


বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী আট জনের কাছে যে সম্পদ আছে, তা গোটা পৃথিবীর অর্ধেক জনসংখ্যার কাছে থাকা সম্পত্তির সমান। এই আট ব্যক্তি হলেন- মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, ফ্যাশন হাউজ ইনডিটেক্সের প্রতিষ্ঠাতা আমানসিও ওর্টেগা, ওয়ারেন বাফেট, বিজনেস ম্যাগনেট কার্লোস স্লিম হেলু, অ্যামাজন প্রধান জেফ বেজোস, ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ, ওরাকলসের ল্যারি এলিসন এবং নিউ ইয়র্কের প্রাক্তন মেয়র ব্লুমবার্গ।
অক্সফ্যাম ইন্টারন্যাশনাল সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এ তথ্য প্রকাশ করেছে। সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী উইনি বিয়ানিমা বলেন, যেখানে বিশ্বের প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জনের সারাদিন কাটে মাত্র ২ ডলারে, সেখানে গুটিকয় কয়েকজনের হাতে এত সম্পদ থাকা অশোভন। এই পার্থক্যই কোটি কোটি মানুষকে দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাষ্ট্রনায়করা এখনও কোনও ব্যবস্থা না নিলে অদূর ভবিষ্যতে সামাজিক ক্ষোভের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটতে পারে বলে সতর্ক করেছে অক্সফাম।
ভালবাসা যে, দুরন্তর মহাসাগরের মত,
যেখানে বালি সমুদ্রে গিয়ে মিশে,
ভালবাসার তরঙ্গে ঘূর্ণায়মান হয়ে।
জোয়ারের মত হয়ে তীরে আসে,
চাওয়ার আর প্রয়োজনে দেয় যে আলিঙ্গন।
ভালবাসা যে, ঐ আকাশের উজ্জল চাঁদের মত,
উষ্ণতার সমুদ্র জুড়ে ঝিলিমিলি স্রোত,
গভীর, প্রশস্ত, শক্তিশালী আর কি শান্ত।
সর্বদাই যেন বয়ে বয়ে আসে আর যায়,
কখনো কখনো পথপ্রদর্শকের মত,
আশ্রয়ের অবগাহন করিয়ে দেয়।
ভালবাসা যে, সমুদ্রের সতেজ মৃদুমন্দ বাতাস,
আলতো করে মুখ জুড়ে ছোঁয়া দিয়ে যায়,
পরম সুখ আর ভালোলাগার সুদূরপ্রসারী।
নোনা বাতাসের মিষ্টি সুবাস দিয়ে,
যেন মনের সমস্ত কষ্টগুলো মুছিয়ে,
কষ্টের মাঝে ডুবন্ত জীবনকে বাঁচিয়ে তুলে।
ভালবাসায় যে, উপলব্ধি থাকে পৃথিবীর সর্বত্র,
সৌন্দর্য্যে, বায়ুতে কিংবা রহস্যে ভরা,
দীর্ঘশ্বাসটাকে দুরে সরিয়ে দিয়ে,
বাতাসের হাত দিয়ে করে আলিঙ্গন।
বন্ধ চোখেও যেন যাদুমন্ত্র স্মৃতি নৃত্য,
গভীরতম স্মৃতিরাও তখন পালাতে পারেনা।
ভালোবাসাকে যদি, কখনো আত্মারাও বিদায় বলে,
এবং আকাশ যেখানে সমদ্রে গিয়ে মিশে,
সেখানেও যেন ভালবাসার হয় পরিচয়।
পৃথিবীতে ভালবাসা থাকবে চিরকালই,
সমুদ্রে যেখানে স্মৃতি স্পর্শ মিলে।
ভালবাসা থাকবে জীবন্ত হয়েই,
ফিরে ফিরে আসবে, অনন্তকালের প্রবাহে।
অর্কেস্ট্রায় যোগদান করলে মরতে হবে। ঘর ছাড়তে হবে এমন হুমকি তাদের টলাতে পারেনি। বাধা কাটিয়ে দুনিয়ার সামনে নজির গড়েছে আফগান নারী অর্কেস্ট্রা।
শুক্রবার ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামে প্রায় তিন হাজার সিইও'র সামনে তাদের অর্কেস্ট্রা প্রদর্শন ঘিরে কৌতুহল ছড়িয়েছে।
আফগান রক্ষণশীল সমাজে তাদের ঘর থেকে বেরোনোও নিষিদ্ধ। ঘরের বাইরে পা ফেলতে গেলে পুরুষ সদস্যদের সঙ্গে নিতে হয়। মেয়েদের স্কুলে যাওয়াতেও অনেক বাধা নিষেধ। আর সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত হওয়া বিশাল বড় অন্যায়। কিন্তু সব কিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দিলেন আফগানিস্তানের মেয়েরা। একজোটে গড়লেন অর্কেস্ট্রা। দলের নাম হল ‘জহ্রা’।
উদ্যোক্তার নাম নেজিনা। ইউরোপে অনুষ্ঠান করে ফেরার সময়ই ২০ বছরে পা দেবেন নেজিনা। গুলি বা বোমার শব্দ দিয়ে দিন প্রায়ই শুরু হয় আফগান নারীদের।
কাবুলেই ‘জহ্রা’ অর্কেস্ট্রা দলটি মহড়া দেয়। বহু হুমকি ও বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। নেজিনার আগে অর্কেস্ট্রা জগতে এর আগে কোনও আফগান নারী এগিয়ে আসেননি। ধর্মীয় শাসনের ঘেরাটোপে থাকে আফগানিস্তান। একসময় ছিল তালিবান শাসনে। তখন কেউ ভাবতেই পারতেন না যে নারীরা একদিন অর্কেস্ট্রায় অংশ নেবেন। তালিবান জমানা শেষ হয়েছে। নতুন করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন আফগান নারীরা।
অধুনা বাংলাদেশসহ পৃথিবীর দেশে দেশে একটি সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এটি হলো
কিশোর অপরাধ। কিশোরদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ চুরি, হত্যা, আত্মহত্যা, ধর্ষণ, ছিনতাই, পকেটমার, মাদকসেবন, ইভটিজিং (Eve-teasing) ইত্যাদিসহ এমন সব ভয়াবহ কাজ করছে, এমন সব অঘটন ঘটিয়ে চলছে এবং এমন সব লোমহর্ষক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হচ্ছে যা কি না অকল্পনীয়। বিষয়টি সমাজবিজ্ঞানী, অপরাধবিজ্ঞানী, আইনবিদ, রাজনীতিবিদ ও সুশীলসমাজকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলছে। একবিংশ শতাব্দীর প্রারম্ভে সভ্যতার এ চরম উৎকর্ষের যুগে আমাদের আগামী দিনের আশা ভরসার স্থল কিশোরসমাজের এ ব্যাপক বিপর্যয় সত্যিই বড় দুঃখ ও দুর্ভাগ্যজনক। এ সর্বনাশা ছোবল থেকে আমাদের কিশোর-কিশোরীদেরকে রক্ষা করতে হবে।
কিশোর অপরাধচিত্র
১৯৯৪ সালে ইলিশিয়াম ভবনে স্কুল বন্ধুদের দ্বারা দশম শ্রেণীর ছাত্র ঈশা (১৫) হত্যাকাণ্ড ঘটে। গ্রেফতার হয় ঈশার বন্ধু প্রিন্সসহ ৫ কিশোর। খুন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত কিশোরটি বন্ধু-বান্ধব নিয়ে নীল ছবি দেখছিল। ঘটনায় দেশবাসী স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। অথচ এ ঈশাই মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তার মাকে বারবার আর্তনাদ করে বলছিল মা তুমি চাকরি ছেড়ে দাও, আমি একা বাসায় থাকতে পারছি না।
বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সম্প্র্রিতিক ও নিকট অতীতের আরও কিছু অবাক করা ঘটনা
ক. ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজের তাসনুভা নামে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বার্ষিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় সে আত্মহত্যা করে বলে কলেজ কর্র্তৃপক্ষের ধারণা। তার বাড়ি কুষ্টিয়াদের। তাসনুভার বাবা মো: একরাম একজন এনজিও কর্মকর্তা। গতকাল তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
(দৈনিক আমাদের সময়, ৩০.১১.২০০৮)
১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সন পর্যন্ত এই ৫ বছরে পুলিশের ডায়েরি মতে, শুধু ঝিনাইদহ জেলায় ৬১ জন শিশু, ১৯১ জন কিশোর ও ৪৩৬ জন কিশোরী অত্মহত্যা করে। দৈনিক ইতেফাক, ২২. ৩. ১৯৯৫ ।
খ. কোতোয়ালী থানা পুলিশ গত ১৫ই জুলাই পাট গুদাম হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নাজমুল হাসান বাবু (১২) হত্যা রহস্য উদঘাটন এবং হত্যার সহিত জড়িত একই মাদ্রাসার ছাত্র হামিদুল ইসলাম (১৪) ও আবদুর রহমান মুন্না নামের অপর এক কিশোরকে গ্রেফতার করিয়াছে। পুলিশ নিহত বাবুর অপহৃত সাইকেল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করিয়াছে। উল্লেখ, গত ১২ই জুলাই রাত্রে শহরের কেওয়াটখালী নিবাসী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসর এমরান হোসেনের পুত্র নাজমুল হাসান বাবুকে জবাই করিয়া হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে ধৃত কিশোরদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায়, নিহত বাবু গত ৫ জুলাই পাট গুদাম হাফিজিয়া মাদ্রাসা হইতে হেফজ সম্পূর্ণ করায় তাহার পিতা তাহাকে একটি সাইকেল কিনিয়া দেয়। বাবু সাইকেল লইয়া রাস্তায় বাহির হইলে তাহার সহপাঠী কোতয়ালী থানার চর নিকলিয়ার হামিদুল ইসলাম চালানোর জন্য বাবুর নিকট সাইকেলটি চায়। বাবু সাইকেল না দেয়ায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাবু হামিদুলকে চপেটাঘাত করে। হামিদুল তাহার বন্ধু কোতয়ালী থানার মড়াখোলার আবদুল জলিলের পুত্র আবদুর রহমানকে ওরফে মুন্নাকে ঘটনা অবহিত করে এবং বাবুকে মারিয়া ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গত ১২ ই জুলাই রাত্রি সাড়ে আটটায় তাহার এক বাড়িতে কুরআন খতমের দাওয়াতের কথা বলিয়া একই সাইকেলে তিনজন রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে পাওয়ার হাউজের দৌয়ালের পার্শ্বে হামিদুল অতর্কিত বাবুকে জাপটাইয়া ধরিয়া মাটিতে ফেলিয়া দিয়া দুইজন মিলিয়া দা দিয়া তাহাকে জবাই করিয়া ফেলিয়া রাখে। ঘটনার পর হমিদুল ও মুন্না সাইকেলযোগে চলিয়া যায়। (দৈনিক ইত্তেফাক, ২৮.০৭.১৯৯৬)
গ. পকেটমার আরিফ হোসেন (১৬) বয়সে কিশোর হলে কাজে সে ভয়ঙ্কর। চার বছরে শতাধিক মোবাইল ফোন সেট চুরির অভিজ্ঞতা আছে তার। সুযোগ পেলে আস্ত্রের মুখে পণবন্দী করেও পথচারীদের ফোন ও টাকা লুটে নেয়। এসব অপরাধে এ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে চারবার। তবে কিশোর হওয়ার সুবাদেই বারবার ছাড়া পেয়ে যায়। আরিফ ও তার সহযোগী কিশোর অপরাধী রাজ্জাক মূলত বাস বা জনবহুল স্থানে পকেট মারে। প্রতিপক্ষ তাদের থেকে দুর্বল হলে তখন পকেটমার থেকে তারা ছিনতাইকারীতে পরিণত হয় তাদের টার্গেট মূলত জনসাধারণের পকেটে থাকা মোবাইল সেট ও মানিব্যাগ। পকেটমার হিসেবে দুজনই খুব দক্ষ। পকেট কেটে এ পর্যন্ত এক থেকে দেড়শটি মোবাইল ছিনতাই করেছে। ছিনতাইকৃত মোবাইল বিক্রি করে গুলিস্তান স্টেডিয়াম মার্কেটের মফিজ ভাই, নজু ভাইসহ অনেকের কাছে। তবে বয়সে ছোট হওয়ার কারণে ন্যায্যমূল্য পায় না তারা। সে জানায়, নোকিয়া এন সিরিজের একটি মোবাইল আনতে পারলে তাদের মাত্র ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা দেয়া হয়। বেশি টাকা চাইলে বড় ভাইয়েরা পুলিশে দেয়ার ভয় দেখায়। এ পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে আরিফ চারবার পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। তবে বয়স কম থাকায় প্রতিবারই সে বেরিয়ে এসেছে। সে জানায়, আগে ছাড়া পেলেও এবার মনে হয় পাব না।
আরিফের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে। অভাবের তাড়নার লেখাপড়া বাদ দিয়ে ছয় বছর আগে এক প্রতিবেশীর সাথে ঢাকায় আসে। এখানে এসে পুরান ঢাকার একটি ওয়ার্কশপে ওয়েলিংয়ের কাজ শেখে। সেখানে জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয় হয় তার। এ জাহাঙ্গীর যে ছিনতাই ও পকেটমার শেখানোর ওস্তাদ তা সে জানত না। এক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে জাহাঙ্গীর তাকে পকেটমার শেখায়। এরপর থেকে চলতে থাকে ছিনতাই ও পকেটমার। আরিফ ও রাজ্জাক মূলত একসাথে পকেট কাটার কাজ করে থাকে। এ কাজের জন্য তাদের কিছু সাঙ্কেতিক শব্দ রয়েছে। বুকপকেটকে বলে বুককান, পাঞ্জাবী বা প্যান্টের ঝুল পকেটকে নিচকান ও প্যান্টের পেছনের পকেটকে বলে থাকে পিচকান। বাস বা জনবহুল স্থানে পকেট কাটার জন্য তারা এক ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট করে। এরপর ওই ব্যক্তির পিছু নেয়। সাধারণত রাজ্জাক ওই ব্যক্তির গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে নিজের শরীর চুলকাতে থাকে। রাজ্জাকের হাত নাড়াচাড়ার এক ফাঁকে আরিফ ওই ব্যক্তির পকেটে হাত ঢুকিয়ে নিয়ে যায় তার মূল্যবান জিনিসপত্র। হাত দিয়ে সহজভাবে কাজ সম্পন্ন না হলে সে ক্ষেত্রে ব্লেড ব্যবহার করা হয়। আর পকেট কাটার জন্য সব সময় জিলেট কোম্পানীর উন্নতমানের দামি ব্লেড ব্যবাহার করে থাকে বলে সে জনায়। দৈনিক নয়া দিগন্ত, ৫-৪-২০০৮।
ঘ. দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়–য়া এক স্কুলছাত্রী শিমুকে ধর্ষণ করেছে দুর্র্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার বিদ্যানগর গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
এলাকাবাসী জানায়, প্রতিবেশী লুৎফর রহমানের পুত্র হুমায়ুন (১৮) ও হযরত আলীর পুত্র শাকিল (১৫) দুজন মিলে ৮ বছর বয়সী দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী শিশুটিকে ধরে জোরপূর্বক একটি টমেটো ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে হুমায়ুন ও শাকিল পালাক্রমে শিশুটিকে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির কান্না ও আর্তচিৎকার শুনে অশপাশের লোকজন ছুটে এসে শিশুটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে এবং উপজিলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে শিশুটির শারীরিক আবস্থায় আরো অবনতি হলে তাকে কিশোরগঞ্জের সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ঘটনার পরপর দুষ্কৃতিকারী হুমায়ুন ও শাকিল পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দৈনিক অপরাধকণ্ঠ, ০৫-০১-২০০৯।
বর্ণিত ঘটনাগুলো থেকে আমাদের দেশে কিশোর অপরাধের মাত্রা ও ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায।
কিশোর অপরাধ কী
মানবিক জীবনে কৈশোর কালটি নানা প্রতিকূল প্রতিবন্ধকতার মাঝ দিয়ে পার হয়। স্কুল পেরুনো বয়সটাই হেলো উডু উডু চঞ্চল। বাধা না মানার বয়স। এ বয়সে বন্ধু খুঁজতে থাকে সে। পেয়েও যায়। বন্ধুকে ঘিরে যা সত্য না তাও ভাবতে থাকে। কখনও সে মধুর স্বপ্নে আনন্দে বিভোর থাকে। আবার কখনও বিভিন্ন জটিল সমস্যার কারণে ভিষণœতায় ভোগে। এ ক্রান্তিলগ্নে তার মাঝে এসে ভর করে অস্থিরতা, রোমান্টিসিজম, অ্যাডভারটারিজম ও হিরোইজম। এ সব চিন্তার মাঝে যেমন আছে ভালো লাগা তেমনই আছে নীরব পতনের পদধ্বনি।
সংক্ষেপে যে সমস্ত কাজ প্রাপ্ত বয়স্কদের দ্বারা সংঘটিত হলে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় সে ধরনের প্রচলিত আইন ভঙ্গকারী কাজ অপ্রাপ্ত বয়স্ক বা কিশোরদের দ্বারা সংঘটিত হলে সেটিকে কিশোর অপরাধ বলা হয়। অন্য কথায়, অসদাচরণ অথবা অপরাধের কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা বা বিচারালয়ে আনীত কিশোরকে কিশোর অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। যদিও অনেক ক্ষেত্রে বলা হয় যে, আদালত কর্তৃক দোষী সাব্যস্ত কিশোররাই হচ্ছে কিশোর অপরাধী। কিন্তু আদালতের অপরাধ নিরূপণ পদ্ধতি ও রায় দেশ ও সমাজ ভেদে বিভিন্ন ধরনের হয়। তাই বলা যেতে পারে যে, কোনো কিশোর অপরাধী কি না তা নির্ভর করে তার মাতাপিতা, প্রতিবেশী সমাজ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সর্বোপরি আদালতের বিচারকের মনোভাবের ওপর।
অপরাধ ও অপরাধীদের বিচার সম্পর্কিত ১৯৫০ সালের আগস্টে লন্ডনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের দ্বিতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে গৃহীত এক সিদ্ধান্তে বলা হয় যে, শিশু বা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দ্বারা সংঘটিত যে সব আচরণ অসংগতিপূর্ণ বা আইনভঙ্গমূলক অর্থাৎ যা সমাজিকভাবে বাঞ্ছিত বা স্বীকৃত নয় তা সবই কিশোর অপরাধের অন্তর্ভূক্ত। অন্যদিকে আমেরিকান চিল্ড্রেন ব্যুরো কিশোর অপরাধের সংজ্ঞায় উল্লেখ করেছে যে, অপ্রাপ্তবয়স্ক বা কিশোরদের দ্বারা সংঘটিত রাষ্ট্রিক আইন বা পৌর বিধি বিরোধী সব কাজই কিশোর অপরাধের আওতাভুক্ত। উপরন্তু, সমাজ সদস্যদের অধিকারে আঘাত করে এবং কিশোরদের নিজের ও সমাজের কল্যাণের পথে হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়ায়, কিশোরদের দ্বারা সংঘটিত এমন যে কোনো মারাত্মক সমাজবিরোধী কাজও কিশোর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত।
অপরাধ বিজ্ঞানী cavan এবং ferdinand এর মতে সমাজ কতৃক আকাক্সিক্ষত আচরণ প্রদর্শনে কিশোদের ব্যর্থতাই কিশোর অপরাধ। পি ডব্লু টটাপপান কিশোর অপরাধীদের চারটি বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন
ক. যার বৃত্তি আচরণ, পরিবেশ অথবা সংগীতদল তার নিজস্ব কল্যাণের পথে ক্ষতিকর।
খ. যে অবাধ্য, কিংবা যে তার মাতা-পিতা বা অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়;
গ. ইচ্ছাকৃতভাবে যে স্কুল পালায় কিংবা সেখানকার নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এবং
ঘ. যে রাষ্ট্রিক আইন বা পৌর বিধি বহির্ভূত কাজ করে।
কৈশোরে বিশেষ চাহিদা
ক. স্বাধীনতা ও সক্রিয়তার চাহিদা (Need for freedom and activity) : এ বয়সে কিশোর কিশোরীরা সর্ব ব্যাপারে স্বাধীন হতে চায়। তার আত্মসম্মানবোধ মনে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করে। দায়িত্ব বহন করার, নিজের মত প্রকাশ করার, দশের মধ্যে একজন হবার প্রবল আকাক্সক্ষা তার মধ্যে দেখা দেয়। তখন সে সদা কর্মমুখর থাকে। তার এ স্বাধীনতা ও সক্রিয়তাবোধ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
খ. সামাজিক বিকাশের চাহিদা : বয়ঃসন্ধিকালে সমাজ চেতনার বিকাশ খুব গভীর হয়। আত্মসম্মান ও মর্যাদাবোধ তাকে সামাজিক বিকাশে সহায়তা করে। গৃহের বন্ধন অপেক্ষা বাইরের আহবান তাকে প্রবলভাবে নাড়া দেয়। সে তখন বৃহত্তর সমাজ জীবনের ভাবের দোসর খোঁজে, সঙ্গীসাথীদের সাথে মেলামেশায় সুযোগ গ্রহণ করে, অপরিচিতের মধ্যে আত্মীয়তা অনুসন্ধান করে।
গ. আত্মপ্রকাশের চাহিদা : এ বয়সে অরেকটি চাহিদা হলো নিজেকে প্রকাশ করা। আবেগপ্রবণ হওয়ায় বিভিন্ন সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে তারা নিজেদের মূল্যবোধকে সমাজের কাছে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। সমাজের অন্যান্য ব্যক্তি তাদের এ কর্মের মূল্য দেবে এটাই তারা বিশেষভাবে চায়। এ চাহিদার তৃপ্তি ব্যক্তিসত্তার সুষম বিকাশের পক্ষে অপরিহার্য। এ চাহিদা পূরণ না হলে তারা দুর্বলচেতা, আত্মবিশ্বসহীন ও নিষ্ক্রিয় হয়। পড়াশুনা, খেরাধুলা, গান বাজনা, অভিনয়, অংকন, কবিতা লেখা, পত্র মিতালী, ডায়েরি লেখা এবং অন্যান্য কালেজের মাধ্যমে তারা আত্মপ্রকাশ করে।
ঘ. আত্মনির্ভরতার চাহিদা : আত্মপ্রকাশের চাহিদা থেকেই আত্মনির্ভরশীল হওয়ার ইচ্ছা জাগে। তারা ভবিষ্যৎ জীবন সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা শুরু করে। পরনির্ভর না হয়ে স্বাধীন জীবন যাপনের প্রবল ইচ্ছা বয়ঃসন্ধিকারে দেখা দেয়। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার স্বপ্ন দেখে। ভবিষ্যতে কোন ধরনের পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করবে সে চিন্তা সে করে।
উপযুক্ত পেশা নির্বাচনে মাতাপিতা ও শিক্ষকের সহায়তা এ বয়সে বিশেষভাবে প্রয়োজন।
ঙ. নতুন জ্ঞানের চাহিদা : এ বয়সে মানসিক বিকাশ পূর্ণতা লাভ করে। ফলে কৌতূহলপ্রিয়তা, অজানাকে জানার আকাক্সক্ষা তাদের মধ্যে দেখা দেয়। নতুন কিছু জানতে চায়, শিখতে চায়, অসীম কৌতূহলে বিশ্বের জ্ঞান ভান্ডার আহরণ করার তাকিদ অনুভব করে। এ স্বতঃস্ফূর্ত জ্ঞানের আকাক্সক্ষাকে যদি মাতা-পিতা, শিক্ষক, অভিভাবকবৃন্দ সঠিক পথে পরিচালনা করতে পারেন তবে এ ছেলেমেয়েরা ভবিষ্যৎ জীবনে, কর্মক্ষেত্রে, সমাজে সাফল্য লাভ করতে পারে।
চ. নীতিবোধের চাহিদা : বয়ঃসন্ধিকালে ছেলেমেয়েদের মধ্যে নীতিরোধ জাগ্রত হয়। ভালো মন্দ, ন্যায় অন্যায়, উচিত অনুচিত বোধ সে মন থেকে উপলব্ধি করে। নিজের এবং অপরের কাজকে নীতিবোধের মানদণ্ডে বিচার করে। সমাজের রীতি নীতি, আদর্শবোধ তার বিবেককে নাড়া দেয়। নিজে নীতিবিরোধী কোনো কাজ করলে তার মনে অপরাধবোধ সৃষ্টি হয়।
ছ. নিত্য নতুন চমকপ্রদ ও অভিনব বিষয়ে আগ্রহ : প্রাত্যহিক জীবনের কার্যক্রম এ বয়সের ছেলেমেয়েদের একঘেঁয়ে এবং বিরক্তিকর মনে হয়। তারা চায় নতুন নতুন চমকপ্রদ ও অভিনব বিষয়ের মাধ্যমে আনন্দ পেতে। তারা চায় দল বেঁধে পিকনিক করতে অথবা সিনেমা দেখতে। শিক্ষককে ফাঁকি দিয়ে পাঠশালায় পলায়ন, রাতের অন্ধকারে পাড়া প্রতিবেশীর বাগানের ফল চুরি করা, সিগারেট বা মাদকদ্রব্য চেখে দেখা ইত্যাদি কাজে তাদের অসীম আগ্রহ ও নিষ্ঠা দেখা যায়। মাদকাসক্তদের কেইস হিস্ট্রি থেকে জানা যায় প্রথম মাদকদ্রব্য সেবনের অভিজ্ঞতা তাদের হয়েছে সহযোগী বন্ধুদের পরামর্শে অ্যাডভেঞ্চার করতে যেয়েই এবং পরবর্তীতে ড্রাগস এর মরণ ফাঁদে তারা জড়িয়ে পড়েছে।
জ. নিরাপত্তার চাহিদা : বেশির ভাগ কিশোর কিশোরীর মনে নিজের কর্মক্ষমতা, পরিবারের দলে অথবা স্কুলে তার অবস্থান এবং নৈতিক মূল্যবোধ এর সমন্বয়ে নানারকম মানসিক দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ দ্বন্দ্বের টানাপোড়েনে তারা আত্মবিশ্বাস হারিযে অসহায় বোধ করে। এ বয়সের চাহিদাগুলোর পাশাপাশি শাস্তি পাওয়ার ভয়ও তাদের মনে কাজ করে। ফলে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে।
ঞ. আত্ম পরিচিতির চাহিদা (Need for self identity) : এ বয়সের ছেলেমেয়েদের নিজ সম্পর্কে ধারণা পাকাপোক্ত হয়। তারা (gendr appropriate behaviour)- এর মাধ্যমে নিজের পরিচিতি প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এরিকসন ও স্তরে Identity vs.role diffusion এ দ্বন্ধের কথা বলেছেন এ বয়সের ছেলেমেয়েরা সমাজে তার স্থান ও ভূমিকা নিয়ে চিন্তা করে এবং যাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, উদ্যম ও স্বাধীনভাব অর্জিত হয়, তারা নিজেদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধনাত্মক পরিচিতি লাভ করে। অন্যদিকে, নিজ সম্পর্কে অস্পষ্ট ধারণা থাকলে অনেক সময় আত্মসংযম হারিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়ে পড়ে। কিশোর কিশোরীরা এ বয়সে মাতা-পিতার ও সমাজের মূল্যবোধকে তীক্ষèভাবে যাচাই করে আত্ম পরিচিতি গড়ে তোলে।
কৈশোর শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনের সামাজিক প্রক্রিয়া
বয়ঃসন্ধিক্ষণে মানব জীবনের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। কৈশোরে পা দেয়ার পর থে
বিশ্বের প্রগতিশীল ৩০টি শহরের শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে ভারতের বেঙ্গালুরু। এরই মাধ্যমে রীতিমত চীনকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ভারত। শহরগুলির প্রযুক্তিগত পরিবর্তন, জনসংখ্যার বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পরিকাঠামো উন্নয়ন ও গ্লোবাল কানেকটিভিটি বা বিশ্বের সঙ্গে সংযোগের উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এই তালিকা। নিচে এক নজরে দেখে নিন সেই তালিকা-
১) বেঙ্গালুরু
২) হো চি মিন সিটি
৩) সিলিকন ভ্যালি
৪) সাংহাই
৫) হায়দরাবাদ
৬) লন্ডন
৭) অস্টিন
৮) হ্যানোই
৯) বস্টন
১০) নাইরোবি
১১) দুবাই
১২) মেলবোর্ন
১৩) পুনে
১৪) নিউ ইয়র্ক
১৫) বেইজিং
১৬) সিডনি
১৭) চেন্নাই
১৮) প্যারিস
১৯) ম্যানিলা
২০) সিয়াটেল
২১) সান ফ্রান্সিসকো
২২) শেনঝেন
২৩) দিল্লি
২৪) রালেইঘন-ডারহাম
২৫) মুম্বাই
২৬) হ্যাংঝৌউ
২৭) লস অ্যাঞ্জেলস
২৮) ডাবলিন
২৯) নানজিং
৩০) স্টকহোম
ডলফিন এবং পেছনে আগ্নেয়গিরি।
শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে রাঙামাটি। অবকাশ কাটাতে প্রতিদিন অগণিত পর্যটক আসছেন নৈসর্গিক এ পাহাড়ি জনপদে। পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে রাঙামাটি যেন উৎসবের নগরীতে পরিণত হয়েছে। শহরজুড়ে পর্যটকদের ভিড়। রাঙামাটির নৈসর্গিক আবেশ আর দর্শনীয় স্থান ও নিদর্শনগুলো পর্যটকদের আকর্ষণ কাড়ে সহজেই। তাই এসব আকর্ষণীয় স্পট দেখতে প্রতি বছর শীত মৌসুমে পর্যটকরা রাঙামাটি এসে ভিড় জমান।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের তথ্য সূত্রে জানা যায়, রাঙামাটি শহরের বেড়াতে আসা পর্যটকদের ভিড়ে সবকটি আবসিক হোটেল, মোটেল, সরকারি রেস্ট হাউসে লোকজনের ভিড়। কোথাও রুম খালি নেই। এখন অনেকে ভিড় করছেন অগ্রিম বুকিংয়ের জন্য। সরকারি সাপ্তাহিক বন্ধের দিনসহ ইংরেজি নববর্ষকে সামনে রেখে পিকনিক পার্টির আগমনও লক্ষণীয়। তবে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে বেড়াতে এসে অসন্তষ প্রকাশ করেছে অনেক পর্যটক।
কারণ পর্যটকদের জন্য কোনো ধরনের সুবিধা বাড়ানো হয়নি। অনেকে এসে মনক্ষুণ্ণ হচ্ছেন। অথচ, শীত মৌসুমের শুরুতেই রাঙামাটি পর্যটন মোটেলে রাজস্ব আয় আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে নিরাপত্তারও বিঘ্ন ঘটছে। অনেক সময় কতিপয় ব্যক্তিরা এসে পর্যটকদের নাজেহাল করে। অটো-রিকশাওয়ালারা জিম্মি করে আদায় করছে ২-৩ গুণ বেশি ভাড়া। বোটওয়ালারা ইচ্ছে মতো ভাড়া নিচ্ছে। তারা পর্যটনের কোনো নিয়ম-নীতির তোয়াক্কাই করে না। এসব ক্ষেত্রে যোগসাজশের অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। যে কারণে সরকারের রাজস্ব হারানোরও ঝুঁকি বাড়ছে।
রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক আলোক বিকাশ চাকমা জানান, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সে চলতি মৌসুমে চার থেকে পাঁচ হাজার পর্যটক এসেছেন। জেলা পরিষদের উদ্যোগে পর্যটন উন্নয়নের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সেটা বাস্তবায়ন হলে পর্যটকদের সব অভিযোগ দূর হবে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন চৌধুরী জানান, রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের নিয়ন্ত্রণ জেলা পরিষদ পেয়েছে। তাই পর্যটন বিস্তারের দায়িত্ব জেলা পরিষদের। তার জন্য স্থানীয় আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বোট মালিকদের নিয়ে নীতিমালা প্রণয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এ নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে পর্যটন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন হবে। বাড়বে পর্যটকদেরও সুবিধাও। তাছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকদের জন্য টুরিস্ট পুলিশের নিরাপত্তা বিষয়েও বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হবে।
আপনি হয়তো অস্ট্রেলিয়ার প্রাণঘাতী মারাত্মক কুমির কিংবা বিষাক্ত মাকড়সার কথা শুনেছেন অথবা অনেক বইতেও পড়েছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াতে এমন ধরনের গাছ রয়েছে যার কারণে আপনি চাইবেন আপনার যেন দ্রুত মৃত্যু ঘটে। ‘ড্রেনড্রকনাইড মরইডেস’ নামক এক ধরনের প্রাণঘাতী গাছ অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রেইনফরেস্টে দেখতে পাওয়া যায়। এই গাছটি ‘আত্মহত্যার গাছ’ হিসেবে পরিচিত।
কারণ এই গাছের হুল শরীরে লাগলে তা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শোনা যায় একজন ভুক্তভোগী এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন! ঝোপঝাড়ে বেড়ে ওঠা গুল্ম হিসেবে খ্যাত এই উদ্ভিদটি গেম্পি গেম্পি, দ্য সুইসাইড প্লান্ট, মুনলাইটার নামেও পরিচিত। এই গাছটি সম্পূর্ণভাবে হুলে আচ্ছাদিত এবং এর হুল যন্ত্রণাদায়ক কারণ তা প্রবলভাবে কার্যকর উচ্চ নিওরোটক্সিন নির্গত করে। বিষাক্ত এই হুল মানব শরীরে লাগলে তা দুঃসহ যন্ত্রণাদায়ক অনুভূতি দেয়।
এই গাছের হুল শরীরে বিধঁলে তার চিকিৎসা হচ্ছে, ওয়াক্স স্ট্রিপের মাধ্যমে ত্বক থেকে গাছের হুল তুলে ফেলা এবং ত্বকের আক্রান্ত স্থানে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের দ্রবণ লাগানো। যা হোক, গাছটির হুল শরীরে লাগায় যে ব্যথা শুরু হয় তা দু’বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে। ভুক্তভোগীদের মতে, এই ব্যথা খুবই ভয়ংকর। এক ব্যক্তি তা সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছিলেন।
এক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন ‘দু বা তিন দিনের জন্য ব্যথা প্রায় অসহনীয় ছিল, আমি কোনও কাজ করতে পারিনি, ঘুমাতে পারিনি। এই যন্ত্রণা দু’বছর ধরে চলেছে এবং সবসময় আমি ঠান্ডা জলে ডুবে বসে থাকতাম। ’