English
  • Twitter
  • Facebook
  • RSS
  • Google+
  • Vimeo
  • Tumblr
  • Pinterest

logo
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • লাইফস্টাইল
  • আইন ও আদালত
  • শিক্ষাঙ্গন
  • ধর্ম ও জীবন
  • অন্যান্য
    • প্রবাস
    • উত্তরার খবর
    • রাজধানী
    • সারাবাংলা
    • বিচিত্র খবর
    • ফিচার-সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য
    • সাক্ষাৎকার
    • সম্পাদকীয়
    • ছবিঘর
    • ভিডিও
  • উত্তরা
প্রচ্ছদ
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • অর্থ ও বাণিজ্য
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • লাইফস্টাইল
  • আইন ও আদালত
  • শিক্ষাঙ্গন
  • ধর্ম ও জীবন
  • অন্যান্য
    • প্রবাস
    • উত্তরার খবর
    • রাজধানী
    • সারাবাংলা
    • বিচিত্র খবর
    • ফিচার-সাহিত্য
    • স্বাস্থ্য
    • সাক্ষাৎকার
    • সম্পাদকীয়
    • ছবিঘর
    • ভিডিও
  • উত্তরা

ব্রেকিং নিউজ

uttaranews24 এগিয়ে চলছে উত্তরা লেকের কার্যক্রম, দক্ষিণের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন    uttaranews24 সোনারগাঁও-শাহ মখদুম সড়কে অধিকাংশ সময় যানজট    uttaranews24 নদী দখলকারীরা নির্বাচন করার ও ঋণ পাওয়ার অযোগ্য: হাইকোর্ট    uttaranews24 উত্তরা ১২ নং সেক্টরে প্রধান সড়কে রাস্তার উপর নির্মাণ সামগ্রী!    uttaranews24 তুরাগ থানা আ.লীগ এর পক্ষ থেকে সাহারা খাতুন (এমপি)কে ফুলেল শুভেচ্ছা    uttaranews24 ফেসবুকে জানান দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের আত্মহত্যা    uttaranews24 নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ব্যাখা দিলেন সজিব ওয়াজেদ জয়   
  • প্রচ্ছদ
  • সাহিত্য-ফিচার
8parson

যে আটজন পৃথিবীর অর্ধেক সম্পদের মালিক !

বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী আট জনের কাছে যে সম্পদ আছে, তা গোটা পৃথিবীর অর্ধেক জনসংখ্যার কাছে থাকা সম্পত্তির সমান। এই আট ব্যক্তি হলেন- মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, ফ্যাশন হাউজ ইনডিটেক্সের প্রতিষ্ঠাতা আমানসিও ওর্টেগা, ওয়ারেন বাফেট, বিজনেস ম্যাগনেট কার্লোস স্লিম হেলু, অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, ওরাকলসের ল্যারি এলিসন এবং নিউ ইয়র্কের প্রাক্তন মেয়র ব্লুমবার্গ।

 অক্সফ্যাম ইন্টারন্যাশনাল সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এ তথ্য প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী উইনি বিয়ানিমা বলেন, যেখানে বিশ্বের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জনের সারাদিন কাটে মাত্র ২ ডলারে, সেখানে গুটিকয় কয়েকজনের হাতে এত সম্পদ থাকা অশোভন। এই পার্থক্যই কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাষ্ট্রনায়করা এখনও কোনও ব্যবস্থা না নিলে অদূর ভবিষ্যতে সামাজিক ক্ষোভের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছে অক্সফাম।

বিস্তারিত

mreghhhh

মেঘ-পাহাড়ের রাজ্য সাজেক ভ্যালী

মেঘ-পাহাড়ের রাজ্যের নাম সাজেক ভ্যালী। অনেকে সাজেক ভ্যালীকে বাংলাদেশের ভূস্বর্গ বলে থাকেন। আকাশের নীল যেন এখানে এসে দিগন্ত ছুঁয়েছে। চারপাশে যতদূর দৃষ্টি যায়, ছোট-বড় সবুজ পাহাড়। উপর থেকে দৃষ্টি মেললে যেন সবুজ সমুদ্রের ঢেউ। একটি থেকে আরেকটি পাহাড়ের মাঝে যেন আটকে আছে সাদা মেঘের ভেলা। সাজেকের চারপাশটা যেন এক সজীব ছবি।
 
 
দেশের বৃহত্তম ইউনিয়ন সাজেক। পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় এ ইউনিয়ন। তবে সাজেকে যেতে হয় খাগড়াছড়ি সদর থেকে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা এবং বিকেল ৩টায় বাঘাইহাট আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করার পর সকল গাড়ি একযোগে সাজেকের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। সবুজ পাহাড়ের বুক চিরে বয়ে গেছে আঁকা-বাঁকা পিচঢালা সড়ক। যাওয়ার পথে কখনো গাড়িগুলো আকাশের দিকে, কখনো পাহাড়ের গহীনের দিকে চলতে থাকে। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে পাহাড়ি শিশুরা হাত নেড়ে অতিথিদের অভিবাদন জানায়।
 
 
খাগড়াছড়ি থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথের শেষে সাজেক। সমুদ্রপিষ্ট থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় পাকা সড়কের দুপাশে পায়ে হেটে চলার জন্য রয়েছে পরিচ্ছন্ন ফুটপাত। পাহাড়িদের এবং পর্যটকদের জন্য রয়েছে রঙ্গিন সব কটেজ। পাহাড়ের উপত্যকায় সাজানো-গোছানো শহরের নাম সাজেক। যা পর্যটকদের দৃষ্টি কাড়ে। সাজেকে রুইলুই ও কংলাক নামে দুটি পাড়া রয়েছে। পর্যটকরা অবস্থান করেন রুইলুই পাড়ায়। সেনাবাহিনী পরিচালিত সাজেক ও রুনময় নামে দুটি রিসোর্ট রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে বেশ কিছু রিসোর্ট রয়েছে পাহাড়ের ঢালে। এসব রিসোর্টের বারান্দায় বসেই মেঘ-পাহাড়ের মিতালী দেখার সুযোগ মেলে।
 
 
কংলাক পাড়ায় গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এজন্য পায়ে হেটে পাহাড় বয়ে উঠতে হয়। সাজেকে এটাই সবচেয়ে উঁচুস্থান। কংলাক পাড়া থেকে এক নজরে সাজেক দেখার সুযোগ মেলে। তবে সাজেকে হ্যালিপ্যাডে পর্যটকরা গোধূলী বরণ করেন। এখানে বসেই দল বেধে গান ধরেন পর্যটকরা। সন্ধ্যা নামার পরে অনেকে ফানুস উঁড়িয়ে দেন। তবে অন্ধকারটা ঘনিভূত হবার সাথে সাথেই সবাই ফিরে আসেন রুইলুই পাড়ায়। এখানে সড়কের পাশে পাহাড়িরা কমলা, আনারস, কলা, পেঁপেসহ বিভিন্ন ফল বিক্রি করেন। পাহাড়ের এসব ফল খুব সুস্বাদু। বাসস।

বিস্তারিত

valobasaaaa

কবিতা: অনন্তকালের ভালবাসা

ভালবাসা যে, দুরন্তর মহাসাগরের মত,
যেখানে বালি সমুদ্রে গিয়ে মিশে,
ভালবাসার তরঙ্গে ঘূর্ণায়মান হয়ে।
জোয়ারের মত হয়ে তীরে আসে,
চাওয়ার আর প্রয়োজনে দেয় যে আলিঙ্গন।

ভালবাসা যে, ঐ আকাশের উজ্জল চাঁদের মত,
উষ্ণতার সমুদ্র জুড়ে ঝিলিমিলি স্রোত,
গভীর, প্রশস্ত, শক্তিশালী আর কি শান্ত।
সর্বদাই যেন বয়ে বয়ে আসে আর যায়,
কখনো কখনো পথপ্রদর্শকের মত,
আশ্রয়ের অবগাহন করিয়ে দেয়।

ভালবাসা যে, সমুদ্রের সতেজ মৃদুমন্দ বাতাস,
আলতো করে মুখ জুড়ে ছোঁয়া দিয়ে যায়,
পরম সুখ আর ভালোলাগার সুদূরপ্রসারী।
নোনা বাতাসের মিষ্টি সুবাস দিয়ে,
যেন মনের সমস্ত কষ্টগুলো মুছিয়ে,
কষ্টের মাঝে ডুবন্ত জীবনকে বাঁচিয়ে তুলে।

ভালবাসায় যে, উপলব্ধি থাকে পৃথিবীর সর্বত্র,
সৌন্দর্য্যে, বায়ুতে কিংবা রহস্যে ভরা,
দীর্ঘশ্বাসটাকে দুরে সরিয়ে দিয়ে,
বাতাসের হাত দিয়ে করে আলিঙ্গন।
বন্ধ চোখেও যেন যাদুমন্ত্র স্মৃতি নৃত্য,
গভীরতম স্মৃতিরাও তখন পালাতে পারেনা।

ভালোবাসাকে যদি, কখনো আত্মারাও বিদায় বলে,
এবং আকাশ যেখানে সমদ্রে গিয়ে মিশে,
সেখানেও যেন ভালবাসার হয় পরিচয়।
পৃথিবীতে ভালবাসা থাকবে চিরকালই,
সমুদ্রে যেখানে স্মৃতি স্পর্শ মিলে।
ভালবাসা থাকবে জীবন্ত হয়েই,
ফিরে ফিরে আসবে, অনন্তকালের প্রবাহে।

বিস্তারিত

afgan

নজির গড়েছেন আফগান নারী অর্কেস্ট্রা

অর্কেস্ট্রায় যোগদান করলে মরতে হবে। ঘর ছাড়তে হবে এমন হুমকি তাদের টলাতে পারেনি। বাধা কাটিয়ে দুনিয়ার সামনে নজির গড়েছে আফগান নারী অর্কেস্ট্রা।

শুক্রবার ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে প্রায় তিন হাজার সিইও'র সামনে তাদের অর্কেস্ট্রা প্রদর্শন ঘিরে কৌতুহল ছড়িয়েছে।

আফগান রক্ষণশীল সমাজে তাদের ঘর থেকে বেরোনোও নিষিদ্ধ। ঘরের বাইরে পা ফেলতে গেলে পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে নিতে হয়। মেয়েদের স্কুলে যাওয়াতেও অনেক বাধা নিষেধ। আর সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া বিশাল বড় অন্যায়। কিন্তু সব কিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিলেন আফগানিস্তানের মেয়েরা। একজোটে গড়লেন অর্কেস্ট্রা। দলের নাম হল ‘জহ্‌রা’।

উদ্যোক্তার নাম নেজিনা। ইউরোপে অনুষ্ঠান করে ফেরার সময়ই ২০ বছরে পা দেবেন নেজিনা। গুলি বা বোমার শব্দ দিয়ে দিন প্রায়ই শুরু হয় আফগান নারীদের।

কাবুলেই ‘জহ্‌রা’ অর্কেস্ট্রা দলটি মহড়া দেয়। বহু হুমকি ও বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। নেজিনার আগে অর্কেস্ট্রা জগতে এর আগে কোনও আফগান নারী এগিয়ে আসেননি। ধর্মীয় শাসনের ঘেরাটোপে থাকে আফগানিস্তান। একসময় ছিল তালিবান শাসনে।   তখন কেউ ভাবতেই পারতেন না যে নারীরা একদিন অর্কেস্ট্রায় অংশ নেবেন। তালিবান জমানা শেষ হয়েছে। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন আফগান নারীরা।

 

বিস্তারিত

kishorrrr

বাংলাদেশে কিশোর অপরাধের পরিসংখ্যান , কিশোর-কিশোরীদেরকে রক্ষা করতে হবে !

অধুনা বাংলাদেশসহ পৃথিবীর দেশে দেশে একটি সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এটি হলো
কিশোর অপরাধ। কিশোরদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ চুরি, হত্যা, আত্মহত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাই, পকেটমার, মাদকসেবন, ইভটিজিং (Eve-teasing) ইত্যাদিসহ এমন সব ভয়াবহ কাজ করছে, এমন সব অঘটন ঘটিয়ে চলছে এবং এমন সব লোমহর্ষক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হচ্ছে যা কি না অকল্পনীয়। বিষয়টি সমাজবিজ্ঞানী, অপরাধবিজ্ঞানী, আইনবিদ, রাজনীতিবিদ ও সুশীলসমাজকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে। একবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে সভ্যতার এ চরম উৎকর্ষের যুগে আমাদের আগামী দিনের আশা ভরসার স্থল কিশোরসমাজের এ ব্যাপক বিপর্যয় সত্যিই বড় দুঃখ ও দুর্ভাগ্যজনক। এ সর্বনাশা ছোবল থেকে আমাদের কিশোর-কিশোরীদেরকে রক্ষা করতে হবে।

কিশোর অপরাধচিত্র
১৯৯৪ সালে ইলিশিয়াম ভবনে স্কুল বন্ধুদের দ্বারা দশম  শ্রেণীর ছাত্র ঈশা (১৫)  হত্যাকাণ্ড ঘটে। গ্রেফতার হয় ঈশার বন্ধু প্রিন্সসহ ৫ কিশোর। খুন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কিশোরটি বন্ধু-বান্ধব নিয়ে নীল ছবি দেখছিল। ঘটনায় দেশবাসী স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। অথচ এ ঈশাই মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তার মাকে বারবার আর্তনাদ করে বলছিল মা তুমি চাকরি ছেড়ে দাও, আমি একা বাসায় থাকতে পারছি না।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সম্প্র্রিতিক ও নিকট অতীতের আরও কিছু অবাক করা ঘটনা
ক. ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের তাসনুভা নামে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বার্ষিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় সে আত্মহত্যা করে বলে কলেজ কর্র্তৃপক্ষের ধারণা। তার বাড়ি কুষ্টিয়াদের। তাসনুভার বাবা মো: একরাম একজন এনজিও কর্মকর্তা। গতকাল তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
(দৈনিক আমাদের সময়, ৩০.১১.২০০৮)
১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সন পর্যন্ত এই ৫ বছরে পুলিশের ডায়েরি মতে, শুধু ঝিনাইদহ জেলায় ৬১ জন শিশু, ১৯১ জন কিশোর ও ৪৩৬ জন কিশোরী অত্মহত্যা করে। দৈনিক ইতেফাক, ২২. ৩. ১৯৯৫ ।
খ. কোতোয়ালী থানা পুলিশ গত ১৫ই জুলাই পাট গুদাম হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নাজমুল হাসান বাবু (১২) হত্যা রহস্য উদঘাটন এবং হত্যার সহিত জড়িত একই মাদ্রাসার ছাত্র হামিদুল ইসলাম (১৪) ও আবদুর রহমান মুন্না নামের অপর এক কিশোরকে গ্রেফতার করিয়াছে। পুলিশ নিহত বাবুর অপহৃত সাইকেল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করিয়াছে। উল্লেখ, গত ১২ই জুলাই রাত্রে শহরের কেওয়াটখালী নিবাসী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসর এমরান হোসেনের পুত্র নাজমুল হাসান বাবুকে জবাই করিয়া হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ধৃত কিশোরদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, নিহত বাবু গত ৫ জুলাই পাট গুদাম হাফিজিয়া মাদ্রাসা হইতে হেফজ সম্পূর্ণ করায় তাহার পিতা তাহাকে একটি সাইকেল কিনিয়া দেয়। বাবু সাইকেল লইয়া রাস্তায় বাহির হইলে তাহার সহপাঠী কোতয়ালী থানার চর নিকলিয়ার হামিদুল ইসলাম চালানোর জন্য বাবুর নিকট সাইকেলটি চায়। বাবু সাইকেল না দেয়ায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাবু হামিদুলকে চপেটাঘাত করে। হামিদুল তাহার বন্ধু কোতয়ালী থানার মড়াখোলার আবদুল জলিলের পুত্র আবদুর রহমানকে ওরফে মুন্নাকে ঘটনা অবহিত করে এবং বাবুকে মারিয়া ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ১২ ই জুলাই রাত্রি সাড়ে আটটায় তাহার এক বাড়িতে কুরআন খতমের দাওয়াতের কথা বলিয়া একই সাইকেলে তিনজন রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে পাওয়ার হাউজের দৌয়ালের পার্শ্বে হামিদুল অতর্কিত বাবুকে জাপটাইয়া ধরিয়া মাটিতে ফেলিয়া দিয়া দুইজন মিলিয়া দা দিয়া তাহাকে জবাই করিয়া ফেলিয়া রাখে। ঘটনার পর হমিদুল ও মুন্না সাইকেলযোগে চলিয়া যায়। (দৈনিক ইত্তেফাক, ২৮.০৭.১৯৯৬)
গ. পকেটমার আরিফ হোসেন (১৬) বয়সে কিশোর হলে কাজে সে ভয়ঙ্কর। চার বছরে শতাধিক মোবাইল ফোন সেট চুরির অভিজ্ঞতা আছে তার। সুযোগ পেলে আস্ত্রের মুখে পণবন্দী করেও পথচারীদের ফোন ও টাকা লুটে নেয়। এসব অপরাধে এ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে চারবার। তবে কিশোর হওয়ার সুবাদেই বারবার ছাড়া পেয়ে যায়। আরিফ ও তার সহযোগী কিশোর অপরাধী রাজ্জাক মূলত বাস বা জনবহুল স্থানে পকেট মারে। প্রতিপক্ষ তাদের থেকে দুর্বল হলে তখন পকেটমার থেকে তারা ছিনতাইকারীতে পরিণত হয় তাদের টার্গেট মূলত জনসাধারণের পকেটে থাকা মোবাইল সেট ও মানিব্যাগ। পকেটমার হিসেবে দুজনই খুব দক্ষ। পকেট কেটে এ পর্যন্ত এক থেকে দেড়শটি মোবাইল ছিনতাই করেছে। ছিনতাইকৃত মোবাইল বিক্রি করে গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটের মফিজ ভাই, নজু ভাইসহ অনেকের কাছে। তবে বয়সে ছোট হওয়ার কারণে ন্যায্যমূল্য পায় না তারা। সে জানায়, নোকিয়া এন সিরিজের একটি মোবাইল আনতে পারলে তাদের মাত্র ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দেয়া হয়। বেশি টাকা চাইলে বড় ভাইয়েরা পুলিশে দেয়ার ভয় দেখায়। এ পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে আরিফ চারবার পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। তবে বয়স কম থাকায় প্রতিবারই সে বেরিয়ে এসেছে। সে জানায়, আগে ছাড়া পেলেও এবার মনে হয় পাব না।
আরিফের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে। অভাবের তাড়নার লেখাপড়া বাদ দিয়ে ছয় বছর আগে এক প্রতিবেশীর সাথে ঢাকায় আসে। এখানে এসে পুরান ঢাকার একটি ওয়ার্কশপে ওয়েলিংয়ের কাজ শেখে। সেখানে জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয় তার। এ জাহাঙ্গীর যে ছিনতাই ও পকেটমার শেখানোর ওস্তাদ তা সে জানত না। এক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জাহাঙ্গীর তাকে পকেটমার শেখায়। এরপর থেকে চলতে থাকে ছিনতাই ও পকেটমার। আরিফ ও রাজ্জাক মূলত একসাথে পকেট কাটার কাজ করে থাকে। এ কাজের জন্য তাদের কিছু সাঙ্কেতিক শব্দ রয়েছে। বুকপকেটকে বলে বুককান, পাঞ্জাবী বা প্যান্টের ঝুল পকেটকে নিচকান ও প্যান্টের পেছনের পকেটকে বলে থাকে পিচকান। বাস বা জনবহুল স্থানে পকেট কাটার জন্য তারা এক ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট করে। এরপর ওই ব্যক্তির পিছু নেয়। সাধারণত রাজ্জাক ওই ব্যক্তির গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে নিজের শরীর চুলকাতে থাকে। রাজ্জাকের হাত নাড়াচাড়ার এক ফাঁকে আরিফ ওই ব্যক্তির পকেটে হাত ঢুকিয়ে নিয়ে যায় তার মূল্যবান জিনিসপত্র। হাত দিয়ে সহজভাবে কাজ সম্পন্ন না হলে সে ক্ষেত্রে ব্লেড ব্যবহার করা হয়। আর পকেট কাটার জন্য সব সময় জিলেট কোম্পানীর উন্নতমানের দামি ব্লেড ব্যবাহার করে থাকে বলে সে জনায়। দৈনিক নয়া দিগন্ত, ৫-৪-২০০৮।
ঘ. দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া এক স্কুলছাত্রী শিমুকে ধর্ষণ করেছে দুর্র্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বিদ্যানগর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রতিবেশী লুৎফর রহমানের পুত্র হুমায়ুন (১৮) ও হযরত আলীর পুত্র শাকিল (১৫) দুজন মিলে ৮ বছর বয়সী দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী শিশুটিকে ধরে জোরপূর্বক একটি টমেটো ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে হুমায়ুন ও শাকিল পালাক্রমে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির কান্না ও আর্তচিৎকার শুনে অশপাশের লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং উপজিলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে শিশুটির শারীরিক আবস্থায় আরো অবনতি হলে তাকে কিশোরগঞ্জের সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পরপর দুষ্কৃতিকারী হুমায়ুন ও শাকিল পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দৈনিক অপরাধকণ্ঠ, ০৫-০১-২০০৯।
বর্ণিত ঘটনাগুলো থেকে আমাদের দেশে কিশোর অপরাধের মাত্রা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায।

কিশোর অপরাধ কী
মানবিক জীবনে কৈশোর কালটি নানা প্রতিকূল প্রতিবন্ধকতার মাঝ দিয়ে পার হয়। স্কুল পেরুনো বয়সটাই হেলো উডু উডু চঞ্চল। বাধা না মানার বয়স। এ বয়সে বন্ধু খুঁজতে থাকে সে। পেয়েও যায়। বন্ধুকে ঘিরে যা সত্য না তাও ভাবতে থাকে। কখনও সে মধুর স্বপ্নে আনন্দে বিভোর থাকে। আবার কখনও বিভিন্ন জটিল সমস্যার কারণে ভিষণœতায় ভোগে। এ ক্রান্তিলগ্নে তার মাঝে এসে ভর করে অস্থিরতা, রোমান্টিসিজম, অ্যাডভারটারিজম ও হিরোইজম। এ সব চিন্তার মাঝে যেমন আছে ভালো লাগা তেমনই আছে নীরব পতনের পদধ্বনি।
সংক্ষেপে যে সমস্ত কাজ প্রাপ্ত বয়স্কদের দ্বারা সংঘটিত হলে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় সে ধরনের প্রচলিত আইন ভঙ্গকারী কাজ অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা কিশোরদের দ্বারা সংঘটিত হলে সেটিকে কিশোর অপরাধ বলা হয়। অন্য কথায়, অসদাচরণ অথবা অপরাধের কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা বিচারালয়ে আনীত কিশোরকে কিশোর অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে বলা হয় যে, আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত কিশোররাই হচ্ছে কিশোর অপরাধী। কিন্তু আদালতের অপরাধ নিরূপণ পদ্ধতি ও রায় দেশ ও সমাজ ভেদে বিভিন্ন ধরনের হয়। তাই বলা যেতে পারে যে, কোনো কিশোর অপরাধী কি না তা নির্ভর করে তার মাতাপিতা, প্রতিবেশী সমাজ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সর্বোপরি আদালতের বিচারকের মনোভাবের ওপর।
অপরাধ ও অপরাধীদের বিচার সম্পর্কিত ১৯৫০ সালের আগস্টে লন্ডনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের দ্বিতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে গৃহীত এক সিদ্ধান্তে বলা হয় যে, শিশু বা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দ্বারা সংঘটিত যে সব আচরণ অসংগতিপূর্ণ বা আইনভঙ্গমূলক অর্থাৎ যা সমাজিকভাবে বাঞ্ছিত বা স্বীকৃত নয় তা সবই কিশোর অপরাধের অন্তর্ভূক্ত। অন্যদিকে আমেরিকান চিল্ড্রেন ব্যুরো কিশোর অপরাধের সংজ্ঞায় উল্লেখ করেছে যে, অপ্রাপ্তবয়স্ক বা কিশোরদের দ্বারা সংঘটিত রাষ্ট্রিক আইন বা পৌর বিধি বিরোধী সব কাজই কিশোর অপরাধের আওতাভুক্ত। উপরন্তু, সমাজ সদস্যদের অধিকারে আঘাত করে এবং কিশোরদের নিজের ও সমাজের কল্যাণের পথে হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়ায়, কিশোরদের দ্বারা সংঘটিত এমন যে কোনো মারাত্মক সমাজবিরোধী কাজও কিশোর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
অপরাধ বিজ্ঞানী  cavan এবং ferdinand এর মতে সমাজ কতৃক আকাক্সিক্ষত আচরণ প্রদর্শনে কিশোদের ব্যর্থতাই কিশোর অপরাধ। পি ডব্লু টটাপপান কিশোর অপরাধীদের চারটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন
ক. যার বৃত্তি আচরণ, পরিবেশ অথবা সংগীতদল তার নিজস্ব কল্যাণের পথে ক্ষতিকর।
খ. যে অবাধ্য, কিংবা যে তার মাতা-পিতা বা অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়;
গ. ইচ্ছাকৃতভাবে যে স্কুল পালায় কিংবা সেখানকার নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এবং
ঘ. যে রাষ্ট্রিক আইন বা পৌর বিধি বহির্ভূত কাজ করে।

কৈশোরে বিশেষ চাহিদা
ক. স্বাধীনতা ও সক্রিয়তার চাহিদা (Need for freedom and activity) : এ বয়সে কিশোর কিশোরীরা সর্ব ব্যাপারে স্বাধীন হতে চায়। তার আত্মসম্মানবোধ মনে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করে। দায়িত্ব বহন করার, নিজের মত প্রকাশ করার, দশের মধ্যে একজন হবার প্রবল আকাক্সক্ষা তার মধ্যে দেখা দেয়। তখন সে সদা কর্মমুখর থাকে। তার এ স্বাধীনতা ও সক্রিয়তাবোধ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
খ. সামাজিক বিকাশের চাহিদা : বয়ঃসন্ধিকালে সমাজ চেতনার বিকাশ খুব গভীর হয়। আত্মসম্মান ও মর্যাদাবোধ তাকে সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে। গৃহের বন্ধন অপেক্ষা বাইরের আহবান তাকে প্রবলভাবে নাড়া দেয়। সে তখন বৃহত্তর সমাজ জীবনের ভাবের দোসর খোঁজে, সঙ্গীসাথীদের সাথে মেলামেশায় সুযোগ গ্রহণ করে, অপরিচিতের মধ্যে আত্মীয়তা অনুসন্ধান করে।
গ. আত্মপ্রকাশের চাহিদা : এ বয়সে অরেকটি চাহিদা হলো নিজেকে প্রকাশ করা। আবেগপ্রবণ হওয়ায় বিভিন্ন সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে তারা নিজেদের মূল্যবোধকে সমাজের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। সমাজের অন্যান্য ব্যক্তি তাদের এ কর্মের মূল্য দেবে এটাই তারা বিশেষভাবে চায়। এ চাহিদার তৃপ্তি ব্যক্তিসত্তার সুষম বিকাশের পক্ষে অপরিহার্য। এ চাহিদা পূরণ না হলে তারা দুর্বলচেতা, আত্মবিশ্বসহীন ও নিষ্ক্রিয় হয়। পড়াশুনা, খেরাধুলা, গান বাজনা, অভিনয়, অংকন, কবিতা লেখা, পত্র মিতালী, ডায়েরি লেখা এবং অন্যান্য কালেজের মাধ্যমে তারা আত্মপ্রকাশ করে।
ঘ. আত্মনির্ভরতার চাহিদা : আত্মপ্রকাশের চাহিদা থেকেই আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ইচ্ছা জাগে। তারা ভবিষ্যৎ জীবন সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা শুরু করে। পরনির্ভর না হয়ে স্বাধীন জীবন যাপনের প্রবল ইচ্ছা বয়ঃসন্ধিকারে দেখা দেয়। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। ভবিষ্যতে কোন ধরনের পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করবে সে চিন্তা সে করে।
উপযুক্ত পেশা নির্বাচনে মাতাপিতা ও শিক্ষকের সহায়তা এ বয়সে বিশেষভাবে প্রয়োজন।
ঙ. নতুন জ্ঞানের চাহিদা : এ বয়সে মানসিক বিকাশ পূর্ণতা লাভ করে। ফলে কৌতূহলপ্রিয়তা, অজানাকে জানার আকাক্সক্ষা তাদের মধ্যে দেখা দেয়। নতুন কিছু জানতে চায়, শিখতে চায়, অসীম কৌতূহলে বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডার আহরণ করার তাকিদ অনুভব করে। এ স্বতঃস্ফূর্ত জ্ঞানের আকাক্সক্ষাকে যদি মাতা-পিতা, শিক্ষক, অভিভাবকবৃন্দ সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারেন তবে এ ছেলেমেয়েরা ভবিষ্যৎ জীবনে, কর্মক্ষেত্রে, সমাজে সাফল্য লাভ করতে পারে।
চ. নীতিবোধের চাহিদা : বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের মধ্যে নীতিরোধ জাগ্রত হয়। ভালো মন্দ, ন্যায় অন্যায়, উচিত অনুচিত বোধ সে মন থেকে উপলব্ধি করে। নিজের এবং অপরের কাজকে নীতিবোধের মানদণ্ডে বিচার করে। সমাজের রীতি নীতি, আদর্শবোধ তার বিবেককে নাড়া দেয়। নিজে নীতিবিরোধী কোনো কাজ করলে তার মনে অপরাধবোধ সৃষ্টি হয়।
ছ. নিত্য নতুন চমকপ্রদ ও অভিনব বিষয়ে আগ্রহ : প্রাত্যহিক জীবনের কার্যক্রম এ বয়সের ছেলেমেয়েদের একঘেঁয়ে এবং বিরক্তিকর মনে হয়। তারা চায় নতুন নতুন চমকপ্রদ ও অভিনব বিষয়ের মাধ্যমে আনন্দ পেতে। তারা চায় দল বেঁধে পিকনিক করতে অথবা সিনেমা দেখতে। শিক্ষককে ফাঁকি দিয়ে পাঠশালায় পলায়ন, রাতের অন্ধকারে পাড়া প্রতিবেশীর বাগানের ফল চুরি করা, সিগারেট বা মাদকদ্রব্য চেখে দেখা ইত্যাদি কাজে তাদের অসীম আগ্রহ ও নিষ্ঠা দেখা যায়। মাদকাসক্তদের কেইস হিস্ট্রি থেকে জানা যায় প্রথম মাদকদ্রব্য সেবনের অভিজ্ঞতা তাদের হয়েছে সহযোগী বন্ধুদের পরামর্শে অ্যাডভেঞ্চার করতে যেয়েই এবং পরবর্তীতে ড্রাগস এর মরণ ফাঁদে তারা জড়িয়ে পড়েছে।
জ. নিরাপত্তার চাহিদা : বেশির ভাগ কিশোর কিশোরীর মনে নিজের কর্মক্ষমতা, পরিবারের দলে অথবা স্কুলে তার অবস্থান এবং নৈতিক মূল্যবোধ এর সমন্বয়ে নানারকম মানসিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ দ্বন্দ্বের টানাপোড়েনে তারা আত্মবিশ্বাস হারিযে অসহায় বোধ করে। এ বয়সের চাহিদাগুলোর পাশাপাশি শাস্তি পাওয়ার ভয়ও তাদের মনে কাজ করে। ফলে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
ঞ. আত্ম পরিচিতির চাহিদা (Need for self identity) : এ বয়সের ছেলেমেয়েদের নিজ সম্পর্কে ধারণা পাকাপোক্ত হয়। তারা (gendr appropriate behaviour)- এর মাধ্যমে নিজের পরিচিতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এরিকসন ও স্তরে Identity vs.role diffusion এ দ্বন্ধের কথা বলেছেন এ বয়সের ছেলেমেয়েরা সমাজে তার স্থান ও ভূমিকা নিয়ে চিন্তা করে এবং যাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, উদ্যম ও স্বাধীনভাব অর্জিত হয়, তারা নিজেদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধনাত্মক পরিচিতি লাভ করে। অন্যদিকে, নিজ সম্পর্কে অস্পষ্ট ধারণা থাকলে অনেক সময় আত্মসংযম হারিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে পড়ে। কিশোর কিশোরীরা এ বয়সে মাতা-পিতার ও সমাজের মূল্যবোধকে তীক্ষèভাবে যাচাই করে আত্ম পরিচিতি গড়ে তোলে।

কৈশোর শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সামাজিক প্রক্রিয়া
বয়ঃসন্ধিক্ষণে মানব জীবনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। কৈশোরে পা দেয়ার পর থে

বিস্তারিত

Beijing_China_Tablet_1920x960

দেখে নিন বিশ্বের ৩০টি প্রগতিশীল শহরের তালিকা

বিশ্বের প্রগতিশীল ৩০টি শহরের শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে ভারতের বেঙ্গালুরু। এরই মাধ্যমে রীতিমত চীনকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত। শহরগুলির প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, জনসংখ্যার বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও গ্লোবাল কানেকটিভিটি বা বিশ্বের সঙ্গে সংযোগের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এই তালিকা। নিচে এক নজরে দেখে নিন সেই তালিকা-

১) বেঙ্গালুরু
২) হো চি মিন সিটি
৩) সিলিকন ভ্যালি
৪) সাংহাই
৫) হায়দরাবাদ
৬) লন্ডন
৭) অস্টিন
৮) হ্যানোই
৯) বস্টন
১০) নাইরোবি
১১) দুবাই
১২) মেলবোর্ন
১৩) পুনে
১৪) নিউ ইয়র্ক
১৫) বেইজিং
১৬) সিডনি
১৭) চেন্নাই
১৮) প্যারিস
১৯) ম্যানিলা
২০) সিয়াটেল
২১) সান ফ্রান্সিসকো
২২) শেনঝেন
২৩) দিল্লি
২৪) রালেইঘন-ডারহাম
২৫) মুম্বাই
২৬) হ্যাংঝৌউ
২৭) লস অ্যাঞ্জেলস
২৮) ডাবলিন
২৯) নানজিং
৩০) স্টকহোম

 

 

বিস্তারিত

soikottttttt

দেখে নিন বিশ্বের সেরা ২৫টি সমুদ্র সৈকতের তালিকা !

ডলফিন এবং পেছনে আগ্নেয়গিরি।

বিস্তারিত

nobellll

নোবেল শান্তি পুরস্কারের কোনো গ্রহণযোগ্যতা আর আছে কি

নোবেল পুরস্কার, বিশেষ করে শান্তি পুরস্কার তার সকল গৌরব হারিয়েছে। নোবেল পুরস্কারের প্রবর্তক আলফ্রেড নোবেল আজ বেঁচে থাকলে হয়তো ঘৃণার সঙ্গে তার নামটি এই পুরস্কারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে দিতেন না, প্রত্যাহার করে নিতেন। গত ১০ ডিসেম্বর নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এই পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান মানুয়েল সান্তোষকে। এ পর্যন্ত সবই ঠিক ছিল। কিন্তু এর একটি অনুষ্ঠানেও আমেরিকার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জারকে শান্তির দূত আখ্যা দিয়ে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নরওয়ের নোবেল শান্তি পুরস্কার ইনস্টিটিউট এবং অসলো ইউনিভার্সিটি।

 

ফলে বিশ্বের বহু দেশে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত হেনরি কিসিঞ্জারকে শুধু নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া নয়, তাকে পুরস্কার দানের একটি অনুষ্ঠানে শান্তির দূত আখ্যা দিয়ে আমন্ত্রণ জানানোর দরুন দারুণ প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। নরওয়ের নোবেল শান্তি পুরস্কারদানের কমিটি এই প্রতিবাদের পরোয়া করবেন বলে মনে হয় না। তারা জেনেশুনেই এ কাজটি করেছেন। এর আগেও শান্তি পুরস্কারদানে এই ধরনের ভণ্ডামির আশ্রয় তারা নিয়েছেন। প্যালেস্টাইনের মুক্তি সংগ্রামের নেতা ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধী প্রধানমন্ত্রীর গলায় একই শান্তি পুরস্কারের পদক তারা পরিয়ে দিয়েছিলেন।

 

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট জুয়ান সান্তোষকে ২০১৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারে সম্মানিত করা অনেকের কাছেই ভালো লেগেছে। ১৯৬৪ সাল থেকে কলম্বিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলেছে। সরকার ও সামরিক বাহিনীর সঙ্গে প্রধান গেরিলা বাহিনী ফার্ক ও বামপন্থি দলগুলোর সমন্বয়ে গঠিত মোর্চার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চলছিল। তাতে গরিব সাধারণ মানুষের জীবনে অশান্তি ও দুর্দশা চরমে পৌঁছেছিল। প্রেসিডেন্ট সান্তোষ এই যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন। গত ২৪ নভেম্বর তিনি কিউবার রাজধানী হাভানাতে গেরিলাদের সঙ্গে একটি শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। চুক্তিটি কলম্বিয়ার পার্লামেন্টে অনুমোদন পেয়েছে ১ ডিসেম্বর।

 

চুক্তিটিতে অনেক ত্রুটি আছে। তবু কলম্বিয়ার বামপন্থিদের একাংশের অসন্তোষ সত্ত্বেও এই শান্তিচুক্তি দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে বলে অনেকেই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। প্রেসিডেন্ট জুয়ান মানুয়েল সান্তোষ এই চুক্তিতে গেরিলা বাহিনীর প্রত্যেক যোদ্ধাকে সম্পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। এই চুক্তি দেশ-বিদেশের অনেক মানুষকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সম্পাদিত পার্বত্য (চট্টগ্রাম) শান্তি চুক্তির কথা মনে পড়িয়ে দেবে। কলম্বিয়ার শান্তি চুক্তির মতোই এটিও ছিল একটি ঐতিহাসিক চুক্তি। ব্রিটেনের যুদ্ধবাজ সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার পর্যন্ত বাংলাদেশের পার্বত্য শান্তি চুক্তির ঐতিহাসিকতা স্বীকার করে প্রশংসা করেছিলেন।

 

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট মানুয়েল নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছেন, তাতে কারো আপত্তি নেই। আপত্তি হেনরি কিসিঞ্জারের মতো বিতর্কিত ব্যক্তির অতীতে এই পুরস্কার পাওয়ায় এবং আবার এই পুরস্কার দান-সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে তাকে শান্তির দূত আখ্যা দিয়ে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ডেকে আনায়। নরওয়েরই একটি রাজনৈতিক দল কিসিঞ্জারকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করে দেশের আদালতে মামলা করেছে এবং নরওয়ের মাটিতে কিসিঞ্জার পা দিলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছিল। এই দাবিতে গলা মিলিয়েছে ইউরোপের অন্যান্য দেশেরও শান্তিকামী মানুষ ও সংগঠন।

 

দেশ-বিদেশের এই প্রতিবাদের মুখেও নরওয়ের নোবেল শান্তি পুরস্কার ইনস্টিটিউট ও অসলো ইউনিভার্সিটি কেন বেছে বেছে হেনরি কিসিঞ্জারকেই বিশ্ব শান্তির দূত হিসেবে বার বার সম্মান জানাচ্ছেন, তা এক বিস্ময়কর ব্যাপার। ফলে এই পুরস্কারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বহু দেশ। তাদের মধ্যে রয়েছে চীন। শুধু চীন নয়, বিশ্বের বেশকিছু দেশ এখন মনে করে, পশ্চিমা শক্তি কর্তৃক তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার ও সাহিত্য পুরস্কার দুটিরই অতি অপব্যবহারের ফলে এই পুরস্কার শুধু গ্রহণযোগ্যতা নয়, তার সকল মর্যাদা হারিয়েছে।

 

এর একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ হলো, ২০০৯ সালে ৫৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি লিও জিয়াওবো সন্ত্রাসী কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধে চীনের আদালত কর্তৃক ১১ বছরের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। পরের বছর ২০১০ সালে নোবেল কমিটি শান্তি পুরস্কার দানের জন্য তাকে মনোনীত করে। চীন এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। সেবার এই প্রতিবাদে কণ্ঠ মিলিয়েছিলেন নরওয়ে সরকারও। এখন পশ্চিমা দেশগুলোতেই অভিযোগ উঠেছে, আমেরিকার নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী জোটের আধিপত্য রক্ষা ও প্রসারের সামরিক বাহু যেমন ন্যাটো, অর্থনৈতিক বাহু বিশ্বব্যাংক, তেমনি সাংস্কৃতিক বাহু হচ্ছে নোবেল শান্তি ও সাহিত্য পুরস্কার।

 

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর নোবেল শান্তি ও সাহিত্য পুরস্কার ধীরে ধীরে তার গ্রহণযোগ্যতা ও মর্যাদা হারায় এবং স্নায়ুযুদ্ধে (cold war) পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের উদ্দেশ্য পূরণের হাতিয়ার হয়ে ওঠে। গত শতকে সোভিয়েট ইউনিয়নকে বিব্রত করার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রুশ লেখক বরিস পাস্তেরনাককে তার ‘ড. জিভাগো’ বইয়ের জন্য নোবেল সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়। তা নিয়ে রুশ-মার্কিন স্নায়ুযুদ্ধ তুঙ্গে ওঠে। এখন তো প্রমাণিত হয়েছে ড. জিভাগো বইটির সাহিত্য মূল্য তেমন নেই। সোভিয়েত শাসনব্যবস্থার সমালোচনা করাতেই পশ্চিমা ব্লকের কাছে এই বইটির কদর বেড়েছিল এবং সিআইএ’র গোপন অর্থ সাহায্যে ইউরোপে বইটি প্রকাশ করা হয়েছিল।

 

নোবেল শান্তি পুরস্কার ইনস্টিটিউট বহু যুদ্ধাপরাধী ও মানবতার শত্রুকে এই শান্তি পুরস্কার দিয়ে শুধু পুরস্কারটির নয়, নিজেরাও মর্যাদা হারিয়েছেন। কিসিঞ্জারকে শান্তির দূত বলা ও শান্তি পুরস্কার দেওয়া এই পুরস্কারের গ্রহণযোগ্যতা একেবারেই নষ্ট করেছে। কলকাতায় দ্য স্টেটসম্যান পত্রিকায় এক কলামিস্ট লিখেছেন, নরওয়ের নোবেল কমিটি অতীতে যুদ্ধবাজ হেনরি কিসিঞ্জারকেও বিশ্ব নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়ে নিজেদের আবার হাস্যাস্পদে পরিণত করেছিল।

 

হেনরি কিসিঞ্জারের নামটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে অতি পরিচিত। ১৯৭১ সালে আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এই লোকটিই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন এবং পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীকে বাংলাদেশে গণহত্যায় সমর্থন জুগিয়েছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন বঙ্গবন্ধুর সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে ব্যস্ত, তখন এই কিসিঞ্জারই বিদ্রূপ করে বলেছিলেন, বাংলাদেশ তলাবিহীন ঝুড়ি।

 

জার্মানির এক ইহুদি পরিবারে তার জন্ম। ১৯৩৮ সালে অভিবাসী হিসেবে আমেরিকায় আসেন এবং নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। কম্বোডিয়ায় গণহত্যা, ইন্দোনেশিয়ায় সুকর্নের আমলে গণহত্যা, পূর্ব তিমুরে ধ্বংসযজ্ঞ, বাংলাদেশ ও চিলিতে রক্তের প্লাবন সৃষ্টি, আলেন্দে ও মুজিব-হত্যা ইত্যাদি অসংখ্য ঘটনার সঙ্গে কিসিঞ্জারের নাম জড়িত। এজন্যেই এখন প্রশ্ন উঠেছে এমন এক ব্যক্তিকে নোবেল শান্তি পুরস্কার ইনস্টিটিউট কেমন করে একবার শান্তি পুরস্কার দেওয়ার পর আবার এ বছর সসম্মানে আমন্ত্রণ জানাল অসলো ইউনিভার্সিটির প্রধান সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিষয়ে ভাষণদানের জন্য? এই ব্যাপারে লন্ডনের একটি বামপন্থি সাপ্তাহিক প্রশ্ন তুলেছেন, হিটলার যদি আজ বেঁচে থাকতেন, তাহলে তাকেও কি আজ এই আমন্ত্রণ জানানো হতো? দুর্ভাগ্য হিটলারের। তিনি ইহুদি ছিলেন না। ছিলেন ইহুদিবিদ্বেষী।

 

‘গরিবের কথা বাসি হলে ফলে’, নোবেল শান্তি পুরস্কার যে তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, একথা আমি বহুদিন আগে লিখেছিলাম, যখন বাংলাদেশের এক স্বনামধন্য ব্যাংকারকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। গরিবকে চড়া সুদে ঋণ দিয়ে অতি মুনাফার ব্যবসা করা ছাড়া বিদেশে দূরে থাক, তার নিজের দেশেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় তার কণামাত্র অবদান নেই। তবু তাকে দেওয়া হয়েছিল নোবেল শান্তি পুরস্কার। অবশ্য পুরোটা নয়, অর্ধেকটা। বাঙালি হিসেবে তাতে আমার গর্ববোধ করার কথা। কিন্তু গর্ববোধ না করে আমি এর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে তখনই এই পুরস্কারের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছি। ব্যাংকিং বা অর্থনৈতিক কোনো বিষয়ে তাকে পুরস্কার না দিয়ে শান্তি পুরস্কারে তাকে ভূষিত করা হলো কেন?

 

বুঝতে বাকি থাকেনি, এর পেছনে ছিল পশ্চিমা শক্তির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য। এই নোবেল জয়ীর ছিল আওয়ামী লীগ ও হাসিনাবিরোধী অবস্থান। তাকে সাহায্য করাই ছিল তখনকার মার্কিন প্রশাসনের এক শক্তিশালী ব্যক্তির উদ্দেশ্য। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পরই এই স্বনামধন্য ব্যাংকার নোবেল পুরস্কারের মাদুলি গলায় ঝুলিয়ে রাজনীতিতে ঢোকার এবং নেতৃত্ব গ্রহণের চেষ্টা করেন। তার পেছনে সায় ছিল তখনকার আধা সামরিক সরকারেরও। তখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক তত্পরতা নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এই নোবেলজয়ী এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই প্রকাশ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু এই দল বাংলাদেশের রাজনীতিতে অশ্বডিম্ব ছাড়া আর কিছু হতে পারেনি।

 

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট মানুয়েল তার দেশের গেরিলাদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিল তাতে আমি আনন্দিত। কিন্তু এই শান্তি চুক্তির পাশাপাশি আমরা যদি বাংলাদেশে শেখ হাসিনা কর্তৃক সম্পাদিত পার্বত্য শান্তি চুক্তির কথা বিবেচেনা করি, তাহলে দেখা যাবে, এই চুক্তি কলম্বিয়ার চুক্তির মতোই সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ব শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রেখেছে। এ জন্যে শেখ হাসিনারও কি নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিত ছিল না? নাকি তিনি পশ্চিমা স্বার্থ ও আধিপত্যের কাছে নতজানু নন বলেই নোবেল শান্তি পুরস্কার ইনস্টিটিউটের দৃষ্টি তার দিকে পড়েনি? এই পুরস্কার হয়তো একদিন শেখ হাসিনা পাবেন। কিন্তু তখন তার গ্রহণযোগ্যতা আর পুনরুদ্ধার করা যাবে কি?

বিস্তারিত

Rangamati_Parzaton_bdp_89

পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে রাঙামাটি

শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে রাঙামাটি। অবকাশ কাটাতে প্রতিদিন অগণিত পর্যটক আসছেন নৈসর্গিক এ পাহাড়ি জনপদে। পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে রাঙামাটি যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শহরজুড়ে পর্যটকদের ভিড়। রাঙামাটির নৈসর্গিক আবেশ আর দর্শনীয় স্থান ও নিদর্শনগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ কাড়ে সহজেই। তাই এসব আকর্ষণীয় স্পট দেখতে প্রতি বছর শীত মৌসুমে পর্যটকরা রাঙামাটি এসে ভিড় জমান।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের তথ্য সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটি শহরের বেড়াতে আসা পর্যটকদের ভিড়ে সবকটি আবসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি রেস্ট হাউসে লোকজনের ভিড়। কোথাও রুম খালি নেই। এখন অনেকে ভিড় করছেন অগ্রিম বুকিংয়ের জন্য। সরকারি সাপ্তাহিক বন্ধের দিনসহ ইংরেজি নববর্ষকে সামনে রেখে পিকনিক পার্টির আগমনও লক্ষণীয়। তবে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে বেড়াতে এসে অসন্তষ প্রকাশ করেছে অনেক পর্যটক।  

কারণ পর্যটকদের জন্য কোনো ধরনের সুবিধা বাড়ানো হয়নি। অনেকে এসে মনক্ষুণ্ণ হচ্ছেন। অথচ, শীত মৌসুমের শুরুতেই রাঙামাটি পর্যটন মোটেলে রাজস্ব আয় আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে নিরাপত্তারও বিঘ্ন ঘটছে। অনেক সময় কতিপয় ব্যক্তিরা এসে পর্যটকদের নাজেহাল করে। অটো-রিকশাওয়ালারা জিম্মি করে আদায় করছে ২-৩ গুণ বেশি ভাড়া। বোটওয়ালারা ইচ্ছে মতো ভাড়া নিচ্ছে। তারা পর্যটনের কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কাই করে না। এসব ক্ষেত্রে যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। যে কারণে সরকারের রাজস্ব হারানোরও ঝুঁকি বাড়ছে।  

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে চলতি মৌসুমে চার থেকে পাঁচ হাজার পর্যটক এসেছেন। জেলা পরিষদের উদ্যোগে পর্যটন উন্নয়নের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সেটা বাস্তবায়ন হলে পর্যটকদের সব অভিযোগ দূর হবে।  

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের নিয়ন্ত্রণ জেলা পরিষদ পেয়েছে। তাই পর্যটন বিস্তারের দায়িত্ব জেলা পরিষদের। তার জন্য স্থানীয় আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বোট মালিকদের নিয়ে নীতিমালা প্রণয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এ নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে পর্যটন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। বাড়বে পর্যটকদেরও সুবিধাও। তাছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের জন্য টুরিস্ট পুলিশের নিরাপত্তা বিষয়েও বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হবে।  

 

বিস্তারিত

suicide_tree

এই গাছটি ‘আত্মহত্যার গাছ’ হিসেবে পরিচিত ! কেন ?

আপনি হয়তো অস্ট্রেলিয়ার প্রাণঘাতী মারাত্মক কুমির কিংবা বিষাক্ত মাকড়সার কথা শুনেছেন  অথবা অনেক বইতেও পড়েছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াতে এমন ধরনের গাছ রয়েছে যার কারণে আপনি চাইবেন আপনার যেন দ্রুত মৃত্যু ঘটে। ‘ড্রেনড্রকনাইড মরইডেস’ নামক এক ধরনের প্রাণঘাতী গাছ অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রেইনফরেস্টে দেখতে পাওয়া যায়। এই গাছটি ‘আত্মহত্যার গাছ’ হিসেবে পরিচিত।

কারণ এই গাছের হুল শরীরে লাগলে তা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শোনা যায় একজন ভুক্তভোগী এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন! ঝোপঝাড়ে বেড়ে ওঠা গুল্ম হিসেবে খ্যাত এই উদ্ভিদটি গেম্পি গেম্পি, দ্য সুইসাইড প্লান্ট, মুনলাইটার নামেও পরিচিত। এই গাছটি সম্পূর্ণভাবে হুলে আচ্ছাদিত এবং এর হুল যন্ত্রণাদায়ক কারণ তা প্রবলভাবে কার্যকর উচ্চ নিওরোটক্সিন নির্গত করে। বিষাক্ত এই হুল মানব শরীরে লাগলে তা দুঃসহ যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি দেয়।

এই গাছের হুল শরীরে বিধঁলে তার চিকিৎসা হচ্ছে, ওয়াক্স স্ট্রিপের মাধ্যমে ত্বক থেকে গাছের হুল তুলে ফেলা এবং ত্বকের আক্রান্ত স্থানে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের দ্রবণ লাগানো। যা হোক, গাছটির হুল শরীরে লাগায় যে ব্যথা শুরু হয় তা দু’বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ভুক্তভোগীদের মতে, এই ব্যথা খুবই ভয়ংকর। এক ব্যক্তি তা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন।  

এক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন ‘দু বা তিন দিনের জন্য ব্যথা প্রায় অসহনীয় ছিল, আমি কোনও কাজ করতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি। এই যন্ত্রণা দু’বছর ধরে চলেছে এবং সবসময় আমি ঠান্ডা জলে ডুবে বসে থাকতাম। ’

 

বিস্তারিত

Next
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • 10
  • 11
  • 12
  • 13
  • 14
  • 15
  • 16
  • 17
  • 18
  • 19
  • 20
  • 21
  • 22
  • 23
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

একুশের প্রথম প্রহরে শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানালো ইউওবি

উত্তরা সেন্ট্রাল চেস ক্লাবের দুলাল অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন 

মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে সন্ধানী স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী অনুষ্ঠিত

বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বি সি আই কলেজ বন্ধু সভার ফ্রি চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র

উত্তরের ঢাকাকে ‘ডিজিটাল’ ঘোষণা করে আতিকের ইশতেহার

৫১ নং ওয়ার্ডে তরুণ প্রার্থী জুয়েলের প্রচারণায় ব্যাপক সাড়া

টিফিন ক্যারিয়ারে প্রার্থী আবুল হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ

চন্ডালভোগে কাউন্সিলর প্রার্থী নাসির উদ্দিনের পথসভা

উদযাপিত হলো শান্ত-মারিয়াম ফাউন্ডেশন ডে ২০১৯

উত্তরা প্রেস ক্লাবের নতুন কমিটির পক্ষ থেকে হাবিব হাসানকে ফুলের শুভেচ্ছা

৫১ নং ওয়ার্ডের বিভিন্নস্থানে ঠেলাগাড়ি প্রার্থীর পোস্টার ছিড়ে ফেলা হচ্ছে

৫৩ নং ওয়ার্ডকে একটি মডেল এলাকা হিসেবে গড়ে তুলবো

আাগামী মাসের ১৫, ১৬ ও ১৭ তারিখ তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা

নেত্রকোণায় চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ ভিত্তিহীন

বিশ্ব ইজতেমার ম্যাপ ও জেলা দায়িত্বশীলদের তালিকা প্রকাশ

এগিয়ে চলছে উত্তরা লেকের কার্যক্রম, দক্ষিণের ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন

টঙ্গীতে গাছ কেটে সরকারী জায়গা দখলের অভিযাগ

নদী দখলকারীরা নির্বাচন করার ও ঋণ পাওয়ার অযোগ্য: হাইকোর্ট

উত্তরায় প্রয়াত চিকিৎসক লিটু’র রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া

উত্তরায় শুরু হয়েছে আমিন মোহাম্মদের আবাসন মেলা ২০১৯

  • প্রচ্ছদ
  • আমাদের পরিবার
  • বিজ্ঞাপন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত উত্তরা নিউজ
২০১৩-২০১৬

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মোঃ তারেকউজ্জামান খান
বাড়িঃ ১২৫(৩য় তলা), রানাভোলা এভিনিউ রোড, সেক্টরঃ ১০,
উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০
মোবাঃ ০১৭১২২৬৩৮৯৬
ই-মেইলঃ info@uttaranews24.com, uttaranewsbd24@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি