যাত্রাবাড়ীতে একটি রেস্টুরেন্টে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৫
বেদখল যাত্রী ছাউনি উচ্ছেদে গড়িমসি
রাজধানীতে প্রায় দুই শতাধিক যাত্রী ছাউনি থাকলেও বেশিরভাগ অবৈধ দখলে। তাই প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন নগরীর বাসযাত্রীরা।
দেশের বেশিরভাগ মানুষ রাজধানীমুখী। প্রতিদিন রাজধানীতে আসছে মানুষ। বাড়ছে গণপরিবহন। তবু প্রয়োজনের তুলনায় গণপরিবহন খুব কম। বাসের জন্য অপেক্ষা তাই নিত্যদিনের ঘটনা। তবে অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত যাত্রী ছাউনি।
উত্তর সিটির এক পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, রাজধানীতে তাদের সীমানা এলাকায় যাত্রী ছাউনি রয়েছে ১২৯টি। এর মধ্যে ৯৬টি সিটি করপোরেশনের। এসবের মধ্যে ১৮টি ছাউনি উত্তর সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ও অন্যান্য সংস্থার অনুমোদিত যাত্রী ছাউনি রয়েছে ১৫টি। এ সব যাত্রী ছাউনির মধ্যে ব্যবহারের জন্য ৭৭টিই মেয়াদোত্তীর্ণ। এর মধ্যে চুক্তি নবায়ন হয়েছে ৬১টির। আর সংস্কারযোগ্য যাত্রী ছাউনি রয়েছে ১০টি। এছাড়া উচ্ছেদযোগ্য ১৩টি যাত্রী ছাউনি রয়েছে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, সিটি করপোরেশন বিভক্ত হওয়ার পর দক্ষিণ সিটি এলাকায় ৮৬টি যাত্রী ছাউনি ছিল। এর মধ্যে একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানিকে ৫৭টি যাত্রী ছাউনি ইজারা দেওয়া হয়। তারা ৩২টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে। এছাড়া অন্য বেসরকারি কোম্পানি আরো ২৯টি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে। মোট ৬১টি যাত্রী ছাউনি ২০০৭ সালে চুক্তির মাধ্যমে পাঁচ বছর মেয়াদে বরাদ্দ দেওয়া হয়, যা ২০১২ সালে শেষ হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ যাত্রীদের সুবিধার্থে গত আশির দশকে এ সব যাত্রী ছাউনি তৈরি করা হলেও এ সব ছাউনিতে তেমন একটা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। বর্তমানে বেশিরভাগ যাত্রী ছাউনির বেহাল দশা। সেসব স্থানে নানা প্রকার পণ্য সামগ্রীর দোকান বসেছে।
আবার কোনো ছাউনির পুরোটাই দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ এদের উচ্ছেদে নীরবতা পালন করে যাচ্ছে।
ভাঙাচোরা লোহা, পুরনো মরচে পড়া স্টিল আর মেয়াদোত্তীর্ণ সিমেন্টের তৈরি এ সব ছাউনি দেখলে কেউ আর এর নিচে বিশ্রামের জন্য দাঁড়াতে চান না। কিছু ছাউনি ব্যবহারের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে।
উচ্ছেদের যোগ্য হয়ে পড়ে আছে বেশ কিছু যাত্রী ছাউনি। বর্ষায় বৃষ্টি আর গ্রীষ্মে প্রচণ্ড রোদ থেকে যাত্রীদের রক্ষা করতে ও বাস থামার নির্দিষ্ট স্থানে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এ সব যাত্রী ছাউনি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু তা যাত্রীদের কোনো কাজে আসছে না।
উপরন্তু এসব যাত্রী ছাউনি অনর্থক ফুটপাতের ওপরের জায়গা দখল করে গড়ে তোলায় নাগরিকদের চলাচলে ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ছাউনির কারণে সৃষ্ট সমস্যা সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের গোচরে থাকলেও অজ্ঞাত কারণে এ সব উচ্ছেদযোগ্য ছাউনিগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে না।
দুই সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিন দেখা গেছে, আবদুল্লাহপুর যাওয়ার পথে বিমান বন্দর বাস স্টপেজের সামনের ছাউনি, শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডের দুটি ছাউনিতেই বসার জায়গা নেই। ফার্মগেটের আনন্দ সিনেমা হলের উল্টো দিকের যাত্রী ছাউনি ঝুঁকিপূর্ণ। গুলিস্তানে স্টেডিয়ামের উল্টো দিকে বাস স্টপেজের সামনের যাত্রী ছাউনির পুরোটাই হকারদের দখলে। প্যান্ট, শার্টসহ রয়েছে রকমারি বেল্টের দোকান। যাত্রী বসার ব্যবস্থা তো দূরের কথা, দোকানিদের জায়গা দখলের কারণে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়াই দুষ্কর হয়ে পড়েছে। বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনের যাত্রী ছাউনিতে ভাজাপোড়া তৈরি করে বিক্রি করা হচ্ছে। কাকরাইল মোড়ের দিকে যাওয়ার পথে শান্তিনগরের যাত্রী ছাউনির অবস্থাও নাজুক। মূলত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের যাত্রী ছাউনির চিত্র একই রকমই।
এছাড়া ফার্মগেট থেকে শাহবাগে যেতে শাহবাগ মোড়ে যাত্রী ছাউনি থাকলেও বাংলামোটরের কোনো স্থানেই কোনো যাত্রী ছাউনি নেই। অথছ নিয়মিত সব বাস থামানো হয় সেখানে। কাওরান বাজার ও ফার্মগেটের মাঝামাঝি একটি ছাউনি থাকলেও সেখানে বাস থামে না কখনই। ফলে যাত্রীদের কোনো উপকারেই আসছে না এটি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, যাত্রী ছাউনিগুলো দীর্ঘদিন আগে তৈরি করায় বেশ কিছু যাত্রী ছাউনি ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। এসব যাত্রী ছাউনি যাত্রীদের তেমন কোনো কাজে আসছে না। আগামীতে ঢাকার পরিবহন পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রেখে জরিপ করে যেসব স্থানে নতুন জায়গায় ছাউনি নির্মাণ করা প্রয়োজন সেসব স্থানে নতুন করে যাত্রী ছাউনি তৈরি করা হবে।
নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিকল্পিতভাবে যাত্রী ছাউনি নির্মাণের মাধ্যমে একদিকে যেমন উপকৃত হবেন নগরবাসী, তেমনি যাত্রী ছাউনি কেন্দ্রিক বাস স্টপেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা গেলে যেখানে-সেখানে গণপরিবহন থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা বন্ধ হবে।
রামপুরায় গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু !
রাজধানীর রামপুরায় রুপালী (১৭) নামে এক গৃহকর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেকে) কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রুপালী রামপুরা বনশ্রী রোড নং-৭ বাড়ি নং-৮/এ ব্লক সি সাত তলা ভবনের তৃতীয় তলার জহিরুল ইসলামের বাসায় কাজ করতো।
রাত ৮টায় জহিরুলের ছেলে তানজিরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বারান্দায় খেলা করার সময় গ্রিলের সঙ্গে রুপলীর গলায় ওড়না পেচিয়ে যায়। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে ঢামেকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক পুলিশ বক্সের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, রুপালীর মরদেহ ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে।
মোহাম্মদপুরে বাঁশবাড়ী বস্তিতে নাশকতা!
দুর্যোগ কখন ঘটবে তার ভবিষ্যদ্বাণী কেউ করতে পারে নাঃ মেয়র আনিসুল হক
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, ‘ঢাকাকে সব ধরনের দুর্যোগ থেকে বাঁচাতে ঢেলে সাজানোর জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আর এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সব বিভাগকে একসূত্রে গেঁথে একটা পরিবার হিসেবে কাজ করছি। দুর্যোগ কখন ঘটবে তার ভবিষ্যদ্বাণী কেউ করতে পারে না। এজন্য আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। ’ রাজধানীর বারিধারায় ডিএনসিসির ওয়ার্ডগুলোর দুর্যোগঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা পরিস্থিতি নিয়ে করা গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আনিসুল হক বলেন, প্রতিটি এলাকায় উন্মুক্ত জায়গা রাখা জরুরি, যেন বিপদে মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে। আর এই কূটনৈতিক এলাকার নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ৮০০ ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ঢাকা উত্তরের প্রতিটি এলাকায় এলইডি সড়কবাতি পৌঁছে দিতে ৪৪২ কোটি টাকার বাজেট একনেকে পাস হয়েছে। আগামী বছর মার্চের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কোনো জায়গা আর অন্ধকার থাকবে না বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির পরিবেশ ও জলবায়ু সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. তারিক বিন ইউসুফসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ২০ জন কাউন্সিলর। জাপানের কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষকের ডিএনসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের দুর্যোগঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা পরিস্থিতি নিয়ে সম্পন্ন করা গবেষণা প্রতিবেদনে বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ডিএনসিসির অবকাঠামোগত, সামাজিক, প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক সামর্থ্য সূচকে অবস্থান বেশ ভালো। তবে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা অর্জনে এখনো অনেক কাজ করতে হবে।
মোহাম্মদপুর বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে
সবুজবাগে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী ও তার বন্ধু আটক
বইমেলায় আজ ভালোবাসার আমন্ত্রণ
ভালোবাসা আর বই যেন একই সুত্রে গাঁথা। প্রিয়জনকে যে কথা মুখে বলা যায় না, লেখক সে কথাই যেন বলে দেন প্রেমিকের হয়ে। সেজন্যই প্রেমিক মন খোঁজে বইয়ের আশ্রয়। প্রিয়জনের হাতে তুলে দেয় প্রেমের প্রিয় পংক্তিমালা। মনের কথা কবির পংক্তিমালায় ভর করে প্রেমিককে জানান দেয় ভালোবাসার। লাল গোলাপের সঙ্গে নতুন বই তুলে দিয়ে প্রিয়জনকে আজ অনেকেই করবেন প্রেম নিবেদন। আজ ভালবাসা দিবসে তাই বইমেলাই হয়ে উঠবে যেন প্রধান গন্তব্য। গতকাল বসন্ত উত্সবে মেতে বইমেলাকে রাঙিয়ে তুলেছিল তরুণ-তরুণীরা। আজ ভালবাসায় ভিজবে বইমেলা। তাই সকাল থেকেই মেলা জমে উঠবে বলে মনে করছেন প্রকাশকরা। ভালবাসা দিবস উপলক্ষে বইমেলার স্টলে স্টলে চলে এসেছে উপন্যাস, গল্প, কবিতার বই।
বসন্ত জাগ্রত দ্বারে।/ তব অবগুণ্ঠিত কুণ্ঠিত জীবনে/ কোরো না বিড়ম্বিত তারে — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের এ আহ্বানে সাড়া দিয়েই বসন্তকে দুরে ঠেলে দেয়নি রাজধানীবাসী। গতকাল বসন্ত উত্সবের ঢেউ এসে আছড়ে পড়েছে বইমেলা প্রাঙ্গনে। অমর একুশে গ্রন্থমেলায় লেগেছিল বসন্তের রঙ। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনে মেলা প্রাঙ্গণকে ঘিরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক, শিল্পকলা একাডেমি, শহীদ মিনারসহ পুরো বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নেমেছে মানুষের ঢল। বসন্তের প্রথম দিন সবারই গন্তব্য ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও গ্রন্থমেলা। কারণ সকাল থেকেই ঢাবির চারুকলার বকুলতলায় বসন্ত বরণের উত্সব চলেছে। মেয়েরা বাসন্তী রঙের শাড়ি বা সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে হাতে-খোঁপায় হলুদ গাদা ফুলসহ বাহারি ফুলে নিজেদের সাজিয়ে আসে মেলা প্রাঙ্গণে। সেই সঙ্গে হাতে বাজে রিনিঝিনি শব্দে কাঁচের চুড়ি। অনেকে আবার পরিবারসহ মেলায় এসেছে বসন্তের সাজে। পুরুষরাও নিজেদের সাজ-পোশাকে রেখেছে বসন্তের ছোঁয়া। বসন্তের প্রথম দিনে আজ মেলার অন্যান্য দিনের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি বিক্রি হয়েছে বলে প্রকাশকরা জানান। শুধু পাঠকদের মাঝেই না, বসন্তের এ আগামনী ছোঁয়া লেগেছিলো স্টলগুলোতেও। বিক্রয়কর্মীরাও সেজে এসেছিলেন বসন্তের রঙে। প্রতিটি স্টলে ছিল বইপ্রেমীদের ভিড়। যাচাই বাছাই করে তাদের পছন্দের লেখকের বইটি কিনতে দেখা গেছে।
এদিকে, ফাগুনের প্রথম দিনে বরেণ্য ব্যক্তিদের স্মরণ করে মেলার ১৩ চত্বরের নামকরণ করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমি। এদের মধ্যে রয়েছেন— আবদুল গফুর হালী, শওকত ওসমান, সরদার জয়েনউদ্্দীন, মদনমোহন তর্কালঙ্কর, আমীর হোসেন চৌধুরী, দীনেশচন্দ্র সেন, আহসান হাবীব, আবদুল্লাহ আল-মুতী শরফুদ্দীন ও নূরজাহান বেগম। এছাড়াও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নামে আরেকটি চত্বরের নামকরণ করা হয়েছে।
মেলায় গোলাম মুরশিদের ‘আলোকিত মুখচ্ছবি’
গবেষক অধ্যাপক ড. গোলাম মুরশিদের নতুন বই ‘আলোকিত মুখচ্ছবি’ প্রকাশ করেছে অবসর প্রকাশনা সংস্থা। এ বইটি স্মৃতিকথাধর্মী, লেখকের সান্নিধ্যে আসা দেশ-বিদেশের গুণীজনের প্রতি তাঁর শ্রদ্ধাঞ্জলি। মোট ৩১ জন গুণীর সঙ্গে লেখক তার স্মৃতি তুলে ধরেছেন বইটির প্রতিটি পাতায়। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন ধ্রুব এষ। বইটির মূল্য ৫৭৫ টাকা।
নতুন বই
গতকাল মেলার ১৩তম দিনে নতুন ৭১টি বই এসেছে। এর মধ্যে গল্প ১১, উপন্যাস ৬, প্রবন্ধ ৬, কবিতা ২৭, জীবনী ৩, মুক্তিযুদ্ধ ২, নাটক ১, ভ্রমণ ১, রাজনীতি ১, চিকিত্সা/স্বাস্থ্য ২, অনুবাদ ১ এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর আরও ১০টি বই প্রকাশ পেয়েছে। এছাড়াও ১৪টি নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। মেলায় মোড়ক উন্মোচন করা হয় মিঠা মামুনের কাব্যগ্রন্থ ‘স্বপ্নজলে স্নান’ গ্রন্থের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ‘রচনাসমগ্র’, মিজান পাবলিশার্স; আহমদ ছফার ‘বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী’, কালীকলম প্রকাশনা; সৈয়দ শামসুল হকের ‘অনুবাদ কবিতা সমগ্র’ ও ‘রক্তগোলাপ’, মাওলা ব্রদার্স; মৃতুঞ্জয় রায়ের ‘পুকুরে মাছচাষ’, অনিন্দ্য প্রকাশ’ নির্মলেন্দু গুনের ‘কবিতা, অমিমাংশিত, রমনী’, কবি প্রকাশনী; সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর ‘তাজউদ্দিন আহমেদের রাজনৈতিক জীবন’, মুক্তধারা।
মেলামঞ্চের আয়োজন
গতকাল গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘মদনমোহন তর্কালঙ্কারের জন্মদ্বিশতবার্ষিকী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক শফিঊল আলম। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ড. সফিউদ্দিন আহমদ এবং ড. রতন সিদ্দিকী। সভাপতিত্ব করেন প্রাবন্ধিক-গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল রাহিজা খানম ঝুনুর পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বাংলাদেশ একাডেমি অব ফাইন আর্টস লি. (বাফা)’-এর পরিবেশনা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী সুবীর নন্দী, জীনাত রেহানা, দীনাত জাহান মুন্নী, অনন্যা আচার্য্য এবং সঞ্জয় কুমার দাস।
আজকের অনুষ্ঠান
আজ মঙ্গলবার বিকেলে গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘পঞ্চাশ ও ষাট দশকের একুশের সংকলন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন প্রাবন্ধিক-গবেষক ড. ইসরাইল খান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন শিশুসাহিত্যিক আখতার হুসেন ও সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত। সভাপতিত্ব করবেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।