English
  • Twitter
  • Facebook
  • RSS
  • Google+
  • Vimeo
  • Tumblr
  • Pinterest

logo
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • লাইফস্টাইল
  • আইন ও আদালত
  • শিক্ষাঙ্গন
  • ধর্ম ও জীবন
  • অন্যান্য
    • প্রবাস
    • উত্তরার খবর
    • রাজধানী
    • সারাবাংলা
    • বিচিত্র খবর
    • ফিচার-সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য
    • সাক্ষাৎকার
    • সম্পাদকীয়
    • ছবিঘর
    • ভিডিও
  • উত্তরা
প্রচ্ছদ
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • লাইফস্টাইল
  • আইন ও আদালত
  • শিক্ষাঙ্গন
  • ধর্ম ও জীবন
  • অন্যান্য
    • প্রবাস
    • উত্তরার খবর
    • রাজধানী
    • সারাবাংলা
    • বিচিত্র খবর
    • ফিচার-সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য
    • সাক্ষাৎকার
    • সম্পাদকীয়
    • ছবিঘর
    • ভিডিও
  • উত্তরা

ব্রেকিং নিউজ

uttaranews24 এগিয়ে চলছে উত্তরা লেকের কার্যক্রম, দক্ষিণের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন    uttaranews24 সোনারগাঁও-শাহ মখদুম সড়কে অধিকাংশ সময় যানজট    uttaranews24 নদী দখলকারীরা নির্বাচন করার ও ঋণ পাওয়ার অযোগ্য: হাইকোর্ট    uttaranews24 উত্তরা ১২ নং সেক্টরে প্রধান সড়কে রাস্তার উপর নির্মাণ সামগ্রী!    uttaranews24 তুরাগ থানা আ.লীগ এর পক্ষ থেকে সাহারা খাতুন (এমপি)কে ফুলেল শুভেচ্ছা    uttaranews24 ফেসবুকে জানান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের আত্মহত্যা    uttaranews24 নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ব্যাখা দিলেন সজিব ওয়াজেদ জয়   
  • প্রচ্ছদ
  • আন্তর্জাতিক
Trup

‘ট্রাম্পের ওপর বিন্দুমাত্র আস্থাও রইল না আর’

আড়াই যুগ আগে ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আইজ্যাক রবিনের হাতে হাত মিলিয়ে দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ রকম কোনো দৃশ্য যেন কল্পনাই করতে পারেন না। বরং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা থেকে তিনি যেন একেবারে ছিটকে পড়েছেন।

পাকা ব্যবসায়ী হলেও পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণের ব্যাপারে ট্রাম্পকে একেবারে নবিশ হিসেবে দেখেন পর্যবেক্ষকরা। তার পরও তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে ‘চূড়ান্ত চুক্তি’ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার করেছিলেন। প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি গত বছর মে মাসে বলেছিলেন, ‘সত্যি বলছি, লোকে এত বছর ধরে যেটাকে খুব কঠিন বলে ভেবে এসেছে, ব্যাপারটা আসলে সম্ভবত অতটা কঠিন নয়।’ এমন মন্তব্য করার এক বছরের বেশি সময় পার করে গত সপ্তাহে তিনি স্বীকার করে নেন, ‘সারা জীবন ধরে আমি শুনে এসেছি, এ (ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি) চুক্তি করা সবচেয়ে কঠিন। আর এখন আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছি, এটাই সম্ভবত সত্যি।’ সেই সঙ্গে তিনি অবশ্য এটাও বলেছেন, চুক্তি করার ব্যাপারে তিনি এখনো আশাবাদী।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এ দুই মন্তব্য করার মাঝখানে অনেক কিছু ঘটিয়ে ফেলেছেন। গত বছর ডিসেম্বরে তিনি গোটা জেরুজালেমকে একতরফাভাবে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ফিলিস্তিনিদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোনো তোয়াক্কাই তিনি করেননি। ওই স্বীকৃতির বাস্তবায়নে তিনি এ বছর মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ইসরায়েলের তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে আনেন।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফিলিস্তিন মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকাকে একেবারে নাকচ করে দেয়। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস স্পষ্ট ঘোষণা করেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যস্থতা তাঁরা আর মানেন না।

এরপর ফিলিস্তিনকে শায়েস্তা করার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফিলিস্তিনিদের অর্থ সহায়তা প্রদান একেবারে বন্ধ করে দেন। ফিলিস্তিনি নেতাদের আরো চাপের মধ্যে ফেলতে গত সোমবার ওয়াশিংটনে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) মিশন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এত কিছু করার পেছনে ট্রাম্পের একটাই যুক্তি, ‘বল প্রয়োগ করে শান্তি’ আনতে চান তিনি। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, সেটা কি আদৌ আর সম্ভব? কার্নেগি এনডাউমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের গবেষক মিশেল ডুন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বিশ্বাস করে বসে আছেন, ফিলিস্তিনিদের বোঝানো সম্ভব যে তারা সব কিছু হারিয়েছে এবং সামনে যা পাবে, সেটাই তাদের গ্রহণ করতে হবে। সেটা হতে পারে কিছু অর্থনৈতিক সুবিধাসহ স্বায়ত্তশাসনের অধিকার।’ ডুনের ধারণা, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুটা আলোচনার টেবিল থেকে একেবারে সরিয়ে ফেলতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এ ইস্যুর সঙ্গে শুধু ফিলিস্তিনিরা নয়, অন্য অনেক আরব ও মুসলিমরাও ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছে। সুতরাং ‘ফিলিস্তিনিরা এভাবে বিষয়টা মেনে নেবে, তেমন সম্ভাবনা নেই বললেই চলে’, বলেন ডুন।

ফিলিস্তিন যে এখন আর ট্রাম্পকে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখতে চায় না, তাতে একটুও বিস্মিত নন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা আরন ডেভিড মিলার। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট উভয় প্রশাসনের হয়ে মিলার মধ্যপ্রাচ্য সংকটে সমঝোতাকারী হিসেবে একসময় ভূমিকা রেখেছেন। বর্তমানে তিনি ওয়াশিংটনের বিশ্লেষক সংস্থা উইলসন সেন্টারের প্রগ্রাম ডিরেক্টর। তিনি বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় যুক্তরাষ্ট্র কখনোই সৎ ছিল না। এ ব্যাপারে তাঁর ভাষ্য, ‘ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আমরা কখনো সৎ হতে পারিনি।’ তার পরও আগে একটা সময় পর্যন্ত মধ্যস্থতা করার মতো অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ছিল। কিন্তু এখন আর সেটা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের প্রতি অতিমাত্রার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আগে কখনো কোনো প্রশাসনকে ইসরায়েলের প্রতি এত অস্বাভাবিক পক্ষপাতিত্ব করতে এবং পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের প্রতি এতটা শত্রুভাবাপন্ন হতে দেখিনি আমি।’

ইসরায়েলের প্রতি চরম পক্ষপাতিত্বের জেরে যুক্তরাষ্ট্র কী করতে যাচ্ছে, সে সম্পর্কে মিলারের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র সম্ভবত এমন একটা প্রস্তাব উত্থাপন করবে, যাতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে পাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করবে ফিলিস্তিন। আর ফিলিস্তিন যাতে এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, সে লক্ষ্যেই যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে, এমনটা মনে করেন গবেষক ডুন। তাঁর মতে, ফিলিস্তিন পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী হিসেবে পাওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে এ কারণকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র আরো বেশি করে ইসরায়েলের পক্ষে ঝুঁকবে এবং পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের জিম্মায় দিয়ে দেবে। আর এসব ঘটনা ঘটলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া বলে আর কিছু থাকবে না।

সূত্র : এএফপি।

বিস্তারিত

USA

‘আমরা আবার কবে বসব’

‘আমরা আবার কবে বসব’—এমনটা জানতে চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আরেকটি চিঠি পাঠিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। চিঠির জবাবে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, তারা দুই নেতার আরেকটি বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণে কাজ শুরু করে দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার চলমান পরমাণু কর্মসূচি আন্তর্জাতিক নীতিমালা লঙ্ঘন করছে—জাতিসংঘ এমন অভিযোগ তোলার এক দিন পরই ট্রাম্পকে এ ‘ইতিবাচক’ চিঠি পাঠালেন উন।

ট্রাম্পকে প্রথম চিঠিটি উন পাঠান গত মার্চে। তাতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান তিনি। ওই আমন্ত্রণের সূত্র ধরেই গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক বৈঠক হয় দুই নেতার মধ্যে। সেখানে দুই নেতা একটি ‘প্রতিশ্রুতিপত্রে’ সই করেন। তাতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা দেবে এবং এর বিনিময়ে পিয়ংইয়ং কাজ করবে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে।

দুই নেতার প্রথম বৈঠকের পর প্রায় তিন মাস পার হলেও শান্তি প্রক্রিয়ায় আর কোনো অগ্রগতি ঘটেনি। এ অবস্থায় নতুন বৈঠকের ব্যাপারে জানতে চেয়ে গত সোমবার ট্রাম্পকে আরেকটি চিঠি পাঠালেন উন।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স বলেন, ‘চিঠিটি খুবই উষ্ণ ও ইতিবাচক। চিঠিতে উন পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে উত্তর কোরিয়ার দৃঢ়প্রতিজ্ঞার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’ স্যান্ডার্স বলেন, উনের ‘চিঠির প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো ট্রাম্পের সঙ্গে আরেকটি বৈঠকের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা। আমরা এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি।’ উনের চিঠিকে শান্তি প্রক্রিয়ার বড় অগ্রগতি উল্লেখ করে হোয়াইট হাউসের এ নারী মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা মনে করি এই চিঠি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আনন্দিতও। কেননা দিন শেষে দুই নেতা আবার বৈঠকে বসলে তা হবে অনেক বড় অর্জন।’ তবে দ্বিতীয় বৈঠকটি কবে হতে পারে, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাননি।

যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার শান্তি আলোচনার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি উনের চিঠির প্রশংসা করেছেন। মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ এমন একটি ইস্যু, যেটা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার সমঝোতার মাধ্যমে হতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে ট্রাম্প এবং উনকে আরো সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে।’ উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে পিয়ংইয়ং (উত্তর কোরিয়ার রাজধানী) সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মুনের। সেখানে তিনি উনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

এদিকে উন ট্রাম্পকে চিঠি পাঠানোর এক দিন আগে জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ দপ্তরের প্রধান ইউকিয়া আমানো অভিযোগ করেন, উত্তর কোরিয়ার চলমান পরমাণু কর্মসূচি নিরাপত্তা পরিষদের নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

বিস্তারিত

imran

অর্থনীতি বাঁচাতে পাকিস্তানিদের পনির খাওয়া বন্ধ করছেন ইমরান!

ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বারবার পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করছেন যে পাকিস্তান ঋণের বোঝায় আক্রান্ত। আর সেই ঋণ থেকে মুক্তি পেতে নানা ধরনের উপায় খুঁজে বের করছেন তিনি। এবার উঠে এসেছে এক নতুন তথ্য। পাকিস্তানে নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে পনির।

রয়টার্সে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের ইকোনমিক অ্যাডভাইজরি কাউন্সিল এক আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, বিভিন্ন বিলাসবহুল জিনিসের আমদানি বন্ধ করা হবে পাকিস্তানে। আর এসব জিনিসের তালিকায় রয়েছে স্মার্টফোন ও পনির। আচমকা পনির নিষিদ্ধ হওয়ার কথায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে পাকিস্তানিদের মধ্যে।

পনির নিষিদ্ধ করে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াবে পাকিস্তানের অর্থনীতি, সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না অনেকে। ওমর কুরেশি নামে এক পাকিস্তানি রীতিমত হিসেব-নিকেশ কষে দেখিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তানের ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ৩৭.৭ বিলিয়ন ডলার। আর পাকিস্তানের মোট পনির আমদানি হয় ১৩ মিলিয়ন ডলারের, যা নাকি ঘাটতির তুলনায় মাত্র ০.০৩৪৪ শতাংশ। তাই পনির ব্যান করে পাকিস্তান কতটুকু লাভের মুখ দেখবে, কার্যত সেই প্রশ্নই তুলে ধরেছেন তিনি।

এদিকে, এক পাকিস্তানি অর্থনীতিবিদ আশফাক হাসান খান বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রচুর বিদেশি পনির আসছে। বাজার ভরে গিয়েছে বিদেশি পনিরে। যে দেশের কাছে ডলার নেই, সেই দেশের পক্ষে কি বিদেশি পনির খাওয়াটা মানায়?’

এই প্রসঙ্গে এক পাকিস্তানি ট্যুইট করে বলেছেন, ‘নতুন পাকিস্তান আসলে নির্মম। তাই পনির ব্যান করে দিচ্ছে।’

এর আগে ৫৫টাকায় হেলিকপ্টার চড়ার কথা বলে হাসির পাত্র হয়েছিলেন ইমরান খান। ক্ষমতায় এসেই মন্ত্রীদের সরকারি খরচে রাশ টেনেছেন ইমরান খান। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সরকারি টাকায় ইচ্ছেমতো নিজের ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যাবহার করতে পারবেন না কোনও নেতা, আধিকারিক থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী এমনকি প্রেসিডেন্ট। সরকারি টাকায় বিমানের প্রথম সারিতে ভ্রমণ করা যাবে না। মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এরপরই শিরোনামে উঠে আসে ইমরানের হেলিকপ্টার যাত্রার খবর। তিনি নাকি পাকিস্তানেই এক বাড়ি থেকে আর এক বাড়ি উড়ে যান হেলিকপ্টারে। সঙ্গে থাকেন তাঁর তৃতীয় স্ত্রী। স্বাভাবিকভাবেই সেই খবরে ইমরানের এই দুর্নীতি-বিরোধিতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যিনি সরকারি খরচ কমাতে চাইছেন, তিন কীভাবে হেলিকপ্টারে চেপে যাওয়ার বিলাসিতা দেখান। কিন্তু তারপরই সেই প্রশ্নের ব্যাখ্যা দেয় পাকিস্তানের সরকার।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি বলেন, চপার যাত্রা নাকি আসলে সস্তার। প্রতি কিলোমিটারে নাকি খরচ পড়ে মাত্র ৫৫টাকা। গুগলে হিসেব কষে দেখান তিনি। তবে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম যে হিসেব দিচ্ছে, তাতে খরচ পড়ে প্রায় ৭০০০ টাকার কাছাকাছি।

বিস্তারিত

বিদ্যুৎ কিনছে বাংলাদেশ

ভারত থেকে আসছে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ

ভারত থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৩০০ মেগাওয়াট কেনা হচ্ছে সরকারি খাত থেকে। বেসরকারি পর্যায়ে কেনা হবে ২০০ মেগাওয়াট।

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারি খাতের ৩০০ মেগাওয়াট সরবরাহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। বাকি ২০০ মেগাওয়াট শিগগিরই আমদানি করা হবে। 

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) সূত্রে জানা গেছে, সোমবার প্রথম প্রহর থেকেই ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর থেকে আন্তঃদেশীয় সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।

তবে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে এদিন বিকেল পৌনে ৫টায়। 

নতুন ৫০০ মেগাওয়াটের ৩০০ মেগাওয়াট সরবরাহ করবে ভারতের সরকারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এনটিপিসি)। এনটিপিসির সঙ্গে এরইমধ্যে পিডিবির চুক্তি সই হয়েছে।

বাকি ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসবে দেশটির বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ আমদানি-রফতানির জন্য নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান পাওয়ার ট্রেডিং করপোরেশনের (পিটিসি) মাধ্যমে। পিটিসির সঙ্গে এখনও চুক্তি সই হয়নি। তাই এই বিদ্যুৎ আসতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে। 

গত ১১ এপ্রিল সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ভারত থেকে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর আওতায় আগামী বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদে এবং ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০৩৩ সালের ৩১ মে পযন্ত দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। 

এনটিপিসি থেকে কেনা বিদ্যুতের মূল্য হবে স্বল্পমেয়াদে প্রতি ইউনিট চার টাকা ৭১ পয়সা এবং দীর্ঘমেয়াদে ছয় টাকা ৪৮ পয়সা। পিটিসির সরবরাহ করা বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি দর স্বল্পমেয়াদে চার টাকা ৮৬ পয়সা ও দীর্ঘমেয়াদে ছয় টাকা ৫৪ পয়সা ধার্য হয়েছে।

২০১৩ সালে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হয়।

বিস্তারিত

কেনিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটন

কেনিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটন

কেনিয়া আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় আফ্রিকাবাসীর দৃষ্টি কেড়েছে ওয়ালটন। মেলায় ওয়ালটন পণ্যের উচ্চ গুণগতমান, নিখুঁত ফিনিশিং, সাশ্রয়ী মূল্য, বৈচিত্র্যময় ডিজাইন দেখে ভীষন আগ্রহী আফ্রিকার ক্রেতারা। ওই অঞ্চলের ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ীরা ওয়ালটন পণ্য আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে বাজারজাত করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।

‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত ওয়ালটন পণ্য রপ্তানির উপর বিশেষ জোর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ওয়ালটনের টার্গেট এখন ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের শীর্ষবাজারসমূহ। এজন্য আন্তর্জাতিক বিপণন বিভাগ ঢেলে সাজানো হয়েছে। পণ্য গবেষণা, উন্নয়ন ও মান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে। উৎপাদন পর্যায়ে যুক্ত হয়েছে বিশ্বের লেটেস্ট প্রযুক্তি।

কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবো’তে কেনিয়াট্টা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে ৪ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ওই মেলা। যা মাল্টি-সেক্টর প্রোডাক্টস, ইক্যুইপমেন্টস ও মেশিনারিজের জন্য আফ্রিকার সর্ববৃহৎ মেলা হিসেবে পরিচিত। এবার রেকর্ড পরিমান ব্যবসায়ী উপস্থিত হয় ওই মেলায়। এবছর কেনিয়া, লাটভিয়া, জার্মানি, বেলজিয়াম, ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, সুইজারল্যান্ড, মিশর, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কাসহ ৩০টি দেশ থেকে দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে। ১২’শরও বেশি ধরণের পণ্য, ইক্যুইপমেন্ট ও মেশিনারি প্রদর্শিত হয়েছে।

মেলায় বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন প্রদর্শন করেছে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এলইডি টিভি, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, ব্লেন্ডার, জুসার, রাইসকুকার, ইন্ডাকশন কুকার, গ্যাসস্টোভ, ইলেকট্রিক ফ্যান (সিলিং, টেবিল, রিচার্জেবল, দেয়াল ও প্যাডেস্টাল) সহ হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সেস।

বিস্তারিত

নোভাক জকোভিচ

১৪তম গ্র্যান্ডস্লাম জিতলেন জকোভিচ

ইউএস ওপেন নিজের করে নিলেন নোভাক জকোভিচ। হুয়ান মার্টিন দেলপত্রোকে হারিয়ে টেনিস বিশ্বের জোকার জিতে নিলেন নিজের ১৪তম গ্র্যান্ডস্লাম। চোট সারিয়ে উইম্বলডন জেতার পর এবার ইউএস ওপেনের রাজা হলেন সার্বিয়ান তারকা। 

 

তিন বছর পর জকোভিচের ইউএস ওপেন জয়ের মাঝে বড় বাধা ছিল দেলপত্রো। ২০০৯ সালের পর রোববার কোনও গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনালে খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনার এই তারকা। 

 

৯ বছর পর বড় কোনো আসরের শিরোপার লড়াইয়ে নেমে ৬-৩, ৭-৬ (৭-৪), ৬-৩ সেটে হারতে হয় দেলপত্রোকে। অন্যদিকে নিজের তৃতীয় ইউএস ওপেন খেতাব জিতে নেন জকোভিচ।

 

এর আগে সেমিফাইনালে জাপানের কেই নিশিকোরিকে হারিয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী জোকার। 

 

সেমিফাইনালে নিশিকোরিকে দাঁড়াতেই দেননি জকোভিচ। সহজেই স্ট্রেট সেটে ৬-৩, ৬-৪, ৬-২ এ জিতে নেন ম্যাচটি। 

 

এদিকে প্রথম জাপানি হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নিয়েছেন নাওমি ওসাকা। টেনিসের রানী খ্যাত সেরেনা উইলিয়ামসকে হারিয়ে ইউএস ওপেনের নারীদের শিরোপা ঘরে তুলেছেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণী।

বিস্তারিত

আরিফ আলভির শপথ

পাকিস্তানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন আরিফ আলভি

মামনুন হুসাইনের পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার একদিন পর ড. আরিফ আলভি পাকিস্তানের ১৩তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ডন।

রোববার দুপুর একটায় ইসলামাবাদে দেশটির রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন এবং প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তাকে শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি মিয়ান সাকিব নিসার।

কালো শেরওয়ানি পরা আলভি প্রধান বিচারপতি নিসারের সঙ্গে অনুষ্ঠানের হলে উপস্থিত হন। শপথ পড়ার মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মামনুন হুসাইন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেডারেল মন্ত্রিসভার সদস্যরা, তিন বাহিনীর প্রধানরা, সংসদ সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা, কূটনীতিকরা, বিখ্যাত ব্যক্তিরা, বিদেশি কর্মকর্তারা এবং শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক নেতারাসহ অনেকে।

শপথ নেয়ার পর সন্ধ্যায় আলভিকে গার্ড অব অনার দেয় পাকিস্তানি সেনাবাহিনী।

দিন শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিবালয় ইস্যু করা এক গেজেট বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী প্রজাতন্ত্রী পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন আলভি।

পাকিস্তানের ১৯৭৩ সালের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের নির্বাচিত সদস্য রাষ্ট্রের প্রধান পদে অধিষ্ঠিত হতে পারে না। তাই প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর থেকে আলভীর সংসদ সদস্য পদ বাতিল বলে হয়ে গেছে।

আলভি দেশটির ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের একজন সিনিয়র নেতা। তিনি গত ২৫ জুলাই অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে করাচির এনএ-২৪৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

বিস্তারিত

ভারতের সঙ্গে নেপাল

ভারতের সঙ্গে যৌথ সেনা মহড়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল নেপাল, নেপথ্যে চিন?

চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের সেতু গড়ে ফেলার পর কি ভারতকে কিছুটা এড়িয়ে চলতে চাইছে নেপাল?

তেমনই ইঙ্গিত মিলল, ভারত-সহ ‘বিমস্টেক’ জোটের দেশগুলির সঙ্গে যৌথ সেনা মহড়ায় নামতে নেপাল অস্বীকার করায়। আগামী সপ্তাহে ১০ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর, পুণেতে ওই সেনা মহড়ার আয়োজন করছে ভারত। সেটাই হবে ‘বিমস্টেক’ দেশগুলির প্রথম যৌথ সেনা মহড়া। সেই মহড়ায় যোগ দেওয়ার ব্যাপারে ভারতের প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করল নেপাল।

নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি ওলির মিডিয়া উপদেষ্টা কুন্দন আরিয়াল ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘এটা নেপাল সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।’’

‘বিমস্টেক’ বলতে বোঝায়, ‘দ্য বে অফ বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন’। এতে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাতটি দেশ রয়েছে। তাদের নাম- বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, তাইল্যান্ড ও ভূটান।

দিল্লিতে ‘বিমস্টেক’ দেশগুলির সেনাকর্তাদের বৈঠকের পর ওই সেনা মহড়ায় অংশ নেওয়ার জন্য গত জুনে ভারতের তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল নেপালকে। কিন্তু তাতে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলে নেপালের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ওই সেনা মহড়ায় নেপালের তরফে তিন জনকে পর্যবেক্ষক হিসেবে পাঠানো হচ্ছে।

কূটনীতিকদের একাংশের প্রশ্ন, এর পিছনে কি হাত রয়েছে চিনের?

ওই যৌথ সেনা মহড়ার পর একটি সম্মেলন হওয়ার কথা ভারতীয় সেনাপ্রধানের উদ্যোগে। তাতেও নেপালের সেনাপ্রধানের যোগদানের সম্ভাবনা খুবই কম বলে কূটনীতিকরা জানাচ্ছেন। কারণ, সোমবারই নেপালের নতুন সেনাপ্রধান দায়িত্ব নিচ্ছেন। তার পর তিনি হাতে যে সময় পাবেন, তাতে তাঁর পক্ষে ভারতীয় সেনাপ্রধানের আয়োজন করা সম্মেলনে যোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলে কূটনীতিকদের অনুমান।

বিস্তারিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরা নিশ্চিত করতে আইডিবিকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন- বর্তমানে বাংলাদেশ একটি মানবিক সংকট মোকাবেলা করছে। রোহিঙ্গাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। এতে আমাদের স্থানীয় লোকদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মানবিক দিক বিবেচনা করে আমরা তাদের আশ্রয় ও খাদ্য দিয়ে যাচ্ছি। এখন তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে চাই। মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

রোববার সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক(আইডিবি) আঞ্চলিক প্রধান কার্যালয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

তিনি বলেন-আমাদের প্রিয় নবী হযরত মোহাম্মদ (স.) নিপীড়িত মানবতার পাশে দাঁড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যখন জাতিগত নির্মূলের মুখোমুখি তখন আইডিবি নিশ্চুপ থাকতে পারে না। কাজেই জোরপূর্বক বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করার জন্য আইডিবিকে সুদৃঢ়ভাবে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন- সরকারের দক্ষ নেতৃত্ব আর জনগণের বলিষ্ঠ কর্মতৎপরতায় বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে আজ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ফলে জিডিপি, দরিদ্রতা দূরীকরণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের কাছে রোল মডেল।

হাসিনা বলেন- ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে আমরা সক্ষম হবো বলে বিশ্বাস করি এবং ইনশাল্লাহ আমরা তা করব।

তিনি আরও বলেন- আমরা নারী উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালা করেছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নেপাল, ভুটান ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের নারীরা এগিয়ে। নারী পোশাক শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন- আমরা শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিতে কাজ করছি, ২০০ প্রকার সরকারি সেবা জনগণের হাতে পৌঁছে দিয়েছি। ১৫ কোটি তিন লাখ মোবাইল সিম এখন মানুষ ব্যবহার করে। প্রযুক্তিতে আমরা অনেক এগিয়েছি। মহাশূন্যে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সমর্থন ও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবেন। সকলে মিলে আমরা নতুন প্রজন্মের জন্য উজ্জ্বল ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবো।

প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক(আইডিবি) আঞ্চলিক প্রধান কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইডিবি ভবনে এখন ‘ফিল্ড অফিসের’ মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করছে আইডিবি। তবে আইডিবির সব সিদ্ধান্তই আসে সদর দপ্তর থেকে। তাই ঢাকায় আঞ্চলিক সদর দপ্তর চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি।

আঞ্চলিক সদর দপ্তরের উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকায় এসেছেন আইডিবি প্রেসিডেন্ট ড. বন্দর এম এইচ হাজ্জর। সফরকালে মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে আইডিবি প্রেসিডেন্টের যাওয়ার কথা রয়েছে।

বিস্তারিত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত

অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্র কিনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের চুক্তি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত সামরিক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে একটি চুক্তিতে সই করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর ফলে মার্কিন সেনাবাহিনীর স্পর্শকাতর অস্ত্রশস্ত্র কিনতে দিল্লির জন্য দরজা খুলে গেল। খবর আল-জাজিরার।

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বৃহস্পতিবার মার্কিন ও ভারতের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যকার এক বৈঠকের পর ওই চুক্তি সই হয়। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের মধ্যে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের কর্মকর্তারা জানান, যে অগ্রগতি হয়েছে তাতে উভয় পক্ষই সন্তুষ্ট।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেও ‘কমিউনিকেশনস কম্প্যাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি চুক্তি’কে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের একটি ‘মাইলস্টোন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সীতারমন বলেছেন, এই চুক্তির ফলে ভারতের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও প্রস্তুতি বৃদ্ধি পাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই চুক্তির ফলে সশস্ত্র পর্যবেক্ষণ ড্রোন সি গার্ডিয়ানের মতো যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্র কিনতে পারবে ভারত।

অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র বিশ্লেষক মনোজ জোশি বলেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি এবং জলসীমায় ভারতের জন্য সুবিধাজনক হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নয় এমন অস্ত্রশস্ত্র যেমন যুদ্ধবিমান, জাহাজ ও রাশিয়ান এস-৪০০ মিসাইল ব্যবস্থা যেগুলো ভারতীয় সেনাবাহিনীর ব্যবহার সেক্ষেত্রে একটা জটিলতা দেখা দিতে পারে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যতীত অন্য ব্যবস্থার তথ্য শেয়ার করার ব্যাপারে কী ধরনের প্রোটোকল ব্যবহার করা হবে সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।

বিস্তারিত

Next
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • 22
  • 23
  • 24
  • 25
  • 26
  • 27
  • 28
  • 29
  • 30
  • 31
  • 32
  • 33
  • 34
  • 35
  • 36
  • 37
  • 38
  • 39
  • 40
  • 41
  • 42
  • 43
  • 44
  • 45
  • 46
  • 47
  • 48
  • 49
  • 50
  • 51
  • 52
  • 53
  • 54
  • 55
  • 56
  • 57
  • 58
  • 59
  • 60
  • 61
  • 62
  • 63
  • 64
  • 65
  • 66
  • 67
  • 68
  • 69
  • 70
  • 71
  • 72
  • 73
  • 74
  • 75
  • 76
  • 77
  • 78
  • 79
  • 80
  • 81
  • 82
  • 83
  • 84
  • 85
  • 86
  • 87
  • 88
  • 89
  • 90
  • 91
  • 92
  • 93
  • 94
  • 95
  • 96
  • 97
  • 98
  • 99
  • 100
  • 101
  • 102
  • 103
  • 104
  • 105
  • 106
  • 107
  • 108
  • 109
  • 110
  • 111
  • 112
  • 113
  • 114
  • 115
  • 116
  • 117
  • 118
  • 119
  • 120
  • 121
  • 122
  • 123
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

৪৫ নং ওয়ার্ডে আলালের টিফিন ক্যারিয়ার মার্কার গণজোয়ার!

একুশের প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানালো ইউওবি

উত্তরা সেন্ট্রাল চেস ক্লাবের দুলাল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন 

মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সন্ধানী স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বি সি আই কলেজ বন্ধু সভার ফ্রি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র

উত্তরের ঢাকাকে ‘ডিজিটাল’ ঘোষণা করে আতিকের ইশতেহার

৫১ নং ওয়ার্ডে তরুণ প্রার্থী জুয়েলের প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া

টিফিন ক্যারিয়ারে প্রার্থী আবুল হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ

চন্ডালভোগে কাউন্সিলর প্রার্থী নাসির উদ্দিনের পথসভা

উদযাপিত হলো শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ডে ২০১৯

৫১ নং ওয়ার্ডের বিভিন্নস্থানে ঠেলাগাড়ি প্রার্থীর পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে

আাগামী মাসের ১৫, ১৬ ও ১৭ তারিখ তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা

নেত্রকোণায় চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ভিত্তিহীন

বিশ্ব ইজতেমার ম্যাপ ও জেলা দায়িত্বশীলদের তালিকা প্রকাশ

এগিয়ে চলছে উত্তরা লেকের কার্যক্রম, দক্ষিণের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন

নদী দখলকারীরা নির্বাচন করার ও ঋণ পাওয়ার অযোগ্য: হাইকোর্ট

টঙ্গীতে গাছ কেটে সরকারী জায়গা দখলের অভিযাগ

উত্তরায় শুরু হয়েছে আমিন মোহাম্মদের আবাসন মেলা ২০১৯

সাতক্ষীরা উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ

ঢাকাকে কাঁদিয়ে বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

  • প্রচ্ছদ
  • আমাদের পরিবার
  • বিজ্ঞাপন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত উত্তরা নিউজ
২০১৩-২০১৬

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ তারেকউজ্জামান খান
বাড়িঃ ১২৫(৩য় তলা), রানাভোলা এভিনিউ রোড, সেক্টরঃ ১০,
উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০
মোবাঃ ০১৭১২২৬৩৮৯৬
ই-মেইলঃ info@uttaranews24.com, uttaranewsbd24@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি