলিস্তিন-ইসরায়েল কাউকেই না দিয়ে এর আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা করে জাতিসংঘ। এতে ইসরায়েল খুবই খুশি হয়। কারণ, তা তো মূলত মুসলমানদের জায়গা। আপাতত আল আকসা ও জেরুজালেমের প্রকৃত মালিকদের নিরঙ্কুশ মালিকানার বিষয়টি প্রতিহত করা গেল। তবে এ ঘোষণার সময় জাতিসংঘের আইনে আল আকসা ও জেরুজালেমের মালিকানা এককভাবে ফিলিস্তিনিদের হাতে না থাকলেও তার বাস্তব নিয়ন্ত্রণ এককভাবে মুসলমানদের হাতেই ছিল। আল আকসায় কোনো ইহুদি প্রবেশ করতে পারত না। তা ছিল শুধুই মুসলমানদের। কিন্তু ইতিহাসে ‘ছয় দিনের যুদ্ধ’ নামে খ্যাত ১৯৬৭ সালের ৫ থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ইসরায়েল, মিসর, জর্দান ও সিরিয়ার মধ্যকার যুদ্ধে ইসরায়েল বিজয়ী হয়। এর মধ্য দিয়ে পুরো জেরুজালেমে বাস্তব নিয়ন্ত্রণও প্রতিষ্ঠা করে ইসরায়েল। পুরো আল আকসার একাংশকে তাদের ধর্মের পবিত্র স্থান ঘোষণা করে।
জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপন আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও আইন লঙ্ঘন করেই জেরুজালেমে ইহুদি বসতি স্থাপন অব্যাহত রাখে। তবে আজ পর্যন্ত কোনো রাষ্ট্রই জেরুজালেমে ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণকে বৈধতা দেয়নি। সব রাষ্ট্রই এর বিরোধিতা করে আসছে। এমনকি জেরুজালেমের বাস্তব নিয়ন্ত্রণ ইসরায়েলের হাতে চলে গেলেও এখনো মসজিদে আকসার সার্বিক পরিচালনা ফিলিস্তিনের নেতৃত্বাধীন ‘ইসলামী ওয়াকফের’ তত্ত্বাবধানেই রয়েছে।
জাতিসংঘ যখন দেখল যে জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিদের অধিকার ক্রমেই আন্তর্জাতিক সমর্থন লাভ করছে, তখন তারাও তাদের কৌশল পাল্টে ফেলে। জেরুজালেমে ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করে জাতিসংঘ। জেরুজালেম ইসরায়েলের অংশ হিসেবে ঘোষণার ব্যাপারটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৪৭৮ নম্বর প্রস্তাব দ্বারা বাতিল করা হয়। অন্যদিকে আল আকসায় ইহুদিদের ‘পবিত্র স্থান’ ঘোষণাকে নাকচ করে মুসলমানদের নিরঙ্কুশ মালিকানার কথা ঘোষণা করে। ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো তাদের ভোটাভুটির মাধ্যমে ঘোষণা করে যে মসজিদে আকসা কেবলই মুসলমানদের। এতে ইসরায়েলের কোনো অধিকার নেই। তাদের অধিকার না থাকায়ও তারা যে আগ্রাসন চালাচ্ছে, ইউনেসকো তারও প্রতিবাদ জানায়। সুতরাং আল আকসা ও জেরুজালেম সব আইনের ভিত্তিতেই শুধু মুসলমানদের। এতে ইহুদিদের কোনো অধিকার নেই। ১৮০ কোটি মুসলমান ঐক্যবদ্ধভাবে পদক্ষেপ নিলে ইহুদিরা এর নিয়ন্ত্রণ ছাড়তে বাধ্য হবে। যেহেতু এখানে মানবতা ও মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত। তাই মানবতাবোধের জায়গা থেকে অমুসলিমদেরও উচিত ইসরায়েলি দখলদারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া।
লেখক : জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কারি ও খতিব, বাইতুশ শফীক মসজিদ, গাজীপুর
বিস্তারিত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক রাজধানী দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ২১তম আন্তর্জাতিক পবিত্র কুরআন প্রতিযোগিতায় বিশ্বের ১০৩ জন প্রতিযোগীকে পিছনে ফেলে প্রথম স্থান অর্জন করেছে ১৩ বছর বয়সী বাংলাদেশি হাফেজ মুহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।
আল মামজার দুবাই সাংস্কৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার ( ১৫জুন) আল-কোরআন পুরস্কার সংস্থার প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম বু মুলহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স আহমদ বিন মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুমের কাজ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম ( ৫,৪৯২,৫০০ টাকা) প্রাইজ মানি নেন মুহাম্মদ তারিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, দুবাই ও উত্তর আমিরাত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল এস বদিরুজ্জামান, কনস্যুলেটের লেবার কাউন্সিলর এএসএম জাকির হোসেন, আমিরাতের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ-সহ বিভিন্ন দেশে থেকে আগত অতিথি বৃন্দ।
অন্যান্য বিজয়ীয়া হলেন, যথাক্রমে হুজাইফ সিদ্দিকী (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), মাদুর জোবে (গাম্বিয়া), আহমেদ বিন আব্দুল আজিজ ইব্রাহিম ওবাইদাহ (সৌদি আরব), রশিদ ইবনে আবদুল রহমান আলানি (তিউনিশিয়া), মোহনা আহমেদ (বাহরাইন), মোহাম্মদ হাদি আল-বশির (লিবিয়া), ওমর মাহমুদ সায়েদ আলী সৈয়দ আহমেদ রিফাই (কুয়েত), মোহামমু আবেকা (মৌরিতানিয়া), হাবিনানা মিকিনি (রওয়ানা) এবং মোহামেদ ইসমাইল মোহাম্মদ নাগিব তাহা (মিশর)।
বিস্তারিত

রোজা রাব্বুল আল-আমীনের এক অপূর্ব নিয়ামত। রমজান ধৈর্য্যের মাস। আর ধৈর্য্যের সওয়াব হলো বেহেশত। পবিত্র রমজানের ফজিলত ও মর্যাদা আসলে অপরিসীম। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেছেন, রাসুল (সা.) এরশাদ করেছেন- যখন রমজান মাস আসে আসমানের দরজাগুলো খুলে দেওয়া হয় এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়, আর শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়। -(বোখারী ও মুসলিম)
অপর এক হাদিসে এসেছে, হযরত সাহ্ল ইবনে সা’দ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) এরশাদ করেছেন- বেহেশতের আটটি দরজা রয়েছে। এর মধ্যে একটি দরজার নাম রাইয়ান। রোজাদার ব্যতিত আর কেউ ওই দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। -(বোখারী ও মুসলিম)
রোজাদারের খুশির বিষয় দুটি- যখন সে ইফতার করে, আর একবার যখন সে তার রবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রোজার বিনিময় লাভ করবে। -(বোখারী)
পবিত্র রমজান মাস মহান আল্লাহর সঙ্গে প্রিয় বান্দার প্রেম বিনিময়ের সবচেয়ে উত্তম সময়। এই মাসে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। তাই এ মাসের ফজিলত ও মর্যাদা অনেক।
এই মাসে যে ব্যক্তি আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশে একটি নফল আমল করল সে ওই ব্যক্তির সমান হলো, যে অন্য মাসে একটি ফরজ আদায় করলো। আর যে ব্যক্তি এই মাসে একটি ফরজ আদায় করলো সে ওই ব্যক্তির সমান হলো, যে অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায় করলো।
এটা এমন পবিত্র মাসের প্রথম দিক রহমত, মাঝের দিক মাগফিরাত, আর শেষ দিক হচ্ছে দোযখ থেকে মুক্তির। যে ব্যক্তি এই মাসে আপন অধীনস্থ দাস-দাসীদের কাজের বোঝা হালকা করে দেবে মহান আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন এবং তাকে দোযখ থেকে মুক্তি দান করবেন। (বায়হাকী)
হযরত আবু ওবায়দা (রা.) রমজানের গুরুত্ব সম্পর্কে আরেকটি হাদিস বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, হুজুর (সা.) এরশাদ করেছেন- রোজা মানুষের জন্য ঢালস্বরূপ যতক্ষণ পর্যন্ত তা ফেড়ে না ফেলা হয় (অর্থাৎ রোজা মানুষের জন্য জাহান্নাম থেকে মুক্তির কারণ হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তা নিয়ম অনুযায়ী পালন করা হয়)। (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে এ সম্পর্কে আরেকটি বর্ণনা এসেছে। তিনি বলেছেন, হুজুর (সা.) এরশাদ করেছেন- অনেক রোজাদার ব্যক্তি এমন রয়েছে যাদের রোজার বিনিময়ে অনাহারে থাকা ব্যতিত আর কিছুই লাভ হয় না। আবার অনেক রাত জাগরণকারী এমন রয়েছে যাদের রাত জাগার কষ্ট ছাড়া আর কিছুই লাভ হয় না। নেক আমল যদি এখলাস ও আন্তরিকতার সঙ্গে না হয়ে লোক দেখানোর উদ্দেশে হয় তাহলে এর বিনিময়ে কোনো সওয়াব পাওয়া যায় না। (ইবনে মাজাহ, নাসাঈ)
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) আরো বলেছেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে শরীয়ত সম্মত কোনো কারণ ছাড়া রমজানের একটি রোজাও ভাঙে সে রমজানের বাইরে সারাজীবন রোজা রাখলেও এর বদলা হবে না। (তিরমিযী, আবু দাউদ)
হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হযরত রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন- আল্লাহ তাআলা বলেন, সিয়াম ছাড়া আদম সন্তানের প্রতিটি কাজ বা আমলই তার নিজের জন্য। কিন্তু সিয়াম আমার জন্য। তাই আমি নিজেই এর পুরস্কার দেবো। সিয়াম হচ্ছে ঢাল (জুন্নাতুন)। তোমাদের কেউ সিয়াম দিবসে কোনো প্রকারেরই অশ্লীলতায় যেন লিপ্ত না হয় এবং ঝগড়া বিবাদ না করে। কেউ যদি তাকে গালি দেয় অথবা তার সঙ্গে ঝগড়া করে তাহলে সে যেন দুবার বলে- আমি সায়িম (রোজাদার)। (বুখারী শরীফ)।
বস্তুত রমজান মাসের ফজিলত বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। এই মাসের পবিত্রতা যাতে ক্ষুণ্ন না হয়, সে ব্যাপারে সবারই সচেষ্ট হওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে, রমজান মাস আল্লাহ জাল্লা শানুহুর খাস মাস। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে পবিত্র রমজানের ফজিলত জেনে বেশি বেশি নেক আমল করার তৌফিক দান করুন। -আমিন।
বিস্তারিত
‘চাঁদ দেখে রোজা রাখ; চাঁদ দেখে রোজা খোল’ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদিসের আলোকে রোজার রাখা মানে হলো ভোর রাতে সাহরি খাওয়া এবং খোলা মানে হলো সুর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন পবিত্র রমজান মাসের সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রণয়ন করেছে।
এ সময়সূচিতে সেহরির শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবেহ সাদিকের ৩ মিনিট আগে ধরা হয়েছে এবং ফজরের ওয়াক্তের শুরু সুবেহ সাদিকের ৩ মিনিট পর ধরা হয়েছে।
সেহরির সতর্কতামূলক শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর ফজরের আজান দিতে হবে। সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলকভাবে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় ঠিক করা হয়েছে।
রোজা রাখতে এবং খুলতে রয়েছে সুনির্দিষ্ট সময়। তাই রোজাদারের জন্য সাহরি ও ইফতারের সময়সূচি তুলে ধরা হলো-

বিস্তারিত

বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি। আগামী রবিবার থেকে শুরু হবে এবারের রোজা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়কমন্ত্রী ও চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ মতিউর রহমান।
বৈঠক শেষে ধর্মমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, দেশের কোথাও আজ চাঁদ দেখার খবর পাওয়া যায়নি। আগামীকাল শনিবার ১৪৩৮ হিজরির পবিত্র শাবান মাস ৩০ দিন পূর্ণ হবে। রবিবার থেকে শুরু হবে রমজান।
আগামীকাল শনিবার তারাবির নামাজ ও সেহেরির মাধ্যমে শুরু হবে এবারের রমজানের আনুষ্ঠানিকতা।
গতকাল সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কোথাও রমজানের চাঁদ দেখা যায়নি। শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে রোজা। সাধারণত সৌদি আরবের একদিন পর বাংলাদেশে রোজা ও ঈদ হয়ে থাকে। এ হিসেবে আগে থেকেই ধারণা করা হচ্ছিল আজ চাঁদ দেখার সম্ভাবনা কম।
রমজানের রোজা মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য আমল। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের ওপর এই রোজা ফরজ। অন্যান্য ইবাদতের চেয়ে রোজার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর মাধ্যমে তাকওয়া অর্জিত হয়। অন্য সব ইবাদতে ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকলেও রোজায় ফাঁকি দেয়ার সুযোগ নেই। এজন্য রোজার প্রতিদান আল্লাহ নিজ হাতে দেবেন বলে হাদিসে উল্লেখ আছে।
রমজানে মুসলমানদের জীবনযাত্রা পাল্টে যায়। সামাজিক চালচিত্রেও আসে পরিবর্তন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ হিসেবে রমজানে সবখানে বিরাজ করে রোজার আবহ। অন্য ১১ মাসের তুলনায় এই মাসে অপরাধপ্রবণতা কমে যায়। মসজিদগুলোতে বেড়ে যায় মুসল্লিদের ভিড়। রমজানে সবখানে বিরাজ করে সুস্থ আবহ।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে প্রতিবারের মতো এবারো পড়া হবে খতমে তারাবি। এক্ষেত্রে দেশের সব মসজিদে বায়তুল মোকাররমের পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামি ফাউন্ডেশন। অভিন্ন নিয়ম অনুযায়ী প্রথম ছয় দিন দেড় পাড়া করে তেলাওয়াত করতে হবে। পরে ২৭ রমজান পর্যন্ত এক পারা করে তেলাওয়াত করতে হবে। ২৭ রমজান লাইলাতুল কদরে একযোগে সব মসজিদে শেষ হবে খতমে তারাবি।
বিস্তারিত

সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ভাস্কর্য অপসারণ করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। ঢাকা মহানগর হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী প্রধানমন্ত্রীকে এ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ‘মূর্তি অপসারণ’ উপলক্ষে শুক্রবার দুপুরে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সংগঠনটির ঢাকা মহানগর কমিটির ‘শুকরিয়া আদায়’ মিছিল আয়োজন করে।
এ মিছিল শেষে সমাবেশে মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ‘কোনও অবস্থায় রাস্তার পাশে মূর্তি স্থাপন মেনে নেওয়া চলবে না। এ দেশে মূর্তি সংস্কৃতি চলবে না।’
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যেন সবসময় ইসলামের খেদমত করতে পারেন এই দোয়া আমরা করছি।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ঢাকা মহানগরের সহ সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী ও ঢাকা মহানগরের সহ সভাপতি আব্দুর রব ইউসূফী।
সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য অপসারণ করায় প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করেন হেফাজতে ইসলামের নেতারা।
ওলামা লীগ, হেফাজত ইসলামসহ বেশ কয়েকটি ইসলামী দল ও সংগঠনের দাবির মুখে বৃহস্পতিবার রাতে সুপ্রিম কোর্ট চত্বর থেকে ন্যায় বিচারের প্রতীক হিসাবে বিবেচিত গ্রিক দেবী থেমিসের আদলে গড়া ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোখ করেছে বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন।
বিস্তারিত