কুমিল্লায় দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জনসহ নিহত ৫
লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাকসামের ছিলোনিয়া ব্রীজের কাছে একটি প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খালে পড়ে পানিতে ডুবে একই পরিবারের ৩ শিশুসহ ৫জন নিহত ও অপর ৩জন আহত হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৭টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দূর্ঘটনার পর পর চালক পালিয়ে যায়। জানা যায়, লাকসাম-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কে নোয়াখালীর চাটখিল থেকে থেকে ঢাকাগামী কারটি লাকসামের ছিলোনিয়া এলাকায় ব্রীজ অতিক্রম করা কালে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পাশ্ববর্তী খালে পড়ে পানিতে ডুবে যায়। এ সময় ওই গাড়ীতে থাকা চাটখিল উপজেলার সোবহানপুর গ্রামের কাবার্ডভ্যান যাত্রী ঢাকা আল আরাফাহ ব্যাংকে কর্মরত আনোয়ারুল কবির সোহাগ (৪০), তার ছেলে সাহেদ আল মুন্তাকিম শাহীন (৪), বার্জার পেইন্টে কর্মরত একই এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে শাহাবুদ্দিন রবি (৪৫), তার মেয়ে রাইকা তাবাসুম (৭), অপর মেয়ে রাইসা মুনকতাসির (১২) পানিতে ডুবে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
এছাড়া নিহত শাহাবুদ্দিন রবির স্ত্রী জান্নাতুম নাঈম (২৯), তার কন্যা মাহী মুনতাসির (৬), নিহত আনোয়ারুল কবির সোহাগের স্ত্রী অন্তঃসত্তা স্ত্রী মারজান বেগম নিশু (৩২) গুরুতর আহত হয়। আহতদের কুমিল্লা ও লাকসামের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর পরই লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, লাকসাম পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, লাকসাম ক্রসিং হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট মোঃ ইব্রাহিম খলিল ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধারকাজ তদারকী করেন। লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ আশরাফুর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ শুরু করে।
খবর পেয়ে লাকসাম থানা পুলিশ, লালমাই হাইওয়ে পুলিশ, লাকসাম ফায়ার সার্ভিস ও কুমিল্লা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ঘটনাস্থলে পৌছে পানির নিচ থেকে দূর্ঘটনাকবলিত কাবার্ডভ্যান ও নিহত যাত্রীদের উদ্ধার করে। কাবার্ডভ্যান চালকের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি, ধারনা করা হচ্ছে দূর্ঘটনার সাথে সাথে চালক পালিয়ে গেছে। এর আগে মাত্র ২২ দিন আগে গত ২৭ আগষ্ট লক্ষীপুর থেকে ঢাকা বিমান বন্দরগামী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একই স্থানে খালে পড়ে একই পরিবারের ৩জনসহ ৫জন নিহত হয়েছিল।