জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, একনেকের বৈঠকে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ছয় প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে সরকার অর্থায়ন করবে দুই হাজার কোটি টাকা। অবশিষ্ট অর্থ ভারতের ঋণ থেকে ব্যয় করা হবে। তিনি জানান, উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো দেশের গুরুত্বপূর্ণ ১৫৬ উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ভবন নির্মাণ এবং সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ।
আগের বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ হারে ২০১৬ সালে সার্বিক জীবনযাত্রার ব্যয়ভার বেড়েছে। পণ্যমূল্য ও সেবা সার্ভিসের মূল্যও বেড়েছে ৫.৮১ শতাংশ। ভোক্তার ঝুলিতে যেসব পণ্য ও সেবা রয়েছে, সেসব পণ্য বা সেবা পরিবারের মোট ব্যয়ের সঙ্গে তুলনা করে পণ্য বা সেবার ওজনের ভিত্তিতে জীবনযাত্রা ব্যয়ের এই হিসাব করা হয়েছে।
মূল্য বেড়ে যাওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে সব ধরনের চাল ও ডালের দাম। এছাড়া গরুর দুধ, মাংস, আদা, রসুন, চিনি, লবণ, দেশী থান কাপড়, শাড়ি, লুঙ্গি, গেঞ্জি, তোয়ালে এবং গামছার দাম বৃদ্ধি হয়েছে। সেবা সার্ভিসের মধ্যে গ্যাস ও পানি নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল বছরজুড়েই। শহরে বাড়িভাড়া বৃদ্ধি পেয়েছে ৮.৭৭ শতাংশ হারে। এতে করে ভোক্তার আয়ের সিংহভাগ ব্যয় হয়ে গেছে এই বাসা ভাড়ার পেছনে। এর বাইরে দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় সেবা সার্ভিসের মধ্যে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং যাতায়াতের। বছর শেষে এ ধরনের মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণে কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারী দেশে একমাত্র বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জরিপ শেষে তৈরি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে ২০১৬ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় ৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির এই হার আগের বছর (২০১৫ সালে) ছিল ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ।
নতুন বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বিনিয়োগ বাড়ানোই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আজ দুপুরে সচিবালয়ে নতুন বছর উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এসময় অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিনিয়োগ পরিস্থিতি এখনও দুর্বল। এ অবস্থা থেকে আমাদের উন্নতি করতে হবে। তিনি বলেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি খুব ভালো ছিল। আশা করছি, ২০১৭ সালও ভালো যাবে।
গ্রামীণ ব্যাংক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ বাংক চালু রেখেই ব্যাংকিং খাতে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করতে চায় সরকার। গ্রামীণ ব্যাংকের সাপ্তাহিক কিস্তির প্রথা এখন আর দরকার নেই। কারণ মানুষ কিস্তি দিতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে।
বিনামূল্যে বই বিতরণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে আমরা যখন বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু করেছিলাম। তখন একটি আর্থিক চাপ ছিল। কিন্তু এখন বই উৎসবের যে আনন্দ তার কাছে ওই চাপ কিছুই না।
এছাড়া বিভিন্ন ধরনের চালের মধ্যে প্রতি কেজি নাজিরশাইল/মিনিকেট মানভেদে ৪৪ থেকে ৫৬ টাকা, পাইজাম/লতা মানভেদে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা ও মোটা চাল স্বর্ণা/ইরি ৩৫ থেকে ৩৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
আর আমদানি নয়, বাংলাদেশের এখন সময় এসেছে গাড়ি নির্মাণ শিল্প কারখানা গড়ে তোলার। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ থেকে আমরা বেশি দূরে নেই বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ইন্দো-বাংলা অটোমোটিভ শো-২০১৭ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। আগামী বছরের ২-৪ ফেব্রুয়ারি ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসি,বি) তিন দিনব্যাপী অটোমোটিভ শো’র আয়োজন করা হবে।
ইন্ডিয়ান হাই কমিশন ও সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচার্স (এসআইএএম) যৌথভাবে এর আয়োজন করছে।