বাংলাদেশের ক্লান্তিকালে দেশের দায়িত্ব নিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দিয়াছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের অধিকার।বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশের সাথে গড়ে তুলেন ভ্রাতৃত্বে বন্ধুত্ব। তার সুবাদে প্রবাসে বাংলাদেশীরা শ্রমিক হিসাবে প্রবাসে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমায়। তার ধারাবাহিকতায় মধ্যপ্রাচ্য দেশ লেবাননও বাংলাদেশীরা কর্ম নিয়ে আসার শুরু হয় ১৯৮৫/১৯৮৬ সাল। লেবানন দীর্ঘদিন যাবত ঘরোয়া এবং পাশ্ববর্তী দেশ ইসরাইলের সাথে যুদ্ধ ও মতবিরোধ লেগেই থাকে।বাংলাদেশী অল্প কয়েকজন ছিল সেই সময়।আজ ১ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী শ্রমকর্মী কাজ নিয়ে এখানে বসবাস। সারাদিন কাজকর্ম শেষ করার পর ক্লান্তি মনকে শান্তনা দেওয়ার জন্য ৭/৮ জন একত্রিত হন।চলে তাদের মধ্যে বিভিন্ন আলাপ আলোচনা। ১৯৯৪ সালে তেমনি আলোচনা শুরু হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সমর্থক কয়েকজনকে নিয়ে।১৯৯৮ সালে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়ে প্রতিষ্ঠান হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি লেবানন শাখা।শুরুতে গঠন করা হয় আহ্বায়ক কমিটি।প্রবাস জীবনে রাজনীতি ও সামাজিক কাজের নিজেদের শারীরিক -মানুষিক ও আর্থিক সবদিক দিয়ে লজ্জ।তবুও যখন একটা দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে ভালবাসেন এমন সমর্থকদের রাত্রে ঘুমের মধ্যেও দলের পদ-পদবী দায়িত্ব দিয়ে কার্যক্রম চালানো হয়। ক্রমে লেবানন প্রবাসী বাংলাদেশীর সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে নেতাকর্মীও বেড়েছে। নিজেরা নিজেদের একজনকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বানিয়ে দল চালিয়েছেন প্রায় কয়েক বছর।দলের আদর্শ, নিয়মনীতি মেনে সমর্থকদের মাঝে শুরু হয় নির্বাচনের মাধ্যমে লেবানন বিএনপি কমিটি গঠন কার্যক্রম।গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার লেবানন বিএনপি ব্যালট মাধ্যমে এ যাবত তিন-তিনটি কমিটি গঠন কার্যক্রম অতিবাহিত হয়। ২০১৫-২০১৬ সালের কমিটি সময়সীমা শেষ হওয়ার পর গঠন হয় আহবায়ক কমিটি।দলের নেতাকর্মীদের মতামত নিয়ে একের অধিক প্রার্থীছিল তাই ব্যালট পেপারের মাধ্যমে নির্বাচন দিয়ে গঠিত হয় ২০১৭-২০১৮ সালের নির্বাচিত কমিটি।তিনটি পদ-পদবী যথাক্রমে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক। সভাপতি :-মো: মফিজুল ইসলাম বাবু,সাধারণ সম্পাদক:- মো: জাকির হোসেন জাকির ও সাংগঠনিক সম্পাদক :- হাবিবুর রহমান হাবিব নির্বাচিত হয়ে ১৪৯ জন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তৈরী বা ঘোষণা করেন।বিন্দু থেকে সিন্দুক হয়ে শহীদ জিয়ার আদর্শকে বুকে ধারন করে লেবাননে জনপ্রিয়তার শীর্ষে চলে আসে লেবানন বিএনপি। দলের ভালবাসায় সকল নেতৃবৃন্দ প্রাণপন কাজ করে যাচ্ছেন। আর ২০১৭ সাল লেবানন বিএনপির ইতিহাস স্বর্নাক্ষরে লিখা থাকবে। লেবানন বিএনপির সহ সাধারণ সম্পাদক :ওয়াসীম আকরাম ও বেলজিয়াম বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক আলম হোসেন এর সার্বিক যোগাযোগ, সহযোগিতায় এবং সৌদি আরব বিএনপি পঃ সভাপতি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহি কমিটির সদস্য আহমেদ আলী মুকিব এর আপ্রাণ চেষ্টায় লেবানন কমিটি ঢাকায় বিএনপি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয় পৌঁছে। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ বিএনপি'র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি লেবানন শাখা। ১৯ বছর পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষরিত লেবানন বিএনপির ১৪৯ সদস্য বিশিষ্ট্য কমিটির অনুমোদন কপি লেবানন বিএনপির সভাপতি মো: মফিজুল ইসলাম বাবুর হাতে চলে এসেছে।
আর তারই খবরে মিষ্টি বিতরণ, আনন্দ মিছিলে মেতে উঠেছে নেতৃবৃন্দ। এবিষয়ে জানতে চাইলে লেবানন বিএনপির সভাপতি মো: মফিজুল ইসলাম বাবু জানান, আমরা দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর দলের স্বার্থকতা পেয়েছি, দলের প্রতি আমাদের ভালবাসা, আমাদের কর্ম পরীক্ষীত বলেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কমিটির ভালবাসা পেয়েছি, দেশমাতার ভালবাসা পেয়েছি। সেই সাথে মো:মফিজুল ইসলাম বাবু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান এবং দেশনেত্রী যখনই ডাক দেবে লেবানন বিএনপি প্রবাস থেকেও দেশমাতার ডাকে সাড়া দিয়ে দেশমাতার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবেন বলে জানান। অন্যদিকে লেবানন বিএনপির নেতৃবৃন্দ এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠাতা দল বিএনপি শুধু লেবাননে নয়,বাংলাদেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল, সারা বিশ্বে এটি জনপ্রিয় দল।
এ দল জনগণের জনপ্রিয়তা নিয়ে তিন-তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছিল। বিএনপি জনগনের ও গনতন্ত্রের দল। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, গত ১৯বছর অনুমোদন বিহীন দলের জন্য কাজ করেছি। কোনদিন অনুমোদনের প্রয়োজন মনে করিনি, কারন বিএনপি জনগনের দল, বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার আছে বিএনপিকে ভালবাসা, দেশ বাঁচাতে দলের নির্দেশ রাজপথে ঝাঁপিয়ে পরা। আর এখন অনুমোদন দিয়ে আমাদের উদ্দীপনাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই লেবানন বিএনপির পক্ষ থেকে দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি শ্রদ্ধা পোষন,কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতির আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সৌদি আরব বিএনপির সভাপতি আহমদ আলী মুকিবকে লেবানন বিএনপির পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মান জানান। তিনি লেবানন না আসলে হয়ত এত অল্প সময়ে লেবানন বিএনপি অনুমোদন হতোনা বলেও জানান নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন, সভাপতি মো: মফিজুল ইসলাম বাবু, সাধারন সম্পাদক মো:জাকির হোসেন জাকির, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রধান উপদেষ্টা আমীর হোসেন কলিম, সিনিয়র সহ সভাপতি মো: নজরুল ইসলাম মজুমদার, সহ-সভাপতি আবু বকর ছিদ্দিক,আমিনুল ইসলাম আইমান, সাহাদাত হোসেন, জসিম উদ্দিন সরকার, মনির হোসেন সরকার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মজিবর হক, সহ সাধারন সম্পাদক ওয়াসীম আকরাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদুল ইসলাম শ্রাবন।