English
  • Twitter
  • Facebook
  • RSS
  • Google+
  • Vimeo
  • Tumblr
  • Pinterest

logo
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • লাইফস্টাইল
  • আইন ও আদালত
  • শিক্ষাঙ্গন
  • ধর্ম ও জীবন
  • অন্যান্য
    • প্রবাস
    • উত্তরার খবর
    • রাজধানী
    • সারাবাংলা
    • বিচিত্র খবর
    • ফিচার-সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য
    • সাক্ষাৎকার
    • সম্পাদকীয়
    • ছবিঘর
    • ভিডিও
  • উত্তরা
প্রচ্ছদ
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • লাইফস্টাইল
  • আইন ও আদালত
  • শিক্ষাঙ্গন
  • ধর্ম ও জীবন
  • অন্যান্য
    • প্রবাস
    • উত্তরার খবর
    • রাজধানী
    • সারাবাংলা
    • বিচিত্র খবর
    • ফিচার-সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য
    • সাক্ষাৎকার
    • সম্পাদকীয়
    • ছবিঘর
    • ভিডিও
  • উত্তরা

ব্রেকিং নিউজ

uttaranews24 রংপুরে বোরো চাষে সেচ খরচ বৃদ্ধি    uttaranews24 মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার    uttaranews24 মালদ্বীপের প্রধান বিচারপতি গ্রেপ্তার    uttaranews24 জোড়া সেঞ্চুরিতে ক্যারিয়ারের সেরা অবস্থানে মুমিনুল    uttaranews24 রাতজুড়ে মালদ্বীপে ঘটে যাওয়া ঘটনা    uttaranews24 রাতজুড়ে মালদ্বীপে ঘটে যাওয়া ঘটনা    uttaranews24 কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া ফেরি চলাচল বন্ধ   
  • প্রচ্ছদ
  • ধর্ম ও জীবন
ZamZam

জমজম কূপ পবিত্র ঝরণাধারার একাল-সেকাল

নিরাকার প্রভু স্বীয় অস্তিত্বের জানান দিতে পৃথিবীতে অসংখ্য আকরিক ও অলৌকিক নিদর্শন স্থাপন করেছেন। স্বীয় নির্বাচিত প্রেরিত পুরুষ কর্তৃক এসব অলৌকিক বস্তু ও নিদর্শনের প্রকাশ ঘটিয়েছেন। সত্যসন্ধানী যে কেউ যাতে করে খুঁজে নিতে পারে মুক্তির পথ, হেদায়েতের আলোকবর্তিকা। জমজম কূপ সেসব অলৌকিক নিদর্শনের অন্যতম।

অবস্থান ও অবকাঠামো
পবিত্র কাবা শরিফ থেকে ২০ মিটার বা ৬৬ ফুট (মতান্তরে ২১ মিটার) পশ্চিমে মসজিদে হারামের ভেতরেই এই কূপের অবস্থান। প্রায় ১৮ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট চওড়া একটি আয়তক্ষেত্রের মতো কূপটি। যার গভীরতা ৩০ মিটার বা ৯৮ ফুট। (মতান্তরে ১২০ বা ১৪০ ফুট গভীর)। ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে এই কূপের ছিল দুটি জলাধার। একটি হচ্ছে খাওয়ার জন্য। অন্যটি অজু করার জন্য। বর্তমানে বৈদ্যুতিক পাম্পের সাহায্যে পানি উত্তোলন করা হয়।

‘জমজম’ নাম কিভাবে এলো?

* আরব্য ঐতিহাসিকদের মতে, ‘জমজম’ অর্থ অধিক হওয়া। এখানে পানির আধিক্যের কারণেই এর নামকরণ করা হয়েছে ‘জমজম’।

* গবেষকরা মনে করেন, ‘জমজম’ অর্থ সমবেত হওয়া। মা হাজেরা (প্রকৃতপক্ষে হাজের) (আ.) ডানে-বাঁয়ে পানির প্রবাহ রোধ করে মাটির বাঁধ দিয়ে পানি সঞ্চিত করে রেখেছেন বলে একে ‘জমজম’ বলা হয়।

* হিব্রু ভাষায় ‘জমজম’ অর্থ থাম-থাম। মা হাজেরা (আ.) পানির প্রবাহ রোধ করার জন্য বাঁধ নির্মাণের সময় বলেছিলেন, ‘জমজম’- থাম-থাম। আল্লাহর ইচ্ছায় তা নির্দিষ্ট স্থানে থেমে গেল।

* আল্লামা মাসউদি (রহ.) বলেন, প্রাচীনকালে ঘোড়া এ কূপ থেকে পানি পান করেছিল। পানি পানের সময় ঘোড়ার আওয়াজকে ‘জমজম’ বলা হয়। সে হিসেবে এ কূপকে ‘জমজম’ নামে নামকরণ করা হয়েছে।

জমজমের একাল-সেকাল
রাসুল (সা.)-এর জন্মের প্রায় দুই হাজার ৫৭২ বছর আগে, আমাদের যুগ থেকে প্রায় চার হাজার বছর আগে জমজমের প্রকাশ ও বিকাশ ঘটেছিল। আল্লাহর আদেশে জিবরাইল (আ.)-এর হাতে, ইসমাঈল (আ.)-এর পায়ের আঘাতে এর উৎপত্তি হয়েছিল। আল্লাহর আদেশে সুদূর ফিলিস্তিন থেকে মা হাজেরা (আ.) জনমানবহীন মরুময় মক্কায় নির্বাসিত হয়েছিলেন। সঙ্গে আনা সামান্য খেজুর ও পানি শেষ হয়ে যাওয়ার পর একটু পানির খোঁজে অস্থির হয়ে সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে সাতবার ‘সায়ি’ (চক্কর) করেন। সপ্তমবারে ‘মারওয়া’ পাহাড়ের ওপর থেকে একটি শব্দ শুনে তিনি নিচে নেমে আসেন। আর তখনই তিনি দেখতে পান, আল্লাহর এই অবারিত ঝরনাধারা থেকে রহমতের বারিধারা বর্ষিত হচ্ছে। পৌত্তলিক যুগে জুরহাম গোত্র খোজায়া গোত্র কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত ও বিতাড়িত হয়ে মক্কা ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় এ কুয়া তারা মাটি দিয়ে ভরে দেয়।

প্রায় সাড়ে চার শ বছর পর স্বপ্নযোগে আদিষ্ট হয়ে ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে আবদুল মুত্তালিব স্বীয় পুত্র হারেসকে সঙ্গে নিয়ে তা পুনরায় খনন করেন। ৭৭১ খ্রিস্টাব্দে খলিফা মনসুর এই কূপকে উপলক্ষ করে একটি মার্বেল পাথরের গম্বুজ নির্মাণ করেন। ৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে খলিফা মাহদি সেগুন কাঠের আরেকটি গম্বুজ নির্মাণ করেন।

৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে খলিফা মুতাসিম গম্বুজটি মার্বেল পাথর দ্বারা নির্মাণ করেন। ১৪১৭ খ্রিস্টাব্দে মামলুকদের আমলে গম্বুজটি আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যায়।

১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে অটোমান সুলতান আবদুল হামিদ কূপটি আধুনিকায়ন করেন।

জমজমের পানির ফজিলত

* রাসুল (সা.)-এর ‘সাক্কে ছাদার’ বা বক্ষ বিদীর্ণ করে হজরত জিবরাইল (আ.) জমজমের পানি দিয়ে তা ধৌত করেন। (বুখারি-৩৩৪২)

* রাসুল (সা.) বলেন, ‘ভূপৃষ্ঠের মধ্যে সর্বোত্তম পানি জমজমের পানি। তাতে ক্ষুধার্ত ব্যক্তির খাদ্য ও অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য রয়েছে।’ (তাবরানি-১১১৬৭)

* সাহাবাগণ ও পূর্বের মনীষীগণ মেহমানদের জমজমের পানি উপহার দিতেন। (আখবারে মক্কা)

* রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে উদ্দেশ্যে জমজমের পানি পান করা হয়, আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করেন।’ (আহমদ, ইবনে মাজাহ)

কুদরতের অপূর্ব কারিশমা
সৌদি আরবের ভূতাত্তি্বক জরিপ বোর্ডের জমজম কূপের ওপর একটি গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে। তারা বলছে, জমজম কূপের তলদেশে পানির স্তর ১০.৬ ফুট। ভারী মোটরের সাহায্যে প্রতি সেকেন্ডে আট হাজার লিটার পানি পাম্প করে উঠিয়ে নিয়ে পানির স্তর ৪৩.৯ ফুট পূর্ণ করলেও পাম্প থামানোর ১১ মিনিটের মধ্যে তা আবার যথারীতি আগের মতো পূর্ণ হয়ে যায়। এ অলৌকিক নিদর্শনে অবিশ্বাসীরা কি বিশ্বাসের কোনো উপকরণ খুঁজে পান না?

বিস্তারিত

oju

যেসব কারণে অজু ভেঙে যায়

মৌলিকভাবে অজু ভঙ্গের কারণ ৭টি। যথা-

এক. পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া। যেমন বায়ু, পেশাব-পায়খানা, পোকা ইত্যাদি। [হেদায়া-১/৭]

ইরশাদ হয়েছে, ‌'তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসলে (নামাজ পড়তে পবিত্রতা অর্জন করে নাও) (সুরা মায়িদা-৬)
হজরত আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। নিশ্চয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, শরীর থেকে যা কিছু বের হয়, তার কারণে অজু ভেঙে যায়...।' (সুনানে কুবরা লিলবায়হাকি, হাদিস নং-৫৬৮)

দুই. রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। [হেদায়া-১/১০]

হজরত আব্দুল্লাহ বিন উমর (রা.)-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অজু করে নিতেন। [মুয়াত্তা মালিক-১১০]

তিন. মুখ ভরে বমি করা।

হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তির বমি হয়, অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, বা মজি (সহবারের আগে বের হওয়া সাদা পানি) বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অজু করে নিবে। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-১২২১]

চার. থুথুর সঙ্গে রক্তের ভাগ সমান বা বেশি হওয়া।

হাসান বসরি রহ. বলেন, যে ব্যক্তি তার থুথুতে রক্ত দেখে তাহলে থুথুতে রক্ত প্রবল না হলে তার ওপর অজু করা আবশ্যক হয় না।  [মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা, হাদিস নং-১৩৩০]

পাঁচ. চিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুম যাওয়া।

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, সিজদা অবস্থায় ঘুমালে অজু ভঙ্গ হয় না, তবে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়লে ভেঙ্গে যাবে, কেননা চিৎ বা কাৎ হয়ে শুয়ে পড়লে শরীর ঢিলে হয়ে যায়। [ফলে বাতকর্ম হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে] (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-২৩১৫, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-২০২)

ছয়. পাগল, মাতাল বা অচেতন হলে।

হজরত হাম্মাদ (রহ.) বলেন, যখন পাগল ব্যক্তি সুস্থ্ হয়, তখন নামাজের জন্য তার অজু করতে হবে। [মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-৪৯৩]

সাত. নামাজে উচ্চস্বরে হাসি দিলে।

হজরত ইমরান বিন হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি নামাজে উচ্চস্বরে হাসে, সে ব্যক্তি অজু ও নামাজ পুনরায় আদায় করবে। হজরত হাসান বিন কুতাইবা (রহ.) বলেন, যখন কোনো ব্যক্তি উচ্চস্বরে হাসি দেয়, সে ব্যক্তি অজু ও নামাজ পুনরায় আদায় করবে। [সুনানে দারা কুতনি, হাদিস নং-৬১২]

লেখক : ইসলামী গবেষক

বিস্তারিত

Allah

'আল্লাহ' লেখা গোশতের টুকরা কি খাওয়া যাবে?

প্রশ্ন : আসসালামু আলাইকুম, সম্মানিত মুফতি সাহেব, আপনার কাছে আমার জানার বিষয় হলো, কয়েকদিন আগে আমরা একটি গরু জবাই করি, গরুর গোস্ত কাটার সময় হঠাৎ করে একটি গোস্তের টুকরার মাঝে পরিস্কারভাবে “আল্লাহ” লেখা দেখতে পাই। উক্ত টুকরাটি আমরা আলাদা করে রেখে দেই। আমার প্রশ্ন হলো, উক্ত গোস্তের টুকরাটি আমরা কী করব? খেতে পারব কি?

এমন আরো অনেকের মুখেই শুনেছি, আলুসহ অন্যান্য খাবার বস্তুর মাঝেও এমন আল্লাহ লেখা পাওয়া যায়। এখন বস্তুগুলো খাওয়া যাবে কি? নাকি কোনো পবিত্র স্থানে সংরক্ষিত করে রাখতে হবে? দয়া করে জানালে কৃতজ্ঞ হবো।

উত্তর :

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم

উক্ত গোস্ত বা আলু ইত্যাদি খাওয়াতে কোনো সমস্যা নেই। বরং বরকতের নিয়তে খুশি মনেই খাওয়া উচিত। [ফাতাওয়া কাসিমীয়া : ২৪/৭৬]

أَبُو عَبْدِ الله السُّلَمِيُّ: ” فِي ذِكْرِ مَنْصُورِ بْنِ عَمَّارٍ وَأَنَّهُ أُوتِيَ الْحِكْمَةَ، وَقِيلَ: إِنَّ سَبَبَ ذَلِكَ أَنَّهُ وَجَدَ رُقْعَةً فِي الطَّرِيقِ مَكْتُوبًا عَلَيْهَا بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ فَأَخَذَهَا فَلَمْ يَجِدْ لَهَا مَوْضِعًا فَأَكَلَهَا فَأُرِيَ فِيمَا يَرَى النَّائِمُ قَائِلًا يَقُولُ لَهُ: قَدْ فَتَحَ اللهُ عَلَيْكَ بَابُ الْحِكْمَةِ بِاحْتِرَامِكَ لِتِلْكَ الرُّقْعَةِ، وَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ يَتَكَلَّمُ بِالْحِكْمَةِ (شعب الإيمان للبيهقى، فصل فى تعظيم المصحف، دار الكتب العلمية بيروت-2/545/ رقم-2662، مكتبة الرشد للنشر، رقم- 2416)

উত্তর দিয়েছেন : লুৎফুর রহমান ফরায়েজী

বিস্তারিত

babori mosjid

ফিরে দেখা বাবরি মসজিদ

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারতের অযোধ্যা শহরে সপ্তদশ শতকে তৈরি এক ঐতিহাসিক স্থাপনা, বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে ফেলেছিল উন্মত্ত হিন্দু জনতা। এ ঘটনার পর ভারতে যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে, তাতে নিহত হয় প্রায় দুই হাজার মানুষ।

(বিবিসি বাংলা, ভারতে হিন্দু করসেবকরা যেভাবে বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার মহড়া দিয়েছিল, ৫ ডিসেম্বর ২০১৭, https://goo.gl/wtpkCn)

ডায়নামাইট দিয়ে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার পরিকল্পনা করেছিলেন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলোর নেতারা। পরে বলা হয়, এটা জনগণের প্রতিক্রিয়া। অথচ ২০১৪ সালের কোবরা পোস্টের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জানা যায় বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার প্রচেষ্টা প্রথমবার হয়েছিল ১৯৪৯ সালে! 

বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার প্রস্তুতি চলছিল আগে থেকেই এবং ঘটনার আগের দিন একদল হিন্দু স্বেচ্ছাসেবক এটির 'ড্রেস রিহার্সেল' দিয়েছিল। আলোকচিত্র সাংবাদিক প্রভীন জৈন ছবি তোলার জন্য এই হিন্দু স্বেচ্ছাসেবকদের অনুসরণ করছিলেন। সেদিনের ঘটনার অনেক ছবিও তুলেছেন তিনি। প্রভীন জৈন বিবিসির কাছে বর্ণনা করেছেন সেদিনের ঘটনাবলী। ২৫ বছর হয়ে গেছে। কিন্তু এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছিল, এখনো পর্যন্ত তাদের কারো সাজা হয়নি। (বিবিসি)

উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ জেলার অযোধ্যা শহরের হিলের ওপর অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ বাবরি মসজিদটি ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দে ভারতের প্রথম মোঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশ মেনে মীর 'বাকী' গড়ে তোলেন পরে যার নামকরণ সম্রাট বাবরের নামে করা হয়।

বাবরি মসজিদ তার সংরক্ষিত স্থাপত্য ও স্বতন্ত্র গঠনশৈলীর জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মসজিদটি সম্রাট আকবর দ্বারা গৃহীত ইন্দো-ইসলামী গঠনশৈলীর প্রতীক ছিল।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর একটি রাজনৈতিক সমাবেশের উদ্যোক্তারা, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় একটি রাজনৈতিক সমাবেশ শুরু করে যা ১৫০,০০০ জন সম্মিলিত একটি বিশৃঙ্খলার রূপ নেয় এবং বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পরবর্তী সময়ে দাঙ্গায় অন্তত ২ হাজার জনের মৃত্যু হয়। এবং ভারতের ইতিহাসে এত বড় দাঙ্গা আর কখনও হয়নি। সেই বিতর্ক এতদিন হল সমানে চলছে। এখনও কোন ঐতিহাসিক বলেন নি ওখানে মন্দির ভেঙে মসজিদ হয়েছে। সব কল্পনার উপর ভর করে বিতর্ক এগিয়েই চলেছে। একনজরে তাই জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই বিতর্ক শুরু হল ও সময়ের সরণী ধরে কোথায় এসে ঠেকেছে।

১৮৫৩ সাল
আওয়াধের নবাব ওয়াজিদ আলি শাহর সময়ে প্রথমবার এই জায়গায় হিংসা ছড়ায়। হিন্দুদের একটা অংশ নির্মোহীরা দাবি করে সম্রাট বাবরের সময়ে এখানে থাকা হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ তৈরি করা হয়। এ দাবি ওঠে মসজিদ তৈরির প্রায় ২৩০ বছর পর।

১৮৫৯ সাল
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্বের কারণে ওই জায়গাকে দুটি ভাগে ভাগ করে দেয়। একটি জায়গা মুসলমানদের জন্য, ও অন্যটি হিন্দুদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়।

১৮৮৫ সাল
১৮৮৫ সালে মহন্ত রঘুবীর দাস প্রথম মামলা করেন। আবেদনে মসজিদের বাইরে একটি শামিয়ানা খাটানো ও মঞ্চ তৈরির কথা বলেন। যদিও সেই আবেদন ফৈজাবাদ জেলা আদালত খারিজ করে দেয়।

১৯৪৯ সাল
হঠাৎ রামচন্দ্রের মূর্তি পাওয়া যায় মসজিদের ভিতরে। হিন্দুদের একটি অংশ ইচ্ছাকৃতভাবে মসজিদের ভিতরে রামচন্দ্রের মূর্তি রেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। হিন্দু-মুসলমান দু'পক্ষই ওই জায়গার অধিকার দাবি করে। ফলে সরকারের তরফে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

১৯৫০ সাল
গোপাল সিং বিশারদ ও মহন্ত পরমহংস রামচন্দ্র দাস ফের ফৈজাবাদ আদালতে রাম জন্মস্থানের উপরে প্রার্থনা করার আবেদন করেন। ফলে একটি জায়গা খুলে দেওয়া হয়।

১৯৫৯ সাল
এই বছরে নির্মোহী আখাড়া আদালতে আবেদন করে রাম জন্মভূমি ওই জায়গার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তাদের বলে নিজেদের কাস্টোডিয়ান বলে দাবি করে।

১৯৬১ সাল
ওয়াকফের সুন্নি সেন্ট্রাল বোর্ড মসজিদে হিন্দু দেবতার মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে আবেদন করে।  

১৯৮৪ সাল
অযোধ্যার এই বিতর্কিত অংশে রাম মন্দির গড়তে হিন্দু গোষ্ঠীর তরফেও কমিটি তৈরি করা হয়। ধীরে ধীরে সেই আন্দোলন ডালপালা মেলতে থাকে। ভারতীয় জনতা পার্টির নেতা লালকৃষ্ণ আদবানি এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।

১৯৮৬ সাল
হরি শঙ্কর দুবের আবেদনের ভিত্তিতে জেলা আদালত নির্দেশ দেয়, মসজিদের গেট খুলে দিতে হবে এবং সেখানে হিন্দুরা প্রার্থনা করতে পারবে। এই রায়ের বিরুদ্ধে মুসলিমরা প্রতিবাদ জানায়। এরপরই বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি তৈরি হয়।

১৯৮৯ সাল
বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাবরি মসজিদের পাশেই রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। বিচারপতি দেবকী নন্দন আগরওয়াল যিনি ভিএইচপি-র প্রাক্তন সহ- সভাপতি, তিনি বাবরি মসজিদ অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে আদালতে আবেদন করেন। ফলে ফৈজাবাদ আদালতে যে আবেদনগুলি পড়েছিল তা হাইকোর্টে স্থানান্তরিত করা হয়।

১৯৯০ সাল
ভিএইচপি স্বেচ্ছ্বাসেবকরা মসজিদ ধ্বংসের চেষ্টা করে। সেইসময়ে প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করেন। ওই বছরের সেপ্টেম্বরে লালকৃষ্ণ আদবানি গুজরাতের সোমনাথ থেকে অযোধ্যা পর্যন্ত বিতর্কিত রথযাত্রা করে রাম মন্দিরের গুরুত্ব বোঝানোর অপচেষ্টা করেন।

১৯৯১ সাল
কেন্দ্রে বিজেপি মূল বিরোধী শক্তি হয়ে ওঠে। এমনকি উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায়ও আসে। করসেবক ও স্বেচ্ছ্বাসেবকরা মিলে মন্দির মুভমেন্টকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান।

১৯৯২ সাল
বিতর্কিত বাবরি মসজিদ ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভেঙে দেয় করসেবকরা। এতে সমর্থন ছিল শিবসেনা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপির। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দাঙ্গা বাঁধে। এতে ২ হাজার মানুষ প্রাণ হারান। ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী নরসীমা রাওয়ের সরকার বিচারপতি এমএস লিবারহানের নেতৃত্বে কমিটি তৈরি করে অনুসন্ধানের জন্য।

২০০১ সাল
মসজিদ ধ্বংসের দশ বছর পূর্তিতে ফের একবার আতঙ্কের পরিবেশ গড়ে ওঠে চারিদিকে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ফের দাবি করে অযোধ্যায় ওই জমিতে রাম মন্দির তারা গড়বেই।

২০০২ সাল
২০০২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাতের গোধরায় অযোধ্যার করসেবক বোঝাই ট্রেনে হামলার ঘটনায় ৫৮ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার পর হওয়া দাঙ্গায় ১ হাজার জন খুন হন বলে দাবি করা হয়। এরপর এই বছরই হাইকোর্টের তরফে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে পরীক্ষা করতে বলা হয় মসজিদের নিচে আদৌও কোনও মন্দির রয়েছে কিনা।

২০০৩ সাল
এএসআই সার্ভে শুরু করে। পরে তারা বলে ওখানে মন্দিরের অস্তিত্ব রয়েছে। যদিও মুসলমান সংগঠন সেই রিপোর্ট অস্বীকার করে। সেই বছরের সেপ্টেম্বরে সাত হিন্দু নেতার বিরুদ্ধে বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় ট্রায়ালের কথা বলা হয়। তবে উপ-প্রধানমন্ত্রী থাকা লালকৃষ্ণ আদবানির বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হয়নি।

২০০৪ সাল
উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় ফেরে কংগ্রেস। উত্তরপ্রদেশের আদালত রায় দেয়, এই মামলায় আদবানির নামও রাখতে হবে। পরের বছর ২০০৫ সালে জঙ্গি হানা হয় অযোধ্যায়। পাঁচ জঙ্গিকে নিকেশ করা হয়।

২০০৯ সাল
বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর তৈরি লিবারহান কমিশন জুন মাসে রিপোর্ট পেশ করে। তা নিয়ে সংসদে হাঙ্গামা হয়। কারণ সেই রিপোর্টে ঘটনার জন্য বিজেপি নেতাদের দায়ী করা হয়েছিল।

২০১০ সাল
এলাহাবাদ হাইকোর্ট ঝুলতে থাকা বিতর্কিত এই মামলায় রায়দান করে। বলা হয়, এই জমিকে তিনটি ভাগে ভাগ করতে হবে। একটি অংশ পাবে হিন্দু মহাসভা, একটি অংশ পাবে মুসলমি ওয়াকফ বোর্ড ও তৃতীয় অংশ যাবে নির্মোহী আখাড়ার কাছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভা ও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করে। এরপরে ২০১১ সালে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়।

২০১৫ সাল
২০১৪ সালে কেন্দ্রে মহা ঘূমধাম করে ক্ষমতায় আসে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। ভিএইচপি ঘোষণা করে, সারা দেশ থেকে পাথর সংগ্রহ করে রাম মন্দির তৈরি করা হবে। এবং তাতে বিজেপি সরকারের সায় রয়েছে। কয়েকমাস পরে ২ লরি পাথর বিতর্কিত জমিতে নিয়ে আসা হয়। এতে বাধা দেয় তৎকালীন উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় থাকা অখিলেশ যাদবের সরকার। এভাবে রাম মন্দির তৈরি করা যাবে না বলে তারা জানায়।

২০১৭ সাল
১৯৯২ সালের বাবরি মসজিদ ধ্বংসকাণ্ডে লালকৃষ্ণ আদবানি ও অন্য হিন্দু নেতাদের নামে চার্জশিট সরানো যাবে না বলে সুপ্রিম কোর্ট জানায়। এই ধরনের সংবেদনশীল মামলা আদালতের বাইরে মেটানোর বিষয়ে পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এরপর ফের অন্য শুনানিতে সিবিআইয়ের আবেদন মেনে আদবানি সহ বাকীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের চার্জশিট গঠনের পরামর্শ দিয়েছে আদালত।

বিস্তারিত

talaq

ইসলামের আলোকে তালাক দেওয়ার সঠিক পদ্ধতি

যদি কোনো স্ত্রী স্বামীর অধিকার আদায় না করে; বরং উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত হয়, তাহলে স্বামীর দায়িত্ব হলো তাকে সংশোধনের সর্বাত্মক চেষ্টা করা। তালাক দেওয়ার আগে ইসলামে কয়েকটি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে।

স্বামী সেগুলো অনুসরণ করবে। তার পরও যদি স্ত্রীর মধ্যে কোনো পরিবর্তন না আসে, তাহলে চূড়ান্ত ফয়সালা তালাক দেওয়ার পথ বেছে নিতে পারবে।

প্রথম পদক্ষেপ : স্ত্রীর অবাধ্যতা দেখেই উত্তেজিত হবে না; বরং নিজেকে সংযত রাখবে ও তাকে মিষ্টি ভাষায় বোঝানোর চেষ্টা করবে। স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে তার মন গলানোর চেষ্টা করবে। স্ত্রী কোনো ভুল ধারণায় থাকলে যথাসম্ভব তা দূর করার চেষ্টা করবে। স্বামী নিজেকে সংযত রেখে সব কিছু ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবে। ছাড় দেওয়া ও মায়া-মমতার মাধ্যমে যত দূর সম্ভব দাম্পত্য জীবন স্থায়ী করার আপ্রাণ চেষ্টা করবে।

দ্বিতীয় পদক্ষেপ : উক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে কাজ না হলে স্ত্রীর ব্যবহারে রাগ-অনুরাগ, অভিমান প্রকাশ করার জন্য স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে একত্রে রাতযাপন থেকে বিরত থাকবে। স্ত্রীর ঘুমানোর জায়গা পৃথক করে দেবে।

 স্ত্রী যদি এতেই সতর্ক হয়ে যায় এবং নিজেকে সংশোধন করে নেয়, তাহলে দাম্পত্য জীবন সুখের হবে। আল্লাহ বলেন, ‘স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার আশঙ্কা করো তাদের সদুপদেশ দাও। তারপর তাদের শয্যা বর্জন করো। অতঃপর তাদের সামান্য প্রহার করো। (অর্থাৎ এমনভাবে হালকা প্রহার করবে, যাতে শরীরে কোনো যখম বা আঘাত না হয় এবং মুখে ও লজ্জাস্থানে কখনো প্রহার করবে না। মুজামে তাবরানি : হা. ২১৩০) যদি তারা তোমাদের অনুগত হয়, তবে তাদের বিরুদ্ধে কোনো পথ অন্বেষণ কোরো না। (সুরা নিসা, আয়াত : ৩৪)

তৃতীয় পদক্ষেপ : উল্লিখিত দুটি পদক্ষেপ গ্রহণ করার পরও কোনো কাজ না হলে তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে ইসলামের নির্দেশ হলো উভয় পক্ষ থেকে এক বা একাধিক সালিসের মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যকার সমস্যা নিরসনের চেষ্টা করবে। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হচ্ছে, ‘তোমরা যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টির আশঙ্কা করো, তবে মীমাংসার জন্য পুরুষের পরিবার থেকে একজন সালিস ও নারীর পরিবার থেকে একজন সালিস পাঠিয়ে দেবে। তারা দুজন যদি মীমাংসা করতে চায়, তবে আল্লাহ উভয়ের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করে দেবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্ববিষয়ে জ্ঞাত ও সর্ববিষয়ে অবহিত। ’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ৩৫)

তালাক হলো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত

যদি পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ অবস্থায় পৌঁছে যায় যে মীমাংসার সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়, তখন ইসলামী শরিয়ত স্বামীকে তালাক দেওয়ার এখতিয়ার দিয়েছে। তবে ইসলামের দৃষ্টিতে তালাক দেওয়া অত্যন্ত অপছন্দনীয় ও ঘৃণিত কাজ। হাদিস শরিফে রয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে বৈধ কাজগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণিত কাজ হলো তালাক। ’ (আবু দাউদ : হাদিস : ২১৭৮)

এর পরও তালাক দেওয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ খোলা না থাকলে ইসলামী শরিয়ত সমর্থিত পদ্ধতি অনুসরণ করে তালাক দেবে। এ পদ্ধতি অনুসরণ করার অনেক সুফল রয়েছে।

তালাক দেওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি

এক. কোরআন-হাদিসের নির্দেশনা এবং সাহাবা-তাবেঈনের কর্মপন্থা থেকে প্রমাণিত যে তালাক দেওয়ার সর্বোত্তম পদ্ধতি হলো, স্ত্রী যখন হায়েজ (মাসিক ঋতুস্রাব) থেকে পবিত্র হবে, তখন স্বামী তার সঙ্গে সহবাস না করে সুস্পষ্ট শব্দে তালাক দেবে। হায়েজ অবস্থায় তালাক দেওয়া এ জন্যই নিষিদ্ধ, যাতে তার উক্ত দুঃসময়ের কারণে তালাক সংঘটিত না হয়; বরং ভালো সময়ে বুঝে-শুনে তালাক সংঘটিত হয়। (হুজ্জাতুল্লাহিল বালেগা : ২/১৩৯)

দুই. স্বামী সুস্পষ্ট শব্দে এক তালাক দেবে। এরপর স্বামী যদি স্ত্রীকে ইদ্দত চলা অবস্থায় ফিরিয়ে নেয় তাহলে ভালো। পুনরায় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কায়েম হয়ে যাবে। নতুন করে বিবাহের প্রয়োজন হবে না। আর যদি ইদ্দত চলাকালে স্বামী স্ত্রীকে ফিরিয়ে না নেয়, তাহলে ইদ্দত (তিন ঋতুস্রাব বা তিন মাস) শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। স্ত্রী স্বামী থেকে সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে যাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, তালাকের পরে উভয়েই অনুতপ্ত হয় এবং বৈবাহিক সম্পর্ক পুনর্বহাল করার আপ্রাণ চেষ্টা করে। যদি ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী এক তালাক দেওয়া হয়, তাহলে এ আশা পূরণের সুযোগ থাকে এবং তারা পুনরায় বৈবাহিক জীবন শুরু করতে পারে। কিন্তু স্বামী একসঙ্গে তিন তালাক দিলে ইদ্দত চলাকালেও স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকে না। ইদ্দতের পরেও নতুনভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার অবকাশ থাকে না। তারা একে অন্যের জন্য সম্পূর্ণ হারাম হয়ে যায়। এমতাবস্থায় অনুতপ্ত হওয়া এবং আপসের জন্য আগ্রহী হলেও তা কোনো কাজে আসে না।

তিন. যদি তারা চায় যে আর কোনো দিন তারা একে অন্যের সংসারে ফিরে আসবে না, সে ক্ষেত্রেও ইসলাম একসঙ্গে তিন তালাক দিতে নিষেধ করেছে। তাই হায়েজের পর প্রত্যেক পবিত্রতার সময় এক তালাক করে তিন তালাক দেবে। এভাবে তিন তালাকের মাধ্যমে তারা সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে যাবে। এ পদ্ধতিতে তালাক দিলে তালাক-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবে চিন্তাভাবনা করার সুযোগ পাওয়া যায়। ধীরস্থিরভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। তাড়াহুড়া করে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না। পক্ষান্তরে একসঙ্গে তিন তালাক দিলে এই অবকাশগুলো থাকে না এবং তা কোনো সুফলও বয়ে আনে না; বরং স্বামী-স্ত্রী উভয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করতে থাকে। জীবন তাদের জন্য দুর্বিষহ হয়ে পড়ে।

চার. ইসলামে তালাক দেওয়ার অধিকার কেবল স্বামীকেই দেওয়া হয়েছে, স্ত্রীর হাতে তা দেওয়া হয়নি। কেননা নারীদের স্বভাবে সাধারণত তাড়াহুড়ো করার প্রবণতাটা বেশি। তাই তাদের তালাকের ক্ষমতায় দিলে ছোটখাটো বিষয়েও তাড়াহুড়ো করে তালাক দিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা বেশি। সুতরাং অধিক পরিমাণে বিবাহবিচ্ছেদ রোধেই ইসলাম নারীদের তালাকের ক্ষমতা দেয়নি।

পাঁচ. তবে ইসলামে নারীদের সম্পূর্ণ আটক করে রাখতেও বলা হয়নি; বরং তারাও প্রয়োজনে যথাযথ নিয়মে বিবাহবিচ্ছেদ করতে পারবে। এ জন্য তাদের নির্দিষ্ট ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। যথা—ক. বিবাহের আগেই স্ত্রী এ শর্ত দিতে পারবে যে আমাকে তালাক দেওয়ার অধিকার দিতে হবে, তখন স্বামী অধিকার দিলে স্ত্রী প্রয়োজনে সে অধিকার প্রয়োগ করতে পারবে।

খ. যদি বিবাহের সময় শর্ত না-ও দিয়ে থাকে, তার পরও স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে তালাক নিতে পারবে।

গ. আর যদি তা-ও না করে, তবুও স্বামী নপুংসক হলে, পাগল, অস্বাভাবিক রাগসম্পন্ন হলে বা নিখোঁজ হয়ে গেলে অথবা যেকোনো কঠিন সমস্যায় পতিত হলে স্ত্রী বিচারকের মাধ্যমে নিজেই তালাক নিয়ে নিতে পারবে।

লেখক : মুহাদ্দিস ও ফতোয়া গবেষক

বিস্তারিত

Islam

সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় মহানবীর (সা.) শিক্ষা

সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ নির্ভর করে মানুষের আখলাকের শুদ্ধতার ওপর। মনন জগৎ পরিশুদ্ধ হলে সমাজ হয় হানাহানি ও অনাচারমুক্ত।

মানুষের চিন্তা-চেতনা, মেধা-বুদ্ধিকে পরিশীলিত ও অন্তরের কসুর দূর করার মাধ্যমে রাসুল সা. সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার শিক্ষা দিয়েছেন। অশান্তি ও হানাহানিপূর্ণ পৃথিবী মহানবী (সা.) এর আদর্শেই পেতে পারে শান্তি ও সম্প্রীতি। এমনই কয়েকটি শিক্ষা নিম্নরূপ- 

 সালামের প্রচার প্রসার : সালাম ইসলাম ধর্মের নিদর্শন। মুসলমানের সাক্ষাতের প্রথম সম্বোধন। একে অন্যের তরে আল্লাহর দরবারে করুণা ভিক্ষা চাওয়ার মহান বাণী। সালাম পরস্পরের ভেতর মহাব্বত সৃষ্টি করে। ভালবাসার সৌধ নির্মাণ করে। মান অভিমান ঝগড়া ফাসাদ ভুলিয়ে দেয়। সমাজে বইয়ে দেয় শান্তির হাওয়া।

এত সুন্দর সম্বোধন ইসলাম ধর্ম ব্যতিত অন্য কোন ধর্মে নেই। সমাজ সভ্যতার প্রধান বিদ্যা হলো সালামের ব্যাপক প্রচার প্রসার। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাঃ থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল ইসলামের কোন কাজ সবচাইতে উত্তম? তিনি বলেন- “তুমি লোকদেরকে আহার করাবে এবং পরিচিত অপরিচিত নির্বিশেষে সকলকে সালাম করবে”। বোখারি ২৭।

 মুমূর্ষু ব্যক্তির খবর নেওয়া : মানুষকে কেন্দ্র করে সমাজ গড়ে উঠে। মানুষ একাকী চলতে  পারেনা। মানব্য সংশ্রব মানুষের জন্য অত্যাবশ্যক। সুখ-দুখ, সুস্থ- অসুস্থ মিলিয়েই মানুষের জীবন। বিপদ- আপদে বিপন্ন ও দুর্যোগে পরস্পর সহযোগিতার হাত বাড়াবে, রোগীর খবর নিবে, সেবা দিবে এটাইতো মানবতার ধর্ম। সমাজের মানুষ, প্রতিবেশী, আত্মীয় কুটুম সময়ে অসময়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিভিন্ন রোগে কাতর হয়ে যায়। তখন তাদের পাশে দাঁড়ানো, ভালবেসে হাত বাড়ানো, স্নেহের পরশ বুলানো আমাদের মহানবীর সুন্নত। কারো অসুস্থতার সংবাদ পেলে আমাদের নবী তাকে দেখতে যেতেন। দোয়া করতেন। সেবা দিতেন। মুমূর্ষ ব্যক্তির খবর নেয়ার ফলে উভয়ের মনে মহাব্বত পয়দা হয়। আন্তরিকতা তৈরি হয়। সামাজিক ভারসম্য ঠিক থাকে। গড়ে উঠে সভ্য সমাজ। বারা ইবনে আ’যিব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- “রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সাতটি জিনিস করতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং সাতটি জিনিস থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। আমাদেরক নির্দেশ দিয়েছেন রোগীকে দেখতে যাবার ও সালামের ব্যাপক প্রচার করার”। বুখারী ৫১৭৫। রোগীকে দেখতে গেলে যুক্ত হয় তার আমল নামায় অফুরন্ত সওয়াবের ভা-ার। হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি কোন রোগীকে দেখতে যায় সে জান্নাতের ফলমূলে অবস্থান করতে থাকে”। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হলো জান্নাতের ফলমূলে অবস্থান করা কি? তিনি বললেন- জান্নাতের ফলমূল সংগ্রহ করা”। বুখারী ২৫৬৮।  

ঘরে প্রবেশে অনুমতি : সম্প্রতিকালে আমাদের সমাজে ঘরে প্রবেশের সময় অনুমতি নেওয়ার প্রসঙ্গটি একদম হারিয়ে গেছে। আমরা কারো ঘরে ঢুকার ক্ষেত্রে প্রয়োজন পর্যন্ত  মনে করেনা অনুমতি নেয়ার। যার ফলে সমাজে প্রত্যহ ফ্যাতনা ফাসাদ, অনৈতিক ও অশালিন কর্মকা- তীব্র গতিতে বেড়ে চলছে। অসভ্যতায় ছেয়ে যাচ্ছে সমাজের চারপাশ। অথচ ইসলাম ঘরে প্রবেশের সময় অনুমতি নিতে জোর  তাগিদ করেছেন। আপন মায়ের ঘরে প্রবেশের সময় পর্যন্ত অনুমতি নিতে বলেছেন ইসলামের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আবূ মুসা আশআরী রা. থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন “অনুমতি তিনবার চাইবে। অনুমতি দিলে প্রবেশ করবে। অন্যথায় ফিরে  যাবে”।   বোখারি ৬২৪৫, মুসলিম ২১৫৩।

অন্যের কাজে হস্তক্ষেপ না করা : অধুনাকালে দেখা যায়, একজন ব্যক্তি মার্কেটে বা কোথাও একটি পণ্যের দরদাম করছে। তার উপর বেশি দাম দিয়ে অন্য ব্যক্তি নিয়ে যায়। যার ফলে পরস্পরের মাঝে দ্বন্দ কলহ সৃষ্টি হয়। মানুষের অধিকার বঞ্চিত হয়। গরীবের আশার কপালে খরা পড়ে। কিন্তু মানবতার নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজনের দরদামের উপর দাম করাকে নিষেধ করেছেন। মানা করেছেন একজনের বিয়ের প্রস্তাবের উপরও অন্যজন প্রস্তাব করতে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমাদের কেউ যেন তার ভাইয়ের ক্রয় বিক্রয়ের উপর ক্রয় বিক্রয় না করে। কেউ যেন তার ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব না করে”। মুসলিম ২০০৭।

লেনদেনে সময় নির্ধারণ করা : মানুষ জীবন যাপনে অন্যের মুখাপেক্ষী। প্রয়োজনে পরের নিকট ধারস্থ হয়। দরকারে মানুষ টাকা পয়শার ঋণ করে। ‘করযে হাসানা’ দেওয়া ইসলামে অনেক পূণ্যের আমল। কিভাবে মানুষ ঋণ আদান প্রদান করবে সে ব্যাপারে ইসলাম নিখুঁত দিক নির্দেশনা দিয়েছে। ঋণ পরিশোধের নির্ধারিত সময় নির্ধারণ করার কথা বলেছে। এবং নির্ধারিত মেয়াদকাল লিপিবদ্ধ করতে বলেছে। আল্লাহ বলেন- “হে মুমিনগণ- যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋণের আদান প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও”। সূরা বাকারা ২৮২। হাদিসে ঘোষিত হয়েছে, আবু হুরায়রা রা. নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে বলেন যে, সে ব্যক্তি জনৈক বানু ঈসরাইলের নিকট এক হাজার স্বর্ণ মুদ্রা ধার চাইলে সে তাকে নির্দিষ্ট সময়ের শর্ত দিল। বোখারি ১৭০২।

বিস্তারিত

Islam

যাঁর হাত ধরে বিশ্বে ছুটেছে শান্তির মিছিল

মদিনার নীরব রাস্তা ধরে বিশ্বনবী হাঁটছেন, সঙ্গে আছেন প্রিয় কিশোর খাদেম আনাস (রা.)। প্রিয় নবীর গায়ে সুন্দর একটি দামি চাদর।

বিদেশ থেকে আনা কোনো এক প্রিয় হয়তো রাসুলকে হাদিয়া দিয়েছেন। আনমনে চলছেন রাসুল (সা.)। চলার পথে সামনে দাঁড়াল এক গ্রাম্য লোক। কোনো কথা-বার্তা ছাড়াই রাসুলের গায়ে জড়ানো চাদর ধরে আচমকা টান মারতে থাকলেন লোকটি। সজোরে হেঁচকা টানের কারণে রাসুল (সা.)-এর দেহ মোবারকে রক্তাভ দাগ পড়ে গেল। নবীজি ব্যথা পেলেন। ধৈর্যের সঙ্গে লোকটিকে দেখছেন শুধু। কিছু বলছেন না। এবার লোকটি বলল, হে মুহাম্মাদ! ‘তোমার কাছে আল্লাহ প্রদত্ত অনেক সম্পদ আছে, সেসব  থেকে আমাকে কিছু দাও। ’ যেন তাঁর কাছ থেকে কোনো ঋণ নেওয়া হয়েছে, যা আদায় করার জন্য রুক্ষ ব্যবহার করছে। দয়ার নবী (সা.) মহানুভবতার সঙ্গে স্মিত হাসি দিয়ে অবোধ লোকটিকে কিছু দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। লোকটি তার চাহিদা পূরণ করে চলে গেল। নবী (সা.) শুধু দেখলেন আর দোয়া করলেন। শুধু কল্যাণ চাইলেন, প্রতিশোধ নিলেন না। এ ক্ষমার নজির মিলবে কি কখনো? (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪১৪৯) আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদ।

 মরুভূমিতে লু হাওয়া বইছে। রৌদ্রের তাপ নয়, যেন আগুনের ফুলকি পড়ছে ওপর থেকে। নবী (সা.) সাহাবিদের নিয়ে সফরের বিরতি ঘোষণা করলেন। ছড়িয়ে থাকা কয়েকটি বৃক্ষ আর ছায়াদার গাছের নিচে সাহাবারা আশ্রয় নিলেন। ক্লান্ত-শ্রান্ত সাহাবারা ঘুমিয়েও গেছেন। নবী (সা.) একটু দূরে এক গাছের ছায়ায় বিশ্রামের জায়গা নির্ধারণ করলেন। সঙ্গে থাকা তরবারি গাছের ডালে ঝুলিয়ে রেখে নিদ্রায় গা এলিয়ে দিলেন। হঠাৎ এক আরব বেদুইন গ্রাম্য ব্যক্তি এখানে এলো। ঝুলন্ত তরবারি দেখে তার মাথায় খুন চেপে বসল, নৃশংস হত্যার ইচ্ছায় উন্মত্ত হয়ে গেল। রাসুলের ঝুলানো তরবারি হাতে নিয়ে হুংকার দিয়ে উঠল, ‘এবার তোমাকে আমার হাত থেকে কে রক্ষা করবে, মুহাম্মাদ?’

রাসুল (সা.) চোখ মেলে তাকালেন। দেখলেন অনতি দূরে এক বেদুইন হত্যার নেশায় হাতে খোলা তরবারি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বেদুইন আবার উদ্ধত কণ্ঠে বলল, ‘আমার হাত থেকে তোমাকে কে বাঁচাবে?’ বিস্ময়কর দৃঢ় ও স্থির এবং গম্ভীর কণ্ঠে মহানবী (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ! আমার আল্লাহই আমাকে তোমার হাত থেকে বাঁচাবে। ’ এভাবে সে প্রশ্ন করে যেতে লাগল, আর তার জবাবও রাসুল (সা.) এভাবেই দিয়ে যাচ্ছিলেন। তৃতীয়বার যখন রাসুল (সা.) গম্ভীরভাবে জবাব দিলেন যে আমাকে আমার আল্লাহই বাঁচাবেন, তখন মরুভূমিতে যেন এক শব্দের অনুরণন হতে লাগল। বেদুইন কাঁপতে লাগল। পড়ে গেল হাতের তরবারি। এবার সে নিরস্ত্র হয়ে গেল। রাসুল (সা.) তরবারিটি উঠিয়ে নিলেন। তার ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ রাসুল ঘুরিয়ে দিয়ে বললেন, এবার তোমাকে আমার হাত থেকে কে বাঁচাবে? সাহাবিদের ডাকলেন। ঘটনার বৃত্তান্ত শুনে সাহাবিরা বিস্মিত হয়ে গেলেন, কেউ কেউ হয়তো হত্যা করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিলেন। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বিশ্বনবী (সা.) বেদুইনকে ক্ষমা করে দিলেন। তৃষিত মরুভূমিতে ঝরে পড়ল দয়া ও ভালোবাসার মুক্তোর দানা। ইতিহাস হয়ে রইল ক্ষমার প্রান্তর। আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদ।

দুই দিন হলো নবী (সা.) কাউকে সাক্ষাৎ দিচ্ছেন না। প্রিয় সাহাবি ওমর (রা.) পেরেশান। তৃতীয়বারে অনুমতি মিলল। রাসুলের বাসগৃহে সন্তর্পণে প্রবেশ করলেন। দেখলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীও নেই বিশ্বনবীর ঘরে। ঘরের এক কোণে সামান্য যব। খুঁটিতে ঝুলছে একটি পশুর চামড়া। দুনিয়া ও আখেরাতের বাদশাহর ঘর দেখতে দেখতে ওমর (রা.)-এর বোধগুলো ঝাপসা হয়ে গেল। প্রিয় নবী সে ঘরে একটি দড়ির খাটে শুয়ে আছেন, চাঁদের জমিনের মতো পিঠে দড়ির স্পষ্ট দাগগুলো লাল হয়ে আছে। কোমল ত্বকে দারিদ্র্যের নিষ্ঠুর আঘাত আঁচড়ের মতোই জ্বলজ্বল করছে। ওমর (রা.) ডুকরে কেঁদে উঠলেন। কষ্টের ভাবগুলো অশ্রু হয়ে দুচোখ বেয়ে নহরের মতো বয়ে চলতে লাগল। সীমাহীন ভালোবাসার এক ভুবনে বন্দি হয়ে গেলেন রাসুলপ্রেমিক ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)। কোমল কণ্ঠে নবী (সা.) জিজ্ঞেস করলেন—ওমর, তুমি কাঁদছ কেন? ওমর (রা.) বললেন, রোম ও পারস্য সম্রাট কাফির হয়েও দুনিয়ার প্রাচুর্য ভোগ করছে, অথচ আপনি নবী হয়ে দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত। মানবতার নবী ভালোবাসার আবেশে বললেন, ওমর! তুমি কি চাও না যে আমি ক্ষয়-লয়হীন প্রাচুর্যময় অনাবিল সুখের জান্নাত লাভ করি? অশ্রুসিক্ত ওমরের দুচোখ রাসুলের প্রশান্ত মুখের ওপর স্থির হয়ে গেল। অনুভব করলেন, বুকের ভেতর জমে থাকা কষ্টের পালকগুলো উড়ে চলে যাচ্ছে দূরে, বহুদূরে। আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মদ।

‘যদি বলি, পেছন থেকে তোমাদের বিপদ আসছে, তোমরা কি বিশ্বাস করবে?’ কোরাইশদের উদ্দেশে এ প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিশ্বনবী। কোরাইশরা বলল—হ্যাঁ, বিশ্বাস করব, প্রিয় নবী বললেন, তোমরা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ না বললে তার চেয়েও বেশি বিপদ ধেয়ে আসবে! এটা শুনে দয়ার নবীকে প্রহার করতে গেল আবু লাহাব। আল্লাহ তাআলা এ ন্যক্কারজনক কাজের প্রতিবাদে সুরা লাহাব নাজিল করেন। প্রিয় নবীকে সান্ত্বনা দিলেন। কিন্তু একসময় এ কাফিরদের ষড়যন্ত্র আর নির্যাতনে বাধ্য হয়ে নবী মুহাম্মাদ (সা.) জন্মভূমি ছাড়লেন।

সময়ের ব্যবধান। আট বছর পর এই মক্কা বিজয় হলো। নবীর পদদলে আরব গোত্রপতি। তিনি এখন এ ভূমির প্রেসিডেন্ট, বিচারক, যুদ্ধজয়ী সেনানায়ক। শত্রুরা জানের ভয়ে পলায়নপর। আরাফা এলাকা থেকে ধরে আনা হলো সেই আবু লাহাবের ফেরারি দুই পুত্রকে। জীবনের রক্তাক্ত মীমাংসা আর শাস্তির পরিণতিতে ভীতু ও কম্পবান খলনায়কের সন্তানরা। আজন্ম অপরাধবোধ শেষে আজ যেন তার প্রায়শ্চিত্ত দিতে কল্লা যাবে।

উতবা আর মাতাব দুই ভাই। জনকের নাম নিকৃষ্ট আবু লাহাব। রাসুলের দুই হাতে দুজন। কী হবে পরিণতি, দেখার জন্য বস্ফািরিত নেত্রে তাকিয়ে আছে যুগ যুগ নির্যাতিত সাহাবিরা। দুই ভাইও প্রস্তুত মৃত্যুর জন্য। গম্ভীর কণ্ঠে শান্তির নবী ঘোষণা করলেন—‘আজ তোমাদের ভয় নেই, তোমরা নিরাপদ। ’ মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত কাফির সন্তান দুজন মুহূর্তে বদলে গেল। দ্বিধা-দ্বন্দ্বের ঝড় থেকে উঠে এসে শান্তির স্নিগ্ধ সমান্তরালে আশ্রয় নিল। সুরভিত দিগন্তে প্রবেশ করে কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করলেন। আল্লাহর রাসুল বায়তুল্লায় দুই ভাইয়ের জন্য দোয়া করলেন। হাসলেন। খুশি হলেন।

তিনিই বিশ্বনবী। যিনি গোটা সৃষ্টির জন্য রহমতস্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন। তাঁর আগমনে ভালোবাসা ও উদারতার এক আলোকিত জোয়ারে ভেসে গেছে প্রতিশোধ ও রক্তমূল্যের অন্ধকার হিসাব-নিকাশ। তাঁর হাত ধরেই বিশ্বে ছুটেছে শান্তির মিছিল, ক্ষমার মিছিল। প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এক শান্তিময় ধরা। হে প্রিয় রাসুল! তোমার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদ।

লেখক : ইমাম ও খতিব, বায়তুল আতিক কেন্দ্রীয় মসজিদ, বারিধারা, ঢাকা।

বিস্তারিত

pakistan

পাকিস্তানে ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগে বিক্ষোভ: আহত ২০০, সেনা মোতায়েন

প্রতিবেদনে বলা হয়, সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর অন্তত ৬৫ জন আহত হয়েছেন। আহত সবাইকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা জানান তাদের অন্তত ৪ জন নিহত হয়েছেন। তবে নিহতের ঘটনা অস্বীকার করছে পুলিশ।

 

টেলিভিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, গাড়িতে আগুন জ্বলছে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে।

পাকিস্তানের আইনমন্ত্রীর অপসারণের দাবিতে গত দু’সপ্তাহ ধরেই রাজধানী ইসলামাবাদের মূল রাস্তাগুলি অবরোধ করে রেখেছেন তেহরিক-ই-লাবাইকের কর্মী ও সমর্থকরা। শনিবার সকালে পুলিশ তা তোলার চেষ্টা শুরু করতেই সংঘর্ষের সূত্রপাত। এ দিন পাক আইনমন্ত্রীর বাড়ির একাংশ ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা।

রাতের মধ্যে এই আন্দোলন অন্য শহরগুলোতে ছড়িয়ে ফেলে। বেসরকারি টেলিভিশনগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিছু স্থানে বন্ধ রয়েছে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবও। তবে আন্দোলনকারীরা দাবিতে অনড় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তেহরিক ই লাবাইকের মুখপাত্র এজাজ আশরাফি বলেন, ‘আমরা হাজার হাজার মানুষ ফিরে যাবো না। শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবো।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনমন্ত্রীর বাড়ি ভাঙার সময় তার পরিবার সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। নিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন আইনমন্ত্রী। 

বিস্তারিত

haz

হজ ও ওমরায় সেলফি নিষিদ্ধ

মক্কায় মসজিদুল হারাম ও মদিনায় মসজিদে নববীতে সেলফি তোলা নিষিদ্ধ করেছে সৌদি সরকার। তুরস্কের সংবাদপত্র ডেইলি সাবাহ এ তথ্য জানিয়েছে।

পত্রিকাটি জানিয়েছে, গত ১২ নভেম্বর এই দুটি মসজিদে এবং ধর্মীয় পবিত্র স্থানগুলোতে সেলফি তোলায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পবিত্র স্থানগুলো রক্ষায়, প্রার্থণাকারীদের বিরক্ত করা এড়াতে এবং প্রার্থণার সময় প্রশান্তি নিশ্চিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা পোস্ট জানিয়েছে, সৌদি আরবে যেসব দূতাবাস রয়েছে তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ বিষয়টি অবহিত করেছে রিয়াদ। ১৫ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার দূতাবাস এ সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হজ ও ওমরা করতে যেয়ে অনেকে কাবা শরীফ ও মসজিদে নববীতে সেলফি তুলে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে পোস্ট করেছে। অনেকে আবার গ্রুপ ছবি তুলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছে। সমালোচকদের মতে, এটা এই দুই পবিত্র স্থানে এসে প্রার্থণার পরিবর্তে পর্যটকের মতো আচরণ করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ নিষেধাজ্ঞার কোনো লংঘন ঘটলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ছবি এমনকি প্রয়োজন পড়লে ক্যামেরা জব্দেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

প্রত্যেক হজ ও ওমরা পরিচালনাকারী সংস্থাকে সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের পক্ষ থেকে এই নির্দেশনা জানিয়ে দেওয়ার বিষয়েও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

বিস্তারিত

pic

গ্রেট পরিবার আয়োজিত কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান

তানযীমুল উম্মাহ মাদরাসা, নারায়নগঞ্জ শাখার হলরুমে বিগু অনলাইন ফোরাম কতৃক আয়োজিত শিশু কিশোরদের নিয়ে কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন মাদ্রাসা থেকে মোট ৫০ জন প্রতিযোগীরা অংশগ্রহন করেন। মেহেদি হাসানের উপস্থাপনায় উক্ত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোঃ কবির হোসাইন, প্রিন্সিপাল তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদরাসাÑ নারায়নগঞ্জ শাখা, প্রধান অতিথি ছিলেন ডঃ আবু লাবিব, ভাইস চেয়ারম্যান, তানযীমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন, বিশেষ অতিথি ছিলেন গ্রেট মাহফুজুল আলম খোকন, বিশিষ্ট সাংবাদিক, আরও উপস্থিত ছিলেন হাফেজ মাওলানা জয়নাল আবেদীন। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা সারা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় আনতে পেরেছি। বিগু একটি সফটওয়ার যার মাধ্যমে গ্রেট পরিবার কোরআন প্রতিযোগীতার আয়োজন করেছেন। তিনি আরও বলেন, বিগুতে যে পরিমান নোংরামী ও অসামাজিক কার্যক্রম হয় সেই অসামাজিক কার্যক্রম এর বিরুদ্ধে গ্রেট পরিবার অবস্থান নিয়ে বিগুর মাধ্যমে কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগীতার আয়োজন করায় গ্রেট পরিবারকে ধন্যবাদ জানান প্রধান অতিথি আবু লাবিব। উক্ত অনুষ্ঠানে গ্রেট পরিবারের সভাপতি সৌদি প্রবাসী গ্রেট রেজাউল করিম ভিডিও কনফারেন্সে সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, প্রতি বছর কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগীতা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনাও দেন গ্রেট রেজাউল করিম, তিনি গ্রেট পরিবারের সকল সদস্যদের জন্য দোয়া চেয়েছেন । শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক গ্রেট এ.বি সিদ্দিক,অর্থ সম্পাদক গ্রেট পরিবার। বক্তব্য শেষে বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থসহ ক্রেস্ট প্রধান করেন অতিথিবৃন্দ। পরিশেষে তানযীমুল উম্মাহ মাদরাসার ছাত্ররা ইসলামী সংগীতের আয়োজন করেন।

বিস্তারিত

Next
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • 22
  • 23
  • 24
  • 25
  • 26
  • 27
  • 28
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

কোলোন ক্যান্সার প্রতিরোধে নিয়মিত খেতে হবে ৯টি খাবার

নিম্ন মধ্যবিত্তের স্বপ্নপূরণের বাধা দূর করার আহ্বান

নৈরাজ্য করলে কঠোর হাতে দমন : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে সরকার

তাইওয়ানে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প

বিএনপির সাবেক এমপি হাসান উদ্দিন সরকারসহ আটক ৬

সংবাদ সম্মেলনে আসছেন খালেদা জিয়া

নাশকতা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের ব্যাপক প্রস্তুতি

প্রয়োজনে সাংবাদিকদের পক্ষে মামলা লড়বেন আইনমন্ত্রী

হাবিবুন নবী খান সোহেল আটক

  • প্রচ্ছদ
  • আমাদের পরিবার
  • বিজ্ঞাপন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত উত্তরা নিউজ
২০১৩-২০১৬

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ তারেকউজ্জামান খান
বাড়িঃ ১২৫(৩য় তলা), রানাভোলা এভিনিউ রোড, সেক্টরঃ ১০,
উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০
মোবাঃ ০১৭১২২৬৩৮৯৬
ই-মেইলঃ info@uttaranews24.com, uttaranewsbd24@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি