চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ বহিরাগত তরুণ-তরুণী আটক করেছে প্রশাসন। পরে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ভেতরে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত তরুণীর (১৮) বাড়ি ফতেয়াবাদে। তিনি নগরীর কুলগাও সিটি করপোরেশন মহিলা কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী। আর আটক তরুণ (২৮) সরকারি সিটি কলেজের এমবিএ শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন পুলিশের এসআই নুরুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেতরে পাহাড়ের পাদদেশ থেকে আপত্তিকর অবস্থায় তাদের দুজনকে আটক করা হয়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নন। পরে প্রক্টর স্যারের কাছে নিয়ে গেলে তিনি তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিতে বলেন।’
এ বিষয়ে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ‘তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আর এ ধরনের কাজ করতে আসবে না বলে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বহিরাগতরা এখানে এসে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি করবে তা আমরা চাই না।’
মুজাহিদুল ইসলাম সোহেল, নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সুবর্ণচরের চরজব্বর ডিগ্রি কলেজের নাম জাতীয়করণের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। সোমবার দুপুরে কলেজের সামনে সোনাপুর-স্টীমারঘাট সড়কে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রত্যদর্শীরা জানান, দুপুর বারটার দিকে কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী জাতীয়করণের তালিকা থেকে চরজব্বর ডিগ্রি কলেজের নাম বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে এবং জাতীয়করণের তালিকায় নাম পুণরায় অর্ন্তভূক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরে তারা কলেজের সামনে হারিছ চৌধুরীর বাজারে গেলে এলাকাবাসী তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।
সূত্র জানায়, এ সময় শিক্ষার্থীরা সোনাপুর-স্টীমারঘাট সড়কের হারিছ চৌধুরীর বাজারসহ কয়েকটি স্থানে অবরোধ করে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ অবরোধের কারণে সড়কটিতে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এর আগে শিক্ষার্থীরা কলেজের প্রশাসনিক ভবন ও একাডেমিক ভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, উপজেলা সদরের কলেজ হিসেবে সরকার চরজব্বর ডিগ্রি কলেজকে জাতীয়করণের সিদ্ধান্ত নেয়। যার আলোকে সরকারিভাবে প্রকাশিত ১৯৯টি বেসরকারি কলেজ জাতীয়করণের চূড়ান্ত তালিকায় চরজব্বর ডিগ্রি কলেজের নাম উঠে আসে। কিন্তু একটি বিশেষ মহলের ইন্ধনে পরবর্তীতে চরজব্বর ডিগ্রি কলেজের নাম বাদ দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীরা জাতীয়করণের দাবি বাস্তবায়ন না করা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন এবং অবহেলিত সুবর্ণচরের শিক্ষার মান উন্নয়নে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বরগুনা : জেলার বামনা উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে ফারুক সিকদার (৪৫) নামে এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ধর্ষককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
সোমবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। ভিকটিম মেয়েটি বামনা উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের হতদরিদ্র দিনমজুরের মেয়ে।
স্থানীয় ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভাব অনাটনের কারণে কিশোরীর লেখাপড়া করা সম্ভব হয়নি। দারিদ্রতার সুযোগে পাশের বাড়ির লম্পট মুদি দোকানদার মো. ফারুক সিকদার (৪৫) এক বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে কিশোরীকে কু-প্রস্তাব দেয়াসহ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।
সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কিশোরী পাশের বাড়িতে টিভি দেখার জন্য ঘর থেকে বের হলে সামনের রাস্তায় ওৎ পেতে থাকা ফারুক সিকদার তার মুখ চেপে ধরে আবু সিকদারের বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় কিশোরীর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষককে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় কিশোরী বাদী হয়ে বামনা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
এ বিষয়ে বামনা থানার ওসি মো. শাহাবুদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হয়েছে। ধর্ষক এ কথা স্বীকারও করেছে। মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) ধর্ষিতা কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা হাসপাতালে এবং আসামিকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে বরগুনা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন চার জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্রসহ জিহাদি বেশ কিছু পোস্টার-লিফলেট জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে উপজেলার চরকাটারি, বাটামারা, বাগুটিয়া ও জিয়ানপুর ইউনিয়নে যৌথ বাহিনী এ অভিযান শুরু করে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে সারা দেশের চর এলাকাগুলোতে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস মোকাবিলায় এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।’
গাজীপুরে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ১০ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের জিরানী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জয়দেবপুর থানার চক্রবর্তী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই হারুন অর রশীদ জানান, সকালে নবীনগর থেকে চন্দ্রাগামী একটি বাস জিরানী এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তা থেকে ১০-১২ ফুট নিচে পড়ে যায়।
এ সময় বাসে ২৫-৩০ জন যাত্রী ছিল। বাস থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বাসের নিচে কেউ চাপা পড়ে আছে কি না তা বাসটি উদ্ধারের পর বলা যাবে।
যশোর পুলিশের প্রকাশিত তালিকায় এক নম্বরে থাকা ‘জঙ্গি’ কামরুজ্জামান তুহিন ওরফে মুন্না ঘরে ফিরে এসেছেন। তবে খালি হাতে নয়। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন সদ্য বিয়ে করা বউকে।
সোমবার ভোরে নববধূকে নিয়ে যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার নিজ বাড়িতে ফেরেন মুন্না। তিনি ওই এলাকার আবদুস সোবহানের ছেলে।
এরপর বেলা ১১টার দিকে আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীকে নিয়ে মুন্না কোতোয়ালি থানায় হাজির হন। থানায় অবস্থানকালে মুন্না সাংবাদিকদের বলেন, দুই বছর আগে টেলিভিশনে খেলা দেখা নিয়ে মায়ের সঙ্গে রাগারাগি করে ঢাকায় চলে যান। বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না তার। গত শনিবার (২৩ জুলাই) মোবাইল ফোনে বিয়ে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে জানতে পারেন পুলিশের সন্দেহভাজন জঙ্গি তালিকায় তার নাম রয়েছে।
এদিকে, বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে শনিবার রাতে পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় চলে যান। পরদিন রোববার (২৪ জুলাই) দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে পুরান ঢাকার ইসলামবাগ এলাকার মনির খানের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তারের সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।
জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করে কামরুজ্জামান মুন্না বলেন, ২০১৪ সালের জুলাই মাসে মায়ের সঙ্গে রাগারাগি করে ঢাকায় যাওয়ার পর কেরানীগঞ্জের জিনজিরা এলাকায় একটি ডেকোরেটরের দোকানে কাজ নেন। এরপর পুরান ঢাকার ইসলামবাগে মাইশা প্লাস্টিক কোম্পানিতে চাকরি নেন। সেখানে থাকার সুবাদে ইয়াসমিন আক্তারের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে মেয়ের পরিবার বিষয়টি জানতে পারে। এরপর মেয়ের পরিবার থেকে বলা হয় অভিভাকরা না এলে বিয়ে হবে না। এরপর মুন্না বাড়িতে যোগাযোগ করে বিয়ের কথা জানান। দুই বছর পর ছেলের সন্ধান পেয়ে মুন্নার স্বজনরা ঢাকায় যায়। এরপর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।
তার ছোটভাই যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ছাত্র আবদুল আহাদ জানান, মুন্না নিখোঁজের বিষয়ে তারা যখন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে আসেন তখন যা লিখতে চেয়েছিলাম, পুলিশ তা গ্রহণ করেনি। পুলিশ নিজ ইচ্ছামতো জিডি লিখেছে, যেখানে আমার ভাইকে জঙ্গি হিসেবে সাব্যস্ত করা হয়েছে।’ আবদুল আহাদ আরও জানান, যেহেতু ভাই ফিরে এসেছে, তাই আরেকটি জিডি করতে চাই। জিডি লিখেও এনেছি। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত ডিউটি অফিসার জিডি নেননি।
এদিকে মুন্না থানায় আসার খবরে বেলা পৌনে একটার দিকে কোতোয়ালি থানায় আসেন যশোরের পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান। তিনি থানার অফিসার, মুন্না ও তার স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন।
থানায় এসপি সাংবাদিকদের বলেন, ‘মুন্নার পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি করে বলা হয়েছিল সে নিখোঁজ, জঙ্গি তৎপরতায় সংযুক্ত হতে পারে। পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা তার খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারে প্রায় তিন বছর তার খোঁজ নেই। ফলে তাকে জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত বলে ধরে নেয় পুলিশ।’
পুলিশের প্রকাশিত তালিকার জঙ্গিরা
পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, 'এখন মুন্না পুলিশ হেফাজতে থাকবে। তার তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে নির্দোষ বুঝতে পারলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আর দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী তাকে আইনগত সহায়তাও দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, রোববার (২৪ জুলাই) জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় পুলিশ পাঁচজন জঙ্গির ছবি সংবলিত পোস্টার হস্তান্তর করেছে কমিটির সদস্যদের মধ্যে। ওই পোস্টারে যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আবদুস সোবাহানের ছেলে কামরুজ্জামান তুহিন ওরফে মুন্নার (২৪) নাম ও ছবি রয়েছে। পুলিশের তালিকাভূক্ত অপর চার সন্দেহভাজন জঙ্গি হলেন, যশোর সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া এলাকার কাজী হাবিবুল্লাহার ছেলে ও সরকারি এমএম কলেজের ছাত্র কাজী ফজলে রাব্বি (২১), শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাজি গ্রামের আওরঙ্গজেবের ছেলে মেহেদী হাসান জিম (১৯), যশোর শহরের ধর্মতলা এলাকার আবদুস সালামের ছেলে রায়হান (২১) ও মণিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মৃত হাসান আলী গাজীর ছেলে জিএম নাজিম উদ্দিন ওরফে নকশা নাজিম (৪২)।
এদিকে মুন্না নববধূ নিয়ে ফিরে আসায় পুলিশের ‘মনগড়া’ জঙ্গির সন্দেহে পাঁচজনের পোস্টার ও তালিকা প্রকাশ ঘটনায় ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রশাসন ছাড়া ছাত্রলীগকে মাঠে নেমে লড়াই করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ও রংপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জহির আলম নয়ন।
রংপুরের যেকোনো প্রান্তে ছাত্রলীগের সঙ্গে ছাত্রদল লড়তে প্রস্তুত এমনটাই দাবি করে জহির আলম নয়ন বলেন, ‘২০ মিনিটের বেশি ছাত্রলীগকে টিকতে দিব না। ছাত্রলীগের একজনও সোজা হয় দাঁড়াতে পারবে না।’
বোরবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হল থেকে ছাত্রদলের কর্মীদের পিটিয়ে হল থেকে বের করে দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগকে এমন হুশিয়ারি দিয়েছেন ওই ছাত্রদল নেতা।
জহির আলম নয়নের ‘Jcd Nayon’ নামের ফেসবুক আইডিতে দেয়া একটি পোস্টে এ হুশিয়ারি দেখা গেছে।
ফেসবুকে লেখা বিবৃতিটি তুলে ধরা হলো- ‘তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ এবং ছাত্রলীগকে চ্যালেঞ্জ’
‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রহসনের রায়ের প্রতিবাদে গতকাল (শুক্রবার) ছাত্রদল বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিক্ষোভ মিছিল করায় হলে ঘুমন্ত অবস্থায় আলামিন ও শাহিন নামের বেরোবি ছাত্রদলের ২ জন কর্মীর ওপর ছাত্রলীগের কুলাংগাররা চোর ডাকাতের মতো করে তাদের রুমে ঢুকে আক্রমণ করে নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং প্রচণ্ড মারধোর করে পুলিশ পাহারায়, পুলিশ ক্যাম্পাস ঘিরে রাখছে। এখনও অনেক নেতাকর্মীকে হলে আটকিয়ে ছাত্রলীগ নির্যাতন চালাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানাচ্ছি। ছাত্রলীগকে স্পষ্টভাবেই বলছি মধ্যরাতে হলে ঘুমিয়ে থাকা নেতাকর্মীদের ওপর এরকম অতর্কিতে পুলিশ পাহারায় হামলা করে প্রমাণ করে দিল যে ছাত্রলীগ কাপুরুষের দল। ছাত্রলীগকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম তোমাদের যদি শক্তি ও সাহস থাকে তো পুলিশ, র্যাব এসব বাদে রংপুরের যেকোনো প্রান্তে তোমাদের সঙ্গে আমরা লড়তে প্রস্তুত, ২০ মিনিটের বেশি তোমাদের টিকতে দিব না। ছাত্রলীগের একজনও সোজা হয় দাঁড়াতে পারবে না। আর এসব কিছুর মাশুল দিতে হবে হবেই।’
উল্লেখ্য, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে শুক্রবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল ক্যাম্পাসে ঝটিকা মিছিল করে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং শহীদ শুখতার ইলাহী হলে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী হলে অবস্থানরত ছাত্রদল কর্মী ছাড়াও সাধারণ ছাত্রদের মারধর করে বের করে দিয়েছে। এর মধ্যে কামরুল ইসলাম ও শুভ নামে দুজনের অবস্থা গুরুতর।
রোববার বিকেলে এ ঘটনাকে কেন্দ্র ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি থমথমে মনে হলে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
যশোরের নিখোঁজ ৫ যুবক ‘জঙ্গি’ তৎপরতার মধ্যে আছে বলে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তাদের ব্যাপারে তথ্য জানতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ছবি ও বায়োডাটাসহ পোস্টার তৈরি করা হয়েছে।
রোববার (২৪জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে কমিটির প্রত্যেক সদস্যের হাতে নিখোঁজ যুবকদের পোস্টার তুলে দেয়া হয়।
যুবকরা হলেন- শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মুরাদ হোসেনের ভাড়াটিয়া আব্দুস সোবহানের ছেলে কামরুজ্জামান তুহিন ওরফে মুন্না (২৪) সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া কাজী হাবিবুল্লাহর ছেলে ফজলে রাব্বি (২১), শার্শা উপজেলার শ্যামলাগাছি গ্রামের আওরঙ্গজেবের ছেলে মেহেদি হাসান জিম (১৯), যশোর শহরের ধর্মতলা মোড় এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে রায়হান (২১) ও মণিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মৃত হাসান আলী গাজীর ছেলে জিএম নাজিমউদ্দিন ওরফে নকশা নাজিম (৪২)।
এদিকে নিখোঁজ যুবকদের মধ্যে যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার কামরুজ্জামান তুহিন ওরফে মুন্নার বাবা আব্দুস সোবহান ও মা কমলা বিশ্বাসসহ এলাকাবাসী বলেছে, মুন্না এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে পরিচিত। তার স্বভাব চরিত্র ভালো ছিলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন চা দোকানি বলেন, এলাকায় যদি পাঁচটা ভালো ছেলে থাকে তার মধ্যে সে (মুন্না) রয়েছে। তার সম্পর্কে কোনদিন খারাপ কিছু চোখে পড়েনি। তার নিখোঁজের পর পুলিশ এবিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, লোকে বলাবলি করছে সে না-কি জঙ্গি হয়ে গেছে। ঢাকায় না-কি জামায়াত-শিবির করার কারণে পুলিশের হাতেও মার খেয়েছিল। মুন্নার কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আসলে তারা কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানিয়েছেন, রোববার জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নিখোঁজ ওই যুবকদের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে আমরা জানিয়েছি। থানায় সংরক্ষণ করার জন্য তাদের ছবি সরবরাহ করা হয়েছে। এখন থেকে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিখোঁজ যুবকদের খোঁজ নেয়ার জন্য পুলিশ তৎপর হচ্ছে।
বিএনপির ডাকা অর্ধদিবস হরতালে কোনো প্রভাব পড়েনি জনজীবনে। সকাল থেকে হরতাল আহ্বানকারী দল বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকেই মাঠে দেখা যায়নি।
হরতাল ডেকে ঘর থেকেই বের হয়নি দলটির শীর্ষ পদের নেতারা। তবে সকাল সাড়ে ৮টায় হরতালবিরোধী মিছিল করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। মিছিলটি শহরের সাতমাথা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বের হয়ে থানামোড় প্রদক্ষিণ করে আবারো দলীয় কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। সকাল থেকে শহরে সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
দুরপাল্লার যানবাহনগুলো কোনো বাধা ছাড়াই চলাচল করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হয়েছে যথা সময়ে। শুধুমাত্র শহরের বিয়াম স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ তাদের পরীক্ষা স্থগিত করেছে। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত শহর এবং শহরতলীতে হরতালের সমর্থনে কোনো মিছিল এবং পিকেটিংয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
তবে পুলিশের প্রস্তুতি ছিল ব্যাপক। শহরের সাতমাথায় জলকামান এবং রায়টকার প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি শহরে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। জেলার অন্যান্য উপজেলাগুলোতেও হরতালের কোনো প্রভাব নেই বলে জানা গেছে।