একটা সময় ছিল, যখন ব্রা নিয়ে কথা বলতে নারীরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন না। কিন্তু যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সময় বদলেছে, আজকের আধুনিক নারী জানেন ও বোঝেন ব্রা-এর গুরুত্ব। ব্রা কেবল একটি পোশাক নয়, ব্রা-এর সাথে জড়িয়ে আছে নারীর স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য। ভুল মাপের ব্রা পরিধান কেবল নারীর সৌন্দর্যহানিই ঘটায় না, একই সাথে নারীর জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিও ডেকে আনে। অনেক চিকিৎসকের মতেই স্তন ক্যান্সার হবার অন্যতম কারণ খুব টাইট ব্রা পরিধান করা।
কীভাবে বুঝবেন আপনি ভুল মাপের ব্রা পরিধান করছেন আর নিজের জন্য ডেকে আনছেন স্বাস্থ্যঝুঁকি? চলুন, জেনে নিই।
১) ব্রা পরিধান করার পর স্তন বেশি উঁচু হয়ে থাকলে বুঝবেন যে এই ব্রা-টি আপনার শরীরের সাথে মানানসই নয়। হ্যাঁ, ব্রা-এর কাজ স্তনকে সাপোর্ট দেয়া। কিন্তু সেটা জোর করে উপরের দিকে পুশ করে নয়, এতে স্তনে অতিরিক্ত চাপ পড়ে।
২) ব্রা পড়ার কয়েক ঘণ্টা পরই কি ফিতা আপনার কাঁধে বসে যায় ও দাগ পড়ে যায়? তাহলে জানবেন যে আপনার ব্রা বেশি আঁটসাঁট। এমন ব্রা পরিধান করা মোটেও উচিত নয়।
৩) ব্রা পড়ার পর কি স্তনে চুলকানি হয়? বা দিনশেষে যখন ব্রা খোলেন, তখন কি স্তনের চামড়ায় কোন রকমের র্যাশ দেখতে পান? তাহলে জেনে রাখুন এই ব্রা-এর কাপড়টি ভুল। তাছাড়া মনে রাখবেন, সিনথেটিক কাপড়ের ব্রা পরিধান না করাই ভালো। বিশেষ করে যদি দিনরাত সারাক্ষণ ব্রা পরার অভ্যাস থাকে।
৪) ব্রা পরার পর যদি বগলের কাছে ফুলে থাকে বা স্তন কাপের বাইরে চলে যায়, তাহলে বুঝবেন আপনার আরও ঢিলা ব্রা পরিধান করা প্রয়োজন। যেটা পরছেন সেটার কাপ সাইজ ছোট।
৫) ব্রা-এর হুক কি প্রথম ঘরটাতেই লাগাতে পারেন? তাহলে ব্রা-এর সাইজ ঠিক আছে। দ্বিতীয় ঘর পর্যন্তও চলবে। কিন্তু তৃতীয় ও চতুর্থ ঘরে লাগানোর অর্থ আপনার ব্রা ভুল মাপের।
৬) পোশাক পরার পর নিজেকে আয়নায় দেখুন। বক্ষযুগলকে সুন্দর শেপে দেখাচ্ছে? পেছনে ভাঁজ পড়ে নেই তো? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে বুঝবেন ব্রা-এর সাইজ ও শেপ ঠিক আছে। কিন্তু যদি বেশি ঢিলাঢালা মনে হয় স্তনের শেপ, তাহলে বুঝবেন আপনি প্রয়োজনের চাইতে বড় সাইজের ব্রা ব্যবহার করছেন। এমন ব্রা আপনার দেহের শেপ নষ্ট করে দেবে।
৭) ব্রা-এর ফিতা কি কাঁধ থেকে গড়িয়ে নেমে যায়? তাহলে বুঝবেন আপনার ব্রা-এর সাইজ ভুল। স্তন পর্যাপ্ত সাপোর্ট পাচ্ছে না, তাই ফিতা গড়িয়ে নেমে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ফিতা খাটো করে নিলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ব্রা-এর সাথে জড়িয়ে আছে নারীর স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য ! ভুল ব্রা নারীর জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির
জেনে নিন স্ত্রীকে আকৃষ্ট করার ১০ টিপস !
সব স্বামীরাই চান স্ত্রী তার প্রতি সব সময় আকৃষ্ট হোক। নিজেই থাকতে চান স্ত্রীর ভাবনার জগৎজুড়ে। প্রত্যাশা করেন, স্ত্রী একমাত্র তাকেই ভালোবাসবে মন উজাড় করে দিয়ে। কিন্তু সব স্বামীদের কপালে তা জোটে না। তবে সামান্য কিছু বিষয়ে দৃষ্টি রাখলে স্ত্রীর ভালোবাসা ভালোবাসা অর্জন কোনো ব্যাপারই না। আসুন জেনে নেই এ ব্যাপারে ১০ টিপস। ইন্টারনেট অবলম্বনে লিখেছেন- মো: বাকীবিল্লাহ।
এক. স্ত্রীর চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। আলাপের সময় এ দিক সেদিক তাকাবেন না।
দুই. নিজেকে পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন রাখুন। সুগন্ধী ব্যবহার করুন। নারীরা সব সময় তার সঙ্গীর পরিপাটি ও সুগন্ধময় পরিধেয় ভালবাসে।
তিন. স্ত্রীকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করুন। মেয়েরা সব সময় সহযোগীদের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
চার. তার বন্ধুদের প্রতি সামাজিক হোন। তাদের নিজের মতো আপন করে নিন। মেয়েরা সাধারণত সামাজিক ও মিশুক প্রকৃতির ছেলের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
পাঁচ. একত্রে থাকাবস্থায় অন্য কারো সাথে ফোনালাপ পরিহার করার চেষ্টা করুন। এছাড়া স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা বলার সময় বোঝাতে চেষ্টা করুন আপনি তার প্রতি মনোযোগী। তার প্রতি আপনার পূর্ণ আকর্ষণ রয়েছে।
ছয়. স্ত্রীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করুন, বিশেষত তার সম্পর্কে। মেয়েরা সব সময় তার ব্যাপারে আলোচনা পছন্দ করে। যেমন তার ভাল লাগা, প্রিয় জিনিস ইত্যাদি।
সাত. কোথাও প্রবেশের সময় আগে গিয়ে দরজা খুলে তাকে স্বাগত জানান। এ বিষয়টি নারীদের ভীষণ প্রিয়।
আট. তার সৌন্দর্যের প্রশংসা করুন। যেমন- তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। পোশাকটিতে তোমাকে ভালো মানিয়েছে ইত্যাদি।
নয়. স্ত্রীর কাছ থেকে পরামর্শ নিন। যেমন- কোনো কাজ শুরু করার আগে মতামত চাওয়া। এতে সে ভাববে আপনি তাকে গুরুত্ব দেন।
দশ. তাঁর ইতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরুন। যেমন তোমাকে হাসিখুশি মনে হয়। তোমার সব কাজই ভালো হয়। তুমি অনেক পজিটিভ ইত্যাদি।
এসব বিষয়ের প্রতি মনোযোগী হলে স্ত্রী আপনার প্রতি ইতিবাচক হবে আকর্ষণ অনুভব করবে। পৃথিবীতে মানুষ মাত্রই ভালো আর খারাপের মিশেল। পৃথিবীর সকল পুরুষ যেমন খারাপ না, তেমনই সকল পুরুষ ভালোও না। নারীদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। যতই নারীদেরকে অবলা বা দুর্বল ভাবা হোক না কেন, একজন বিপদজনক স্বভাবের নারী যে কোন পুরুষের জীবন ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। হ্যাঁ, শুনতে একটু কেমন কেমন লাগলেও কথা কিন্তু শতভাগ সত্যি। প্রেম করছেন কিংবা বিয়ে করার কথা ভাবছেন? তাহলে চটজলদি চোখ বুলিয়ে নিন এই তালিকায়। আর জেনে নিন প্রেম-ভালোবাসার ক্ষেত্রে কেমন নারীদের কাছ থেকে ১০০ হাত দূরত্ব বজায়রাখতে হবে।
সহবাসের সময় নারীর ওপরে থাকা বিপদজ্জনক!
যৌন মিলনের সময় নারীর ওপরে থাকা অনেকের কাছেই আনন্দদায়ক হলেও নতুন গবেষণা তথ্যানুযায়ী, এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
গবেষণার তথ্যানুযায়ী, মিলনের সময় নারী ওপরে থাকলে ভেঙ্গে যেতে গোপানাঙ্গের হাড়। সম্প্রতি ব্রাজিলের গবেষকদের প্রকাশিত অ্যাডভান্সেস ইন ইউরোলজি-তে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে জানা গেছে এ তথ্য।
গবেষকদের মতে যৌনতায় সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থান হলো ‘কাউগার্ল’ নামে পরিচিত একটি পজিশন। অনেকে একে ‘হর্সরাইডিং’-ও বলে থাকেন। এ পজিশনে নারী ওপরে থাকে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘কাউগার্ল’ পজিশনে যৌনতার সময় আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এ অবস্থানে পুরুষাঙ্গের হাড় ভাঙার সম্ভাবনাও সবচেয়ে বেশি থাকে।
কাউগার্ল পজিশনে মূল সমস্যাটি হয় নিয়ন্ত্রণের ওপর। এ ক্ষেত্রে নারীর দেহের ওজন পুরুষাঙ্গের ওপর পড়ে, যার ফলে অনেক সময় সঠিকভাবে চাপ প্রয়োগ হয় না। ফলে এদিক-ওদিক হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। অন্যদিকে সাধারণভাবে প্রচলিত যৌনতার আসনগুলো কিছুটা নিরাপদ। বিশেষ করে যে আসনে পুরুষের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে, তাই একে নিরাপদ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
যৌনতার সময় যেসব আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটে, সেগুলো এ গবেষণায় তালিকাবদ্ধ করা হয়। গত ১৩ বছরের পরিসংখ্যান এতে বিবেচনা করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আঘাতের ঘটনা ঘটে কাউগার্ল পজিশনে। এ অবস্থানে প্রায় অর্ধেক আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপরের অবস্থান রয়েছে বহুল প্রচলিত ‘ম্যান অন টপ’ অবস্থান। এ অবস্থায় যৌনতায় ২১ ভাগ আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটে।
যৌনতায় আঘাত পাওয়াদের গড় বয়স ৩৪ বছর। প্রাথমিকভাবে এ সমস্যায় পতিত ব্যক্তিরা হাড় ভাঙার মতো শব্দ ও যন্ত্রণার কথা জানান। এরপর সাধারণত ছয় ঘণ্টা অপেক্ষা করেও যদি অবস্থার উন্নতি না হয় তখন তারা চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন।
শীতকালে ব্রণ থেকে দূরে থাকতে............
অনেকেই মনে করেন ব্রণ শুধু গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বক থাকার ফলে হয়। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ব্রণ শীতকালেও হয়। এবং তার প্রধান কারণ শরীরে অপর্যাপ্ত পানি। তাই শীতকালে ব্রণ থেকে দূরে থাকতে রইল কিছু টিপস-
১) পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা খুব জরুরি।
২) ঠাণ্ডায় কষ্ট হলেও ব্রণ এড়াতে নিয়ম করে মুখ ধুতে হবে। দূষণের কারণেও ব্রণ হয়।
৩) শীতকালে মুখ ধুয়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ত্বক আর্দ্র রাখা। ত্বক এই সময় রুক্ষ থাকে, তাই ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। এতে ত্বক আর্দ্র থাকে।
৪) ফ্রুট প্যাক জাতীয় মিশ্রণও ব্যবহার করা আবশ্যক। এগুলো ত্বককে খাবার জোগায়। শীতকালে পর্যাপ্ত খাবার না পেলে ত্বক রুক্ষ হতে থাকে।
৫) স্ক্রাবার ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতন থাকুন। শীতকালে স্ক্রাব করুন সপ্তাহে একদিন। নয়তো রুক্ষ ত্বকে ব্রণ হবেই হবে।
মেয়েরা যে কারণে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে জেনে নিন !
সম্পর্ক ভাঙা সহজ বিষয় নয়। কিন্তু অনেক সময় পরিস্থিতি এমন হয়, যখন সম্পর্ক ভাঙা ছাড়া বিকল্প আর কোনো উপায় থাকে না। অনেক ছেলের ধারণা ইচ্ছে করেই মেয়েরা সম্পর্ক বিচ্ছেদ করে, যা পুরোপুরি সত্য নয়। কী কী কারণে মেয়েরা সম্পর্ক ভাঙে তা জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। এক নজরে জেনে নিন কী সেগুলো।
১. পরিপক্বতার অভাব
মেয়েরা পরিপক্ব ছেলেদের পছন্দ করে। যার সঙ্গে সমস্যার কথা বলা যাবে, পরামর্শ নেওয়া যাবে, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করা যাবে। কিন্তু অপরিপক্ব ছেলেদের মেয়েরা একেবারেই পছন্দ করে না। তাই এমন ছেলের সঙ্গে তারা থাকতেও চায় না।
২. গুরুত্ব কমে গেলে
ফোন যথাসময়ে না ধরা, মেসেজের উত্তর তৎক্ষণাৎ না দেওয়া, সময় না দেওয়া, কোনো কারণে দেখা করার পরিকল্পনা পরিবর্তন করা—এসব অনেক মেয়েই সহজভাবে নিতে পারে না। তারা বিষয়টিকে উপেক্ষা হিসেবে ধরে নেয়। ফলে সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
৩. আর্থিক কারণে
আর্থিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করা খারাপ কিছু নয়। ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার সময় সঙ্গীর আর্থিক অবস্থা কেমন তা সব মেয়েই বিবেচনা করে, তারপর সিদ্ধান্ত নেয়। যদি সঙ্গীর আর্থিক অবস্থা নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয় তাহলে সেই সম্পর্ক ধরে রাখতে চায় না বেশির ভাগ মেয়ে।
৪. দূরত্ব বেশি হলে
স্কাইপ, ফোন কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলার মাঝে সেই রোমাঞ্চকর বিষয় নেই, যা এক সঙ্গে পাশাপাশি বসে কফি পান করার মাঝে রয়েছে। তাই সম্পর্কে দূরত্ব বেশি থাকলে এক সময় ভালোবাসার মধ্যে ঘাটতি দেখা যায়। যা সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম একটি কারণ।
৫. অভিভাবকের সম্মতির অভাব
সম্পর্ক ভাঙ্গার অন্যতম প্রধান কারণ এটা। অনেক মেয়েই তাদের পরিবারের বিপক্ষে বিয়ে করতে চায় না কিংবা অভিভাবকদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়। সে ক্ষেত্রে সম্পর্ক ভাঙা ছাড়া আর উপায় থাকে না।
জেনে নিন সমকামী ছেলে-মেয়ে চেনার উপায় !
সমকামী মানুষ আমাদের আশেপাশেই রয়েছেন। আমাদের বন্ধু-বান্ধবীদের মধ্যেও রয়েছেন কিছু সমকামী মানুষ। লোকলজ্জার ভয়ে তাঁরা অনেক সময়েই নিজেদের যৌন পছন্দের কথা বলে উঠতে পারেন না। যতক্ষণ না তাঁরা নিজেদের মুখে নিজেদের সমকামিত্বের কথা স্বীকার করছেন ততক্ষণ পর্য্ন্ত এই বিষয়ে নিশ্চিৎ হওয়ার উপায় নেই। এখানে রইল কিছু সাধারণ লক্ষণের কথা যা থেকে বোঝা যেতে পারে কোনও মানুষ সমকামী কি না। তবে প্রথমেই বলে নেওয়া ভাল, এগুলো লক্ষণ মাত্র। এই লক্ষণ মিলিয়ে কোনও মানুষের যৌন পছন্দ সম্পর্কে কোনও নিশ্চিৎ সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব নয়।
কীভাবে বুঝবেন কোনও মেয়ে সমকামী কি না:
১. সমকামী মেয়েদের সাধারণভাবে বিশিষ্ট ফ্যাশান সেন্স থাকে। পুরুষদের মতো পোশাক-আশাক পরা এদের স্বভাব। তবে অনেক সময়ে একেবারে নারীসুলভ উত্তেজক পোশাকেও এদের দেখা যায়।
২. পুরুষদের মতো একেবারে ছোট করে কাটা চুলের স্টাইল এদের পছন্দ।
৩. চলনে-বলনে টিপিকাল ‘মেয়েলি’স্বভাব এদের মধ্যে একটু কমই থাকে। বসার সময়ে সাধারণত দুই হাঁটু ফাঁক করে বসা এদের স্বভাব। হাঁটার ভঙ্গিও অনেকটা পুরুষদের মতোই হয়।
৪. মেয়েদের মতো হাতের আঙুলে বড় নখ সাধারণত এরা রাখে না।
৫. কথা বলার সময়ে ‘গে রাইটস’, সমকামী বিবাহ এইসব বিষয়ে আলোচনা করতে এরা ভালবাসে।
কীভাবে বুঝবেন কোনও ছেলে সমকামী কি না:
১. সমকামী পুরুষরা সাধারণত সাজগোজ করতে অনেকটা সময় নেয়।
২. সমকামী বা বাইসেক্সুয়াল বা রূপান্তরকামী সেলিব্রিটিরা এঁদের আদর্শ হন।
৩. মেয়েদের জন্য পত্রিকা বা মেয়েদের জন্য সম্প্রচারিত টিভি প্রোগ্রাম এদের পছন্দ।
৪. রাস্তাঘাটে চলাফেরার সময়ে অন্য ছেলেদের ওপর এদের নজর থাকে বেশি।
৫. কোনও পাবলিক টয়লেটে যেতে এরা সাধারণত দ্বিধা বোধ করে।
পুরুষের কামশক্তি বাড়ানোর ৬পদ্ধতি
সঙ্গম-সুখের অনুভূতি কার বেশি, পুরুষ নাকি নারীর?
গ্রিক পুরাণে একটা কাহিনি রয়েছে। দেবরাজ জিউস এবং দেবরাণি হেরার মধ্যে একবার এই নিয়ে তর্ক হয়, সঙ্গমে কার বেশি সুখ— পুরুষ না নারী? তর্কের মীমাংসা করতে তাঁরা তাইরেসিয়াস নামক এক দার্শনিক এবং ভবিষ্যকথকের দ্বারস্থ হন। তাইরেসিয়াস পড়েন ফাঁপরে। কাকে খুশি করবেন, স্থির করতে না পেরে খুব গেলমেলে একটা উত্তর দেন তিনি। জিউস এবং হেরা বুঝতে পারেন, তাঁদের ধোঁকা দিয়েছেন তাইরেসিয়াস। হেরা তাঁকে অন্ধত্বের অভিশাপ দেন। টাইরেসিয়াসকে দীর্ঘ অন্ধত্বের পর্ব কাটাতে হয়।
এই প্রশ্ন এ দেশের পুরাণে যে ওঠেনি, তা নয়। খোদ ‘মহাভারতে’ এই প্রশ্ন নিয়ে বেশ তোলপাড় হয়েছিল বলেই জানা যায়। এই বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছিল ভীষ্ম এবং যুধিষ্ঠীরের মধ্যে। জ্যেষ্ঠ পাণ্ডব প্রশ্নটি করেছিলেন শরশয্যায় শায়িত পিতামহকে। ভীষ্ম তাঁকে রাজা ভঙ্গাশ্যনের কাহিনি শোনান। এই কাহিনি অনুযায়ী, দেবরাজ ইন্দ্রের অভিশাপে ভঙ্গাশ্যন নারীতে পরিণত হন। তিনি একমাত্র ব্যক্তি, যিনি পুরুষ এবং নারী— উভয়ের সঙ্গম-সুখের অনুভূতি কেমন, তা জানতেন। পুরুষ ও নারী উভয় অবস্থাতেই তিনি সন্তানলাভ করেন। সেই সব সন্তানদের একাংশ তাঁকে বাবা ও একাংশ মা বলে সম্বোধন করত। ইন্দ্র তাঁকে যখন পুনরায় পুরুষ হতে অনুরোধ করেন, তখন তিনি নারী হিসেবেই থেকে যেতে চান। কারণ হিসেবে তিনি জানান, সঙ্গমে নারীর সুখই অধিক।
তাইরেসিয়াসের মিথের সঙ্গে ভঙ্গাশ্যনের মিথের যথেষ্ট মিল রয়েছে। অন্ধত্বের আগে তাইরেসিয়াসকেও একটা বড় সময় নারী হিসেবে কাটাতে হয়েছিল। দুই পুরাণ-কাহিনির মধ্যে এই আশ্চর্য মিল কি আপতিক? মিথ-বিশ্লেষকরা জানান, এই জিজ্ঞাসা যেহতু মানুষের চিরন্তন, সেহেতু মিল থাকা স্বাভাবিক। আবার এমনও হতে পারে, ‘মহাভারত’-এর কাহিনি সাগর পেরিয়ে পৌঁছেছিল গ্রিক ভুবনে। এই কাহিনিগুলির সঙ্গে মিল রয়েছে আইরিশ পুরাণেরও। কিন্তু প্রায় সবাই একই কথা বলে— সঙ্গমে নারীর সুখই অধিক।
তন্ত্র বা সহজিয়া দর্শনে নারীকে শক্তি হিসেবে দেখা হয়। দেহ-সাধনার ক্রিয়াগুলিতে নারীর যে সক্রিয় ভূমিকার কথা তারা বলে, তাতেও প্রতীতি হয় এই সত্য। শরীর-বিজ্ঞান এই নিয়ে স্পষ্ট কিছু না বললেও এটা বোঝাই যায়, স্ত্রী-অনুভূতির ভূবনে ‘ইতিহর্ষ’ এক প্রলম্বিত বিষয়। অথচ পুরুষের বীর্যধারণ তো মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যাপার!
ঘুমের মাঝে কেন আমাদের দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়ায় !
রাতে ঘুম আসলেই নানা স্বপ্নে বিভোর হয়ে পড়ি আমরা। কিছু পাওয়ার তীব্র বাসনা কিংবা ব্যর্থতার ভয় কাজ করে আমাদের অবচেতন মনে। কতো না স্বপ্ন ভিড় করে ঘুমের গভীরে! ভয়ের সঙ্গে মিশে থাকে উত্তেজনা। ফলে ঘুমের মাঝে দুঃস্বপ্ন তাড়া করে বেড়ায় আমাদের।
এখন প্রশ্ন হলো, কেন স্বপ্ন দেখি? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বপ্ন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, স্বপ্ন আসলে মনের তিনটি অবস্থা ছাড়া কিছু নয়! যেমন- পূর্ব সচেতন, অচেতন এবং সচেতন। যখন মানুষ সম্পূর্ণ জেগে থাকে, তখন সচেতন। যখন সম্পূর্ণ ঘুমিয়ে থাকে তখন অচেতন। আর এই দুই অবস্থার মাঝের অবস্থা পূর্ব সচেতন।