রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) পরিচালিত উত্তরা ৫নং সেক্টরস্থিত লেক খনন, স্লাজ অপসারণ ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের দক্ষিণাংশের কাজ ৮০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। গেল সপ্তাহের শেষ দিন উত্তরা ৫নং সেক্টরের উত্তরা লেকের দক্ষিণাংশ পরিদর্শনে গেলে এ তথ্য জানান প্রকল্পটির সাইট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ বিপ্লব হোসেন। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এই অংশের সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানান তিনি। এসময় উত্তরা নিউজের প্রতিনিধিকে প্রকল্পের খুটিনাটি তথ্য প্রদান করেন প্রকল্পের তত্ত্বাবধায়নের কাজে নিয়োজিত থাকা মোহাম্মদ আজাদ। তিনি বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে দক্ষিণাংশের এই অংশটির কাজ পুরোপুরিভাবে সম্পন্ন হয়ে যাবে। শুধুমাত্র একটি ব্লক ছাড়া অন্যান্য সবগুলো ব্লকের কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাকী একটির কাজ শেষ হলেই লেকের পার দিয়ে শোভাবর্ধনের জন্য ফুলের চারা রোপন করা হবে।
রাজউক পরিচালিত উত্তরার এই লেক খনন, স্লাজ অপসারণ ও তীর সংরক্ষণ কাজের সময়সীমা ১২ (বার) মাসের কথা উল্লেখ থাকলেও, কাজ শেষ করতে অধিক সময় লাগার কারণ হিসেবে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আজাদ বলেন, আসলে বৃষ্টির কারণে দীর্ঘ সময় র্কমস্থানে পানি জমে থাকার কারণে শ্রমিকরা কাজে নামতে পারেনি। ফলে যথাসময়ে কাজ করাও সম্ভব হয়নি। এ কারণে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে উত্তরাবাসীদের জন্য একটি উন্মুক্ত করা হবে। আমাদের সেই চেষ্টার স্বরূপ হিসেবেই বলা যায়, দ্রুত প্রকল্পের দক্ষিণের এই অংশটি কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং অন্যদিকে যে অংশটি রয়েছে, সেটির কার্যক্রমও এগিয়ে চলছে।
উল্লেখ্য যে, উত্তরা ৫নং সেক্টরের দুই অংশ জুড়ে চলছে রাজউকের লেক খনন, স্লাজ অপসারণ ও তীর সংরক্ষণ কাজ। ৫নং সেক্টর ব্রীজের দুই পাশ যথাক্রমে উত্তর ও দক্ষিণ অংশ নিয়ে এই কার্যক্রম চলে আসছে। দক্ষিণের অংশের তুলনায় উত্তরের অংশটির আয়তন অধিক বড় ও র্দীর্ঘায়িত। বর্তমানে দক্ষিণের
এগিয়ে চলছে উত্তরা লেকের কার্যক্রম, দক্ষিণের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন
নদী দখলকারীরা নির্বাচন করার ও ঋণ পাওয়ার অযোগ্য: হাইকোর্ট
ঢাকার তুরাগ নদকে ‘জীবন্ত সত্তা’ ঘোষণা করে দেশের সকল নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়কে রক্ষার জন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে ‘আইনগত অভিভাবক’ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। রায়ে নদী রক্ষা কমিশন যাতে নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয় রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে, সেজন্য আইন সংশোধন করে ‘কঠিন শাস্তির’ ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে সরকারকে। পাশাপাশি জলাশয় দখলকারী ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের তালিকা প্রকাশ, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের সব নদ-নদী, খাল-বিল ও জলাশয়ের ডিজিটাল ডেটাবেইজ তৈরি এবং সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় নিয়মিত সচেতনতামূলক কর্মসূচি নিতে বলা হয়েছে হাই কোর্টের রায়ে। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে তুরাগ নদীর অবৈধ দখলদারদের নাম ও স্থাপনার তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করেছিল বিচার বিভাগীয় একটি তদন্ত কমিটি। ওই তালিকায় আসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা পরে এ মামলায় পক্ষভুক্ত হন। উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানি নিয়ে হাই কোর্ট গত বুধবার নদী রক্ষায় রায় ঘোষণা শুরু করে। সেদিনই তুরাগ নদীকে ‘লিগ্যাল পারসন’ বা ‘জুরিসটিক পারসন’ ঘোষণা করা হয়, যা দেশের সব নদ-নদীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে রিটকারীপক্ষের আইনজীবী জানান। আইনের চোখে ব্যক্তি দুই ধরনের- নেচারাল পারসন ও লিগ্যাল পারসন। একজন মানুষ ‘নেচারাল পারসন’ হিসেবে যেসব আইনি সুবিধা ভোগ করেন, ‘লিগ্যাল পারসন’ এর ক্ষেত্রে বেশ কিছু আইনি অধিকার প্রযোজ্য হয়। জীবন্ত সত্তা হিসেবে মানুষ যেমন সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করে, আদালত নদীকে জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করায় নদীর ক্ষেত্রেও তেমন কিছু মৌলিক অধিকার স্বীকৃত হবে। এ মামলার অবশিষ্ট রায় গত বৃহ¯পতিবারই ঘোষণা করার কথা থাকলেও জাতীয় নদীরক্ষা কমিশন বা বিদ্যমান আইনের সঙ্গে রায়ের নির্দেশনা যেন সাংঘর্ষিক বা পর¯পরবিরোধী না হয়, সে জন্য সময় নেয় আদালত। এরপর রোববার বিস্তারিত নির্দেশনা সহ রায় ঘোষণা করা হয়। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ মামলার শুনানি করেন মনজিল মোরসেদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পূরবী রানী শর্মা ও পূরবী সাহা। আদালত বলেছে, দেশের সকল নদ-নদী খাল-বিল জলাশয় রক্ষার জন্য ‘পারসন ইন লোকো পেরেনটিস’ বা আইনগত অভিভাবক হবে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এর ফলে দেশের সকল সকল নদ-নদী খাল-বিল জলাশয়ের সুরক্ষা, সংরক্ষণ, অবৈধ দখল উচ্ছেদ, শ্রীবৃদ্ধিসহ সকল দায়িত্ব বর্তাবে নদী রক্ষা কমিশনের ওপর। নদী রক্ষা কমিশন যাতে কার্যকর একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করতে পাবে, তা নিশ্চিত করতে সরকারকে চার দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নদ-নদী, খাল-বিল জলাশয় দখলের অপরাধে ‘কঠিন সাজা ও জরিমানা’ নির্ধারণ করতে হবে। সে অনুযায়ী তদন্ত ও বিচারের আইনি কাঠামো তৈরি করতে হবে। এসব বিষয় যুক্ত করে ২০১৩ সালের নদী রক্ষা কমিশন আইন সংশোধন করে ছয় মাসের মধ্যে তা হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করতে হবে। আদালত বলেছে, স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের সকল নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয়ের অবস্থান চিহ্নিত করে একটি ডিজিটাল ডেটাবেইজ তৈরি করতে হবে। সেই ডেটাবেইজ দেশের সকল ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, জেলা ও বিভাগে নাগরিকের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে। নদী ও জলাশয় দখল বন্ধ করতে কিছু প্রতিরোধমূলক নির্দেশনাও আদালত দিয়েছে। সেগুলো হলো- নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয়ের অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করে তাদের নামের তালিকা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। নদী বা জলাশয় দখলকারী বা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীরা ব্যাংক ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন না। ঋণ দেওয়ার সময় আবেদনকারীর বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখার ব্যবস্থা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। জাতীয় বা স্থানীয়- কোনো ধরনের নির্বাচনে প্রার্থীর বিরুদ্ধে নদী দখল বা অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ থাকলে তাকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। দেশের সকল সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতি দুই মাসে কমপক্ষে একদিন এক ঘণ্টা ‘নদী রক্ষা, সুরক্ষা, দূষণ প্রতিরোধ’ বিষয়ে সচেতনতামূলক ক্লাস নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে। দেশের সকল শিল্প কারখানার সকল শ্রমিক কর্মচারীর অংশগ্রহণে প্রতি দুই মাসে এক দিন এক ঘণ্ট সচেতনতামূলক সভা বা বৈঠক করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন, উপজেলা, পৌরসভা, জেলা ও বিভাগে প্রতি তিন মাসে একবার নদী বিষয়ে দিনব্যাপী সভা-সমাবেশ করতে হবে। সরকার এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।
সেবা দিতে ব্যর্থ হলে চিকিৎসকদের ওএসডি করা হবে
চিকিৎসা সেবা দিতে ব্যর্থ হলে চিকিৎসক ও নার্সদের চাকরি ছেড়ে দিতে হবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোগীদের যথাযথ সেবা দিতে হবে। নতুবা আপনাদেরও ওএসডি করা হবে, চাকরি থাকবে না।
আজ রবিবার সকালে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারি হাসপাতালগুলোতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, চিকিৎসকদের দুই বছর ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা করতে হবে। এক বছর থাকতে হবে উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে।
সরকারি হাসপাতালগুলোর ঠিকমত চিকিৎসক না থাকার বিষয়ে সতর্ক কর দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, জেলায় জেলায় সার্ভে করতে হবে, হাসপাতালে ডাক্তার থাকে না কেন? যারা সেবা দেবেন না তাদের ওএসডি করে রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, চিকিৎসকদের রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হয়েছে, তাদের অবশ্যই চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে চাকরি থেকে চলে যেতে হবে তাদের৷
এ সময় নার্সদের সরকারি নানান সুবিধা দেওয়ার কথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরির মর্যাদা পেয়ে নার্সরা রোগীর সেবা করবেন না সেটা হবে না। শুধু ওষুধ খাওয়ানোর জন্য তাদের নার্স করা হয়নি। যারা রোগীর সেবা করবেন না তাদের এই পেশায় আসার দরকার নাই।
তিনি আরো বলেন, এখন নার্সদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ আছে। নার্সরা সেবা দেবে না- এটা ঠিক নয়। নার্সদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। শিগগিরই নার্সদের কর্মপরিধি আবারও মন্ত্রণালয়কে সুনির্দিষ্টকরণের তাগিদ দেন তিনি।
একইসঙ্গে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার মান বাড়ানোর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজের প্রতি আরও নজর দেওয়া প্রয়োজন। মান ও সেবা দুটোরই উন্নয়ন প্রয়োজন। আগামীতে প্রতিটি বিভাগীয় শহরে আরও বড় মাপের হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে।
মন্ত্রণালয়কে উদ্দেশ্য করে সরকার প্রধান বলেন, মেডিকেল কলেজগুলোতে চিকিৎসা বিদ্যায় পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাব রয়েছে৷ তাদের উৎসাহিত করতে প্রণোদনার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। রোগীদের নিবিড় সেবা দিতে নার্সদের কর্মপরিধি সুনির্দিষ্ট করা প্রয়োজন।
এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামীতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ আরো সম্প্রসারণ করা হবে। আটটি বিভাগীয় শহরে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আাগামী মাসের ১৫, ১৬ ও ১৭ তারিখ তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা
আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। আজ ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দাওয়াতে তাবলীগের শীর্ষ মুরব্বীদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন দাওয়াতে তাবলীগের শীর্ষ মুরব্বী মাওলানা যুবায়ের আহমদের ছেলে মাওলানা হানজালা।
ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী মাসের ১৫ থেকে ১৭ তারিখ পর্যন্ত বিশ্বইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে বলে বৃহস্পতিবার ধর্মমন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে এ কথা জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। বৃহস্পতিবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে— এর আগে দুই পর্বে এ বিশ্বইজতেমা অনুষ্ঠিত হলেও এবার একটাই হবে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, দুই গ্রুপ এক সঙ্গে একই জায়গায় এবারের ইজতেমা করার বিষয়ে একমত হয়েছেন।
গতকাল ফেব্রুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা হবে যৌথ আয়োজনে—আর দিন ঠিক হবে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠকে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুই পক্ষের ‘মুরুব্বিদের’ নিয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠকের পর এ কথা বলেন তিনি।
তাবলিগ জামাতের প্রতিদ্বন্দ্বি দুই পক্ষের বিবাদ মিটে গেছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আসছে ফেব্রুয়ারিতে দুই পক্ষ একসঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা করতে সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিরোধ মীমাংসা হয়েছে— এখন আর কোনো বিরোধ নেই, ফেব্রুয়ারি মাসে একসঙ্গে ইজতেমা হবে আর আগামীকাল ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দুই পক্ষের প্রতিনিধি মাওলানা জুবায়ের আহমেদ ও মাওলানা ওয়াসেকুল ইসলাম বৈঠক করে দিন ঠিক করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দিল্লির মাওলানা সাদ এবার আর ইজতেমায় যোগ দিতে আসছেন না, বৈঠকে এ সিদ্ধান্তই হয়েছে।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বারান্দায় দুই পক্ষের ‘মুরুব্বিরা’ কোলাকুলি করেন।
বিরোধ মীমাংসায় সমন্বয়কারী কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, উভয়পক্ষ সম্মত হয়েছে একবারেই ইজতেমা হবে। তাদের মধ্যে যে ভুল বোঝাবুঝি ছিল তা মিটমাট হযে গেছে এখন আর বিরোধ নেই।
কয়েক লাখ লোকের জমায়েতের কারণে বিশ্ব ইজতেমাকে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্মিলন বলা হয়। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন হলেও তাবলিগ জামাতের নেতৃত্বের দ্বন্দ্বে এবার তা স্থগিত করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অনুসারীদের মধ্যে তাবলিগের শুরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ওয়াসেকুল ইসলাম এবং দেওবন্দপন্থিদের মধ্যে শুরা সদস্য মাওলানা জুবায় আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, পুলিশের মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, র্যা ব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ও ঢাকার পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।
মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কট সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, মুসলিম উম্মাহর ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত। যদি মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়, তাহলে সংঘাতে না গিয়ে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ রেজা নাফর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ আহ্বান জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সংঘাতের কারণে মুসলিম দেশগুলোর জনগণকে ভোগান্তি পোহানোর কথা উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সরকার দারিদ্র্য কমিয়ে ২১ শতাংশে নামিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে আরও ৪/৫ শতাংশ কমিয়ে আনা সরকারের লক্ষ্য।
‘গ্রামকে কেন্দ্র করেই সরকারের উন্নয়ন নীতি,’ বলেন তিনি।
বাংলাদেশে বিদ্যমান ধর্মীয় সম্প্রীতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে এবং ধর্মীয় উৎসবগুলোতে সবাই অংশগ্রহণ করে।
এ সময় ইরানের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং দেশটির জনগণের সাহসের প্রশংসা করেন তিনি। একই সঙ্গে নবনিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
রাষ্ট্রদূতের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাধ্যমে ইরানের প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানান। পাশাপাশি ১৯৯৭ ও ২০১২ সালে ইরান সফরের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের বিপুল বিজয়ের প্রশংসা করেন নবনিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত। শেখ হাসিনাকে জ্ঞানী এবং দূরদর্শী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত নাফর বলেন, আপনার প্রতি ইরানের জনগণের ভালোবাসা রয়েছে। স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান নাফর।
সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর আর নেই
চলে গেলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি আমানুল্লাহ কবীর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
জামালপুরের কৃতি সন্তান বিখ্যাত এই সাংবাদিক মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ডায়াবেটিস ও লিভারের নানা জটিলতা নিয়ে বেশ কিছু দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
১৯৪৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন আমানুল্লাহ কবীর।
সাড়ে চার দশকের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী আমানুল্লাহ কবীর বাংলা দৈনিক আমার দেশের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। তিনি ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফের (বর্তমানে বিলুপ্ত) নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থায় (বাসস) ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এ ছাড়া ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিষ্ঠাকালীন নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন আমানুল্লাহ কবীর। এর আগে এস এম আলীর সম্পাদনায় প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের শুরুর দিকের বার্তা সম্পাদক ছিলেন তিনি।
আমানুল্লাহ কবীর সর্বশেষ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জ্যেষ্ঠ সম্পাদক ছিলেন।
হলি আর্টিজান হামলায় : ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আরো চারজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
সাক্ষীরা হলেন- তরুন গোমেজ, মো. হোসেন, মো. লেলিন মোল্লা ও সঞ্জয় বড়ুয়া। চারজনই হলি আর্টিজনের কর্মচারী ছিলেন।
বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ওই সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। ট্রাইব্যুনাল আগামী ২৩ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেছেন।
সাক্ষীদের মধ্যে ট্রাইব্যুনাল প্রথম তিনজনের শুধু নাম ঠিকানা লেখার পর রাষ্ট্রপক্ষ তাদের টেন্ডার ঘোষণা করেন। পরে সাক্ষী সঞ্জয় বড়ুয়া আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।
জবানবন্দিতে সঞ্জয় বড়ুয়া বলেন, ঘটনার রাতে ২০১৬ সালের ১ জুলাই তিনি ইলেকেট্রিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গোলাগুলি শুরু হলে তিনি একটি রুমে আশ্রয় নেন। সেখানে সারা রাত অন্যান্যদের সঙ্গে অবস্থান করেন। পরদিন সকাল ১০টার দিকে রুম থেকে বেড়িয়ে বাসায় চলে যান। পরে ৫ জুলাই ডিবি পুলিশ তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে তার মোবাইল ফোন জব্দ করেন।
এ নিয়ে মামলাটিতে ১২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হলো। মামলাটিতে গত ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
আসামিরা হলেন- হামলার মূল সমন্বয়ক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিক তামিম চৌধুরীর সহযোগী আসলাম হোসেন ওরফে রাশেদ ওরফে আবু জাররা ওরফে র্যাশ, ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী নব্য জেএমবি নেতা হাদিসুর রহমান সাগর, নব্য জেএমবির অস্ত্র ও বিস্ফোরক শাখার প্রধান মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, জঙ্গি রাকিবুল হাসান রিগ্যান, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব ওরফে রাজীব গান্ধী, হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী আব্দুস সবুর খান (হাসান) ওরফে সোহেল মাহফুজ, শরিফুল ইসলাম ও মামুনুর রশিদ।
আসামিদের মধ্যে প্রথম ৬ জন কারাগারে আছেন। অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছেন।
এদিন কারাগারে থাকা ৬ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলাটিতে গত ৮ আগস্ট আট আসামির বিরুদ্ধে দাখিল করা চার্জশিট গ্রহণ করে আদালত। চার্জশিটে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমের বিরুদ্ধে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে কূটনৈতিক এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা হামলা করে এবং দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করে। এ সময় অভিযান চালাতে গিয়ে জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন খান নিহত হন। রাতের বিভিন্ন সময় তিন বাংলাদেশিসহ ২০ জন জিম্মিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করে জঙ্গিরা।
পরদিন সকালে যৌথ বাহিনী কমান্ডো অভিযান চালায়। এতে ছয় হামলাকারী নিহত হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ১৩ জিম্মিকে।
একই বছরের ৪ জুলাই নিহত ৫ জঙ্গিসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়।
১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আগামী ১০০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এসময় প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ঘোষিত কার্যক্রমের ভিত্তিতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সেবা সপ্তাহ উদযাপন করা হবে, যেসব নতুন প্রকল্পগুলোর ডিপিপি প্রস্তুত হয়েছে, সেসবের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পর পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে, মন্ত্রণালয় থেকে মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রমের তদারকি প্রক্রিয়া চালু করে যন্ত্রপাতি, জনবল কর্মক্ষেত্রে উপস্থিতি তদারকি করা হবে, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কার্যক্রম সরেজমিন পরিদর্শন করবেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান ও কার্যক্রমগুলো পরিদর্শনের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে সফর করবেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বিভিন্ন পদে ইতোপূর্বে গৃহীত পদোন্নতি প্রক্রিয়া শেষ করা হবে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে যথাযথ প্রচারণা কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে, সব হাসপাতালে সহজে দৃশ্যমান সাইনবোর্ডসহ নিয়ন সাইন এর সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে, প্রতিটি হাসপাতালে প্রদেয় সেবা এবং গ্রহণ করা বিভিন্ন ইউজার চার্জের তালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন নিশ্চিত করা হবে, স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে সেবা গ্রহীতারা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হন, সেসব সমস্যা এবং তার সমাধান বিষয়ে সেবা গ্রহণকারীদের পরামর্শ গ্রহণের জন্য ওয়েবসাইটে অভিযোগ কর্নার চালু করা হবে ও হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জন্য জিপ গাড়ি দেওয়া হবে।
একশ দিনের কর্মসূচির বাইরে সংবাদ সসম্মেলনে মা ও শিশু হাসপাতালের কার্যক্রম শুরু করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শেষে স্বাস্থ্য বিষয়ক অভিযোগ জানানোর জন্য একটি ওয়েবসাইটের উদ্বোধন করেন।
পোশাক শ্রমিক আন্দোলনে ব্যক্তি স্বার্থগোষ্ঠীকে আইনের আওতায় আনা হবে
পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের নামে কেউ যদি ব্যক্তিগত স্বার্থ বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে পিছিয়ে পড়া তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, শ্রমিকদের আন্দোলনের পেছনে কেউ উস্কানি দিয়ে নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে কি-না তা খতিয়ে দেখতে গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আন্দোলনের নামে কেউ যদি ব্যক্তিগত স্বার্থ বা গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
শ্রমিকদের দাবি নিয়ে মন্ত্রণালয়, বিজিএমইএ কাজ করছে। শিগগিরই তাদের দাবি মিটিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান ঢাকার পুলিশ কমিশনার।
এসময় তিনি শ্রমিকদের রাস্তা ছেড়ে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের উদ্দেশ্যে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আপনাদের কাছে আমি অনুরোধ করবো নিজেরা আত্মসম্মান নিয়ে বাঁচুন। আপনাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিত্তবানরা সহযোগিতা করবেন, সরকার সহযোগিতা করবে। কিন্তু নিজের আত্মসম্মান বিক্রি করে আমরা যদি এইভাবে পথে ঘাটে মানুষদের কষ্ট দেই তাহলে কিন্তু আপনাদের সম্পর্কে মানুষের মনে নেতিবাচক একটা ধারণা জন্মাবে।
তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত বিনীতভাবে সবিনয়ে আপনাদের কাছে অনুরোধ করব আমরা যাতে আত্মসম্মানকে বিলিয়ে না দেই৷ আসুন আমরা নিজের পেশাদার কর্মের মধ্য দিয়ে সম্মানের সাথে বাঁচি।
তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের কর্মসংস্থানে এগিয়ে আসার আশ্বাস দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মহানগরীতে আপনাদের সম্প্রদায়ের যারা আছেন, আপনারা প্রকল্প নিয়ে আসেন, আমি কথা দিচ্ছি আপনাদের ভাগ্য উন্নোয়নের জন্য যেকোন প্রকল্প প্রস্তাব আসলে তাতে সরকারের পাশাপাশি আমরা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করবো।
- 1
- 2
- 3
- 4
- 5
- 6
- 7
- 8
- 9
- 10
- 11
- 12
- 13
- 14
- 15
- 16
- 17
- 18
- 19
- 20
- 21
- 22
- 23
- 24
- 25
- 26
- 27
- 28
- 29
- 30
- 31
- 32
- 33
- 34
- 35
- 36
- 37
- 38
- 39
- 40
- 41
- 42
- 43
- 44
- 45
- 46
- 47
- 48
- 49
- 50
- 51
- 52
- 53
- 54
- 55
- 56
- 57
- 58
- 59
- 60
- 61
- 62
- 63
- 64
- 65
- 66
- 67
- 68
- 69
- 70
- 71
- 72
- 73
- 74
- 75
- 76
- 77
- 78
- 79
- 80
- 81
- 82
- 83
- 84
- 85
- 86
- 87
- 88
- 89
- 90
- 91
- 92
- 93
- 94
- 95
- 96
- 97
- 98
- 99
- 100
- 101
- 102
- 103
- 104
- 105
- 106
- 107
- 108
- 109
- 110
- 111
- 112
- 113
- 114
- 115
- 116
- 117
- 118
- 119
- 120
- 121
- 122
- 123
- 124
- 125
- 126
- 127
- 128
- 129
- 130
- 131
- 132
- 133
- 134